ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিপসমের প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত
চলতি মৌসুমে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। ডেংগু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালিয়েছে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী এলাকায় কমিউনিটি পর্যায়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক এই প্রপ্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ জিয়াউল ইসলামের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০০ চিকিৎসক ও নার্সের অংশগ্রহণে এই প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়।
নিপসমের প্রচারাভিযানের মধ্যে ছিল র্যালি, লিফলেট বিতরণ এবং এলাকাবাসীকে মাইকিং করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন করে তোলা।
মন্তব্য করুন
দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা, তারিখ ঘোষণা
গত কয়েক বছরের মতো ২০২৫ সালেও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হলেও কোন পক্ষ আগে ও কোন পক্ষ পরে করবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হস্তান্তর ও প্রস্তুতি, নিরাপত্তা, বিদেশি অতিথিদের ভিসা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ, ভাসমান ব্রিজনির্মাণ, জরুরি দুর্যোগে ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, আখেরি মোনাজাতের দিন যানজট নিরসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তাবলিগ জামাতের এই সমাবেশে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।
দুই পর্বের ইজতেমার একটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ এবং অপরটির নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।
আরটিভি/আরএ/এসএ
ইন্টারনেটের দাম কমাতে কাজ করছে সরকার: বিটিআরসি
ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য ইন্টারনেটের দাম কমাতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এমদাদ-উল বারী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আজকের দিনে ইন্টারনেট সেবা মৌলিক মানবাধিকার হওয়া উচিত। এ নিয়ে আইন করাটাও জরুরি। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এ সেবা টেকসই ও সাশ্রয়ী করতে যা করার, তার সবই করবে বিটিআরসি।
তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ডাটা রেভ্যুলেশনে এখন ডিজিটাল সেবাদাতা হিসেবে পরিচিত হতে চায়। কিন্তু ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম পানির দামে নেমে না আসলে এটা সম্ভব নয়। এজন্য নেটওয়ার্ক সাসটেইন করতে হবে। তাই আমরা অ্যাসেট লাইট মডেলে যেতে পারি।
এমদাদ-উল বারী আরও বলেন, বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। সেই সঙ্গে আগামীতে অধিক সংখ্যক লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। বরং টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে। আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফেন্ডলিতে যাব।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, টেলিকম খাতে কাউকে দানব হতে দেওয়া হবে না। যারা চেষ্টা করবে, প্রয়োজনে পাখা কেটে দেওয়া হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি বেসরকারি মিলে প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছে। আর এ নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট ভিত্তিক সকল সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার, টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরম্নল মাবুদ চৌধুরী, ফাইবার অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক সিদ্দিকী, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট (সিএনএ) ফররুখ ইমতিয়াজ, রবি আজিয়েটার করপোরেট অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসার শাহেদ আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান, এমটব মহাসচিব মো. জুলফিকার, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমুখ।
আরটিভি/এফএ-টি
সারাদেশে বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস
সারাদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ ছাড়া, ভোরের দিকে সারাদেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আগামীকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া ভোরের দিকে সারাদেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আগামী বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ছাড়া ভোরের দিকে সারাদেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
অধঃপতনের ৫ কারণ, কোরআন-হাদিসে যা আছে
অপরাধ যখন ব্যক্তিপর্যায়ে থাকে তখন অধঃপতন ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। ব্যাপক হারে যখন কোনো দেশ বা জাতি অপরাধে লিপ্ত হয়, তখন সে অপরাধের দায় সবাইকেই বহন করতে হয়।
ইবনে মাজাহ-এর এক হাদিসে আছে, কোনো দেশে পাঁচ ধরনের অপরাধ চলমান থাকলে, তারা কখনই উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবে না। তাদের অধঃপতন সুনিশ্চিত।
অশ্লীলতা :
আল্লাহ বলেন, হে মানুষ, ভূমণ্ডলে বিদ্যমান বস্তুগুলো থেকে হালাল উত্তম জিনিসগুলো খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলো না, বস্তুত সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সে তোমাদেরকে শুধু অসৎ এবং অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়, আর তোমাদেরকে নির্দেশ দেয় আল্লাহর সম্বন্ধে এমন কথা বলার যা তোমরা জান না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৬৮-১৬৯)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখনই কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, (যেমন সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার ইত্যাদি) তখন তাদের মধ্যে মহামারি আকারে প্লেগ ও এমন সব ব্যাধির জন্ম হয়, যা আগেকার লোকেদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।
ওজনে কম দেওয়া :
ইসলামে বেচাকেনায় ওজন করার সময় সঠিকভাবে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওজনে কারচুপি করার অপরাধে পূর্বে এক জাতি ধ্বংসও হয়েছে। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৩৫)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন কোনো জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে, তখন তাদের ওপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ ও কঠিন বিপদ-মসিবত। আর তাদের ওপর শুরু হয় জালেম শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন।
যাকাত না দেওয়া :
যাকাত হলো ধনীর সম্পদে গরিবের অধিকার। যাকাত না দিয়ে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখা গরিব-দুঃখীর সম্পদ আত্মসাৎ করারই নামান্তর। (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ১৯)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো জাতি যখন সম্পদের যাকাত আদায় করা থেকে বিরত থাকে, তখন আসমান তাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু-জানোয়ার (গরু, ছাগল, ভেড়া, কুকুর, ঘোড়া ইত্যাদি) না থাকত তা হলে আর কখনো জমিনে বৃষ্টিপাত হতো না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪০১৯)
অঙ্গীকার ভঙ্গ করা :
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, এখানে অঙ্গীকার বলতে, আল্লাহতায়ালা বান্দার কাছ থেকে ঈমান ও ইবাদত সম্পর্কিত যেসব অঙ্গীকার নিয়েছেন অথবা তার নাজিলকৃত বিধি-বিধান হালাল ও হারাম সম্পর্কিত যেসব অঙ্গীকার নিয়েছেন, আয়াতে সেগুলোই উদ্দেশ্য। (তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে জাতি আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, আল্লাহ তাদের ওপর বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করে দেন। সে তাদের ধন-সম্পদসহ সবকিছু কেড়ে নেয়।
শরিয়াবহির্ভূত বিচারব্যবস্থা :
আল্লাহ বলেন, হুকুম বা কর্তৃত্বের মালিকানা আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে নেই। তিনিই সত্যকথা বর্ণনা করেন, আর তিনিই সর্বোত্তম ফায়সালাকারী। (সুরা আনয়াম, আয়াত: ৫৭)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, শাসকবর্গ যখন আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফায়সালা করে না এবং বিচার বিভাগে আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানকে অগ্রাহ্য করে, তখন তিনি তাদের পরস্পরের মধ্যে (যুদ্ধ) দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাঁধিয়ে দেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৪০১৯)
আরটিভি/একে
তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার নতুন বার্তা
আগামী তিন দিন সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস-বৃদ্ধি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসের দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটি জানায়, মৌসুমের স্বাভাাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এ অবস্থায় শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
আরটিভি/এসএপি
ফের ২৫ পয়সা কলরেটে ফিরছে সিটিসেল
চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আবারও সাশ্রয়ী মূল্যে কথা বলার সুযোগ দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল।
সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সিটিসেলের হেড অফিস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে বিটিআরসি থেকে মোবাইল ফোন প্রবর্তনের জন্য বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিসিএল) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বরাদ্দ লাভ করে। লাইসেন্স নেওয়ার পরের বছর হংকং হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে এর নাম বদলে হয় হাচসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড। ১৯৯৩ সালে এটির মালিকানায় আবার পরিবর্তন আসে। বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মটরস ও ফারইস্ট টেলিকম মিলে এইচবিটিএল-এর শেয়ার কিনে নেয়। কোম্পানির নাম বদলে হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ও সিটিসেল নামে ব্র্যান্ডিং শুরু হয়। ২০০৪ সালে এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে সিঙ্গাপুরের সিংটেল। ২০০৭ সালের শেষের দিকে সিটিসেল নতুন লোগো উন্মোচন করে। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের রোষানলে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ওই বছরের ২০ অক্টোবর বিটিআরসি কোম্পানিটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এ সময় এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ লাখের কিছু বেশি। ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিটিসেলের তরঙ্গ আবার খুলে দেওয়া হয়। যা ৬ নভেম্বর আবার বন্ধ করা হয়। ২০২৩ সালে সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়।
সিটিসেল বন্ধের সময় বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা ছিল ৪৭৭ কোটি টাকা। পরে ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিটিসেল। সে হিসাবে সিটিসেলের বকেয়া ২৩৩ কোটি টাকা। কিন্তু কোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দেখা যায়, সিটিসেলকে ১০ মেগা হার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ। সে হিসাবে সিটিসেলের কাছে সরকারের সবশেষ মোট বকেয়ার পরিমাণ ১২৮ কোটি টাকা।
গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠিয়ে অপারেটিং ও রেডিও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে। চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এ জন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছেন তারা।
বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সবমিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ফাইভজিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।
সিটিসেলের চিফ স্ট্রেটিজিক অ্যাডভাইজার মেহবুব চৌধুরী জানান, তারা কোন কিছু আইনের বাইরে যেয়ে করেননি। সিটিসেলের ফ্রিকুয়েন্সি পাওয়ার কথা ছিল ১০ মেগা হার্জ, তাদের লাইসেন্সেও তাই ছিল। তবে অনুমোদনের কাগজে তারা ফ্রিকোয়েন্সি পান রিজোনাল ৬ মেগা হার্জ, আর ঢাকায় ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ।
তিনি জানান, লাইসেন্স পাওয়ার পর তারা বিটিসিএল অফিসে গেলে তারা বলে আপনার এই মেগা হার্জই পাবেন। অথচ সিটিসেল ১০ মেগা হার্জের টাকাই পরিশোধ করে সরকারকে। তারা দ্বিতীয়বারের মতো সিটিসেলকে কোনো সুযোগই দেয়নি। কম ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে ১০০ কোটির বেশি টাকা পাওনা করা হয়েছিল তাদের কাছে। সেই টাকা পরিশোধ না করায় এই টেলিকম কোম্পানিটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সিটিসেলের হেড অব দ্যা টেজরি মাকসুদা হাবিব বলেন, ২০১৬ সাল থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে ব্যাংকের লস তো আছেই। তাদের ব্যান্ড ভ্যালু ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেই সঙ্গে কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি বঞ্চিত হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, সিটিসেল আবেদন করেছে। আমারা তাদের সঙ্গে বসব। তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এসএপি/এআর
আগের নিয়মে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা
আগের নিয়মে ফিরে আসছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। একসময় এ দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশজুড়ে বৃত্তি পরীক্ষা হতো। এতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেতেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু করার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।
আরটিভি/একে