পোষ্য কোটা নিয়ে মন্তব্য, সমন্বয়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পোষ্য কোটা নিয়ে মন্তব্য করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারটি সংগঠন।
পোষ্য কোটা নিয়ে কথা বলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারের ওপর চটেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি সংগঠন আম্মারের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাবি অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ নভেম্বর সকাল ১০টার সময় রাবি অফিসার সমিতির কার্যালয়ে অফিসার সমিতির উদ্যগে রাবি সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গত ১৫ নভেম্বর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের জনৈক ছাত্র সালাহউদ্দিন আম্মার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের নিয়ে অশালীন, অশ্লীল ও কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ করেন, যা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার, মানহানীকর ও অসম্মানের।
এতে আরও বলা হয়, শিষ্টাচার বহির্ভূত এহেন বক্তব্যে রাবি অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং সকল সমিতির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতিকে বক্তব্য দানকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পত্র প্রদানের পর দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অফিসার সমিতি, অন্যান্য সমিতি ও ইউনিয়নের যৌথ সভায় পরবর্তীতে কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, অভিযুক্ত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির অন্যতম সমন্বয়ক। অফিসার সমিতি তাদের অভিযোগ পত্রে আম্মারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অশ্লীল বা, অশালীন শব্দ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, গত দুইদিন আগে আমি একটি লাইভে বলেছি যে, যদি কোটা নিতেই হয়, তবে পোষ্য কোটা নয় আপনারা ভ্যালিড একটা কোটার ব্যানারে যান। হয়তো প্রতিবন্ধী কোটা, যদি আপনার সন্তানকে প্রতিবন্ধী মনে হয়, অথবা তৃতীয় লিঙ্গ কোটা চালু করে সুবিধা নেন। আমরা কিছুই বলবো না। তারা হয়তোবা এটাকেই তাদের প্রতি অপমানজনক কথা হিসেবে নিয়েছে। এটা আমার প্রতিবাদের ভাষা। এই ভাষা থেকে লজ্জা পেয়ে হলেও তারা পোষ্য কোটা বাতিলের ব্যাপারে একমত পোষণ করবে বলে আশা রাখছি।
তিনি আরও বলেন, আমার কথা স্পষ্ট। এতে কেউ কষ্ট পেলে আমি বিষয়টা ক্লিয়ার করতে পারবো যেকোনো জায়গায়। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা যদি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বলে মনে হয়, তাহলে তাদের বেতন, সুবিধা বাড়িয়ে দেন- আমরা কিছুই বলবো না। কিন্তু আমাদের মেধার বিপরীতে তাদের সন্তানদের এই খাপছাড়া সুবিধা মেনে নিবো না আমরা।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন