পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু, সংঘর্ষ আজই
মহাকাশে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে একটি গ্রহাণু। আনুমানিক ৭০ সেন্টিমিটার ব্যাসের এই গ্রহাণুটি উত্তর সাইবেরিয়া অঞ্চলের বায়ুমন্ডল হয়ে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে বাংলাদেশ সময় আজ রাত আনুমানিক ১০টা ১৫ মিনিটে (৫ মিনিট সময় আগে-পরে হতে পারে)। নিজেদের এক্স (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্ট পোস্ট করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) আজ এই তথ্য জানিয়েছে।
তবে আশার কথা হচ্ছে, পৃথিবীর সাথে গ্রহাণুটির সংঘর্ষে ক্ষয়ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। শুধু উত্তর সাইবেরিয়ার আকাশে চমৎকার একটি আগুনের গোলা তৈরি করবে গ্রহাণুটি। অন্তত এমনটাই জানা গেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এর পোস্ট থেকে। তবে গ্রহাণুটির কোনো নাম দেওয়া হয়নি।
বিশ্বব্যাপী মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলো মহাকাশে দৃশ্যমান ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট’ বা পৃথিবীর কাছাকাছি আসা বস্তু সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। এই গ্রহাণুটিও তেমন-ই একটি অবজেক্ট। গ্রহাণুটি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের কিছু সময় পূর্বেই সনাক্ত করা গেছে। এই সাফল্য গ্রহাণুর গতিপথ নির্ণয়, পর্যবেক্ষণ ও অনুমানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের অগ্রগতির দিকেই ইঙ্গিত করছে।
পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশের পর গ্রহাণুটি জ্বলে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমি থেকে এটিকে উজ্জ্বল, জ্বলন্ত কোনো বস্তু বলে মনে হবে। এই ধরণের গ্রহাণুগুলো ছোট হওয়ায় বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার সময় উৎপন্ন তীব্র তাপ সহ্য করতে না পেরে প্রায়শই নিজে থেকেই বিচ্ছিন্ন বা ধ্বংস হয়ে যায়। অবশ্য তাতে কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয় না।
নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এর মতো মহাকাশ সংস্থাগুলো পৃথিবীর কাছাকাছি আসা বস্তু সনাক্ত ও তাদের গতিপথ নির্ণয়ের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করে চলেছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের প্রযুক্তিগত এই সক্ষমতা বৃদ্ধি পৃথিবীতে মানুষের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের গ্রহাণুটি ক্ষতিকর না হলেও পৃথিবীর কাছাকাছি আসা এমন মহাকাশীয় বস্তুগুলোর সার্বক্ষণিক নিরীক্ষণ যে আমাদের অস্তিত্বের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ সেটা আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে এই গ্রহাণুটি। তবে যাই হোক, উত্তর সাইবেরিয়ার আকাশ পর্যবেক্ষকরা আজ এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারে।
সূত্র: ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, ইন্ডিয়া টুডে
মন্তব্য করুন