ঢাকাসোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২

জাহান্নামের সামান্য শাস্তিও যতটা ভয়ংকর হবে

আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ১২:০৫ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

রাসুল (সা.) যেমন উম্মতদের নানা বিষয়ে আদেশ-নিষেধের কথা জানিয়েছেন, তেমনি বাতলে দিয়েছেন মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের পথও। এরপরও যারা আখিরাতে সফলকাম হতে পারবে না তাদের জন্য শাস্তি হিসেবে রয়েছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম।

বিজ্ঞাপন

জাহান্নাম গুনাহগারদের জন্য নির্দিষ্ট যন্ত্রণাদায়ক আবাসস্থল। কেয়ামতের দিন যাদের আমলনামার ওপর মহান আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট থাকবেন, তাদের শাস্তির ঠিকানা হবে জাহান্নাম। এর সাতটি স্তর রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির কথাও হয়েছে।

আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন জাহান্নামকে আনা হবে। সেদিন তাতে সত্তর হাজার লাগাম থাকবে। প্রতিটি লাগামের সঙ্গে থাকবে সত্তর হাজার ফেরেশতা। তারা জাহান্নামকে টেনে নিয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৯০১)

বিজ্ঞাপন

অপর হাদিসে এসেছে, সামুরা (রা.) রাসুল (সা.) কে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, জাহান্নামীদের কারও কারও আগুন তার উভয় টাকনু পর্যন্ত গ্রাস করে নেবে, আবার কাউকে তার কোমর পর্যন্ত গ্রাস করে নেবে এবং কাউকে তার গলা পর্যন্ত গ্রাস করে নেবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৯০৬)

তবে জাহান্নামের ভয়াবহতা সহজেই বুঝা যায় জাহান্নামীদের সবচেয়ে হালকা আযাবের বিষয়ে জানলেই। নূ’মান ইবনু বাশীর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নামীদের মধ্যে সবচেয়ে হালকা আযাব ওই ব্যক্তির হবে, যাকে এমন দুটি জুতা পরিয়ে দেয়া হবে, যার তলা ও ফিতা হবে আগুনের। ফলে এর দহনে (তার ওপরে রাখা) পাতিলের মতো মগজ উতলাতে থাকবে। আর তার মনে হবে যে, সে-ই বুঝি সবচেয়ে বেশি শান্তি ভোগ করছে। অথচ, এটি হচ্ছে সবচেয়ে হালকা আযাব। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪১০)

আরটিভি/একে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |