এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল
২০২৫ সালের অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণের সময় আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর।
এর আগে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। জরিমানা ছাড়া যা চলে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যে শেষদিনে এসে সময়সীমা আরও পাঁচদিন বাড়ানো হলো।
আরটিভি/আইএম/এআর
মন্তব্য করুন
আগের নিয়মে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা
আগের নিয়মে ফিরে আসছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। একসময় এ দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশজুড়ে বৃত্তি পরীক্ষা হতো। এতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেতেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু করার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।
আরটিভি/একে
রাসূল (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা
মহানবি মুহাম্মদ (সা.)-এর সমাধি পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে এখন থেকে মহানবি মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে বছরে একবারের বেশি রওজা শরিফ পরিদর্শন করা যাবে না।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, রওজা শরিফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম কমানোর লক্ষ্যে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া রওজা শরিফে প্রবেশ করা যাবে না। আগের মতো অনুমতি ছাড়া প্রবেশের বিষয়টি আর বৈধ থাকবে না।
এ ছাড়া জিয়ারতের সময় এক ঘণ্টায় সীমিত রাখা হবে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অপেক্ষার সময় কমানো এবং ভিড় এড়িয়ে জিয়ারতকারীদের জন্য একটি সহজ ও সুশৃঙ্খল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা।
নতুন নির্দেশনার আওতায় রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য বছরে একবারের বেশি সুযোগ পাবেন না মুসল্লিরা। এই নিয়মটির মাধ্যমে বৃহত্তর সংখ্যক মুসলিমকে রওজা শরিফ জিয়ারতের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরিফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত একটি পবিত্র আকাঙ্ক্ষা। তবে অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরিফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।
সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ সীমিত করা হলো।
বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত এক অনন্য অনুভূতির জায়গা। এই নতুন নিয়ম নিয়ে যেকোনো সমন্বয় ও পরিবর্তন যেন তাদের জন্য সহজ এবং গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে সৌদি সরকারের নজর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সৌদি সরকারের হিসাবে চলতি বছর এক কোটির বেশি মুসলিম রওজা জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি।
আরটিভি/এফআই
যে কারণে দেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটার
ভার্চুয়াল জগত ছাড়া মানুষের জীবন এখন অচল। আর ঘরে বসেই অবাধে সেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দিচ্ছে ওয়াইফাই রাউটার। প্রতিটি বাসা এবং অফিসে রাউটার এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাউটার পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিঙ্গেল ব্যান্ড, ডুয়াল ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার রয়েছে।
সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারগুলোতে ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কম। এ ক্ষেত্রে ডুয়াল-ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার সিঙ্গেল ব্যান্ডের চেয়ে বেশি কার্যকর। এ জন্য দেশে সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটারের আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হচ্ছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এটি ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
জানা গেছে, আগামী বছর থেকে ডুয়াল-ব্যান্ড সাপোর্ট করে শুধু এমন রাউটারই বিদেশ থেকে আমদানি এবং দেশে উৎপাদন করা যাবে। দেশের বাজারে যেসব ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা হবে সেগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ২ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫ দশমিক ৭২৫ থেকে ৫ দশমিক ৮৭৫ গিগাহার্জ, উভয় ব্যান্ড সাপোর্ট করতে হবে। এই দুটির মধ্যে একটিকে সাপোর্ট করে এমন ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা যাবে না। ফলে নিম্নমানের এবং কম ব্যান্ডের রাউটার বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও আমদানিকারক ও উৎপাদকদের ওপর বিষয়টি হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। তাদের ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এক ব্যান্ডের রাউটার আমদানিকারকদের কোনো কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে না। বিদেশ থেকে এগুলো আমদানির প্রক্রিয়া হচ্ছে বিটিআরসি থেকে প্রথমে অনুমতি নিতে হয়। তারপর এলসি খুলে দেশে আনা হয়। এরপর বাজারজাত করতেও আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ এপ্রিলের পর থেকে এগুলো আর বাজারজাত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এরই মধ্যে সবাইকে জানানো হয়েছে। নতুন করে কেউ আর সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার আমদানির ব্যাপারে মনোনিবেশ না করেন। এ ছাড়া বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
আরটিভি/এসএপি/এআর
ইউটিউবে কত ভিউতে কত আয়
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউব। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন। একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, সেটি নির্ভর করে তার ভিডিওটি কেমন, সেটি কোন কোন দেশ থেকে দেখা হয়েছে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর।
তবে অনেকে মনে করেন ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করতেই বুঝি আয় করা যায়। এই ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে ইউটিউবের শর্ত মতো আপনার ভিডিওতে ভিউ হতে হবে। তারপরই আয় করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিডিওতে কত ভিউ হলে ইউটিউবে আয় করা যায়-
কোনো একটি ভিডিওর ভিউ অন্তত এক হাজার হলে তবেই তা থেকে টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি অন্তত এক হাজার জন দেখলে তবেই সেই ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটিকে অবশ্যই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও থেকে ১-২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৭- ২ হাজার ৬০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে আরও বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত আয় হবে এক ভিডিও থেকে।
তবে আপনার চ্যানেলে ১ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার গ্রাহক থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার যে কোনো বা সব ভিডিওতে ৪ হাজার ঘণ্টা ‘ভিউয়ারশিপ টাইম’ থাকতে হবে। আপনি একবার ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিলে, আপনি আপনার ভিডিওগুলোতে দেখানো বিজ্ঞাপনগুলো থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এ ছাড়া ভিডিও লিংক থেকে, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে কিংবা বিজ্ঞাপন থেকেও ইউটিউবে ভালো পরিমাণ আয় করা যায়। স্পন্সর কন্টেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আবার ইউটিউব শর্টস থেকেও আয় করা যায়। ইউটিউব এখন ইউটিউব শর্টসও চালু করেছে। শর্টসে ব্যবহারকারীরা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ছোট ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করতে পারেন। শর্টস থেকেও এখন ব্যবহারকারীরা অনেক অর্থ আয় করছেন।
আরটিভি/একে
সাড়ে ১৮ ঘণ্টা নয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারত আসতে লাগবে ৩০ মিনিট
আকাশপথে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো থেকে ভারতের দিল্লিতে আসতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ১৮ ঘণ্টা। তবে তা ৩০ মিনিটেই পাড়ি দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন ইলন মাস্ক। ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে সবসময় পাশে ছিলেন তিনি। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে দিয়েছেন নিজের শ্রম, ঢেলেছেন অঢেল অর্থ। ভোটে জিতেই মাস্ককে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’র দায়িত্ব দিতে চলেছেন ট্রাম্প।
মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন, ট্রাম্প জেতায় তার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ‘পৃথিবী থেকে পৃথিবী’ তে মহাকাশ ভ্রমণের প্রকল্প এবার দ্রুতই বাস্তব রূপ নেবে।
এক দশক আগে স্পেসএক্স তাদের স্টারশিপ রকেট তৈরির প্রস্তাব দিয়ে জানিয়েছিল, এটা হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যান এবং তাদের রকেট নজিরবিহীন গতিতে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে ভ্রমণে সক্ষম হবে। স্টারশিপ প্রতিবার এক হাজারের বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে। সেটি আকাশ ফুঁড়ে অন্ধকার মহাকাশে নয়; বরং কক্ষপথ দিয়ে পৃথিবীর সমান্তরালে উড়ে যাবে। এভাবে সেটি এক নগর থেকে অন্য নগরে যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টারশিপে করে ভ্রমণ করতে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে টরন্টো যেতে ২৪ মিনিট, লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে ২৯ মিনিট, সান ফ্রান্সিসকো থেকে নয়াদিল্লি যেতে ৩০ মিনিট এবং নিউইয়র্ক থেকে সাংহাই যেতে সময় লাগবে ৩৯ মিনিট সময় লাগবে।
মাস্ক বলেছেন, তার এই স্বপ্ন বাস্তব হলে ব্যবসায়ী ও ভ্রমণপিপাসুদের অনেক সময় বেঁচে যাবে। যদিও এ জন্য ভ্রমণকারীদের কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করতে হবে।
আরটিভি/এসএপি
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর
ডিভাইসের নিরাপত্তাবিষয়ক ত্রুটি সারাতে আইফোনের জন্য নতুন আইওএস ১৮.১.১ সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে এসেছে অ্যাপল।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নাইন টু ফাইভ ম্যাক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোনের সকল ব্যবহারকারীরকে আইওএস ১৮.১.১ আপডেটটি ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপল। আইফোন ছাড়া আইপ্যাড ও ম্যাকের জন্য নতুন ১৮.১.১ আপডেট এসেছে কোম্পানিটি। তবে কোনো ত্রুটির জন্য আপডেটটি নিয়ে আসা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
আইফোন বা আইপ্যাডে আপডেটটি ইনস্টল করবেন যেভাবে
১. আইফোনের বা আইপ্যাডের সেটিংসে প্রবেশ করুন।
২. এরপর জেনারেল অপশনে ট্যাপ করুন ও সফটওয়্যার আপডেট সেকশনে যান।
৩. আপডেটটি ফোনে এসে গেলে আইওএস ১৮.১.১ বা আইপ্যাডওএস ১৮.১. ১ ফাইলটি দেখা যাবে। আপডেটটি ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড করার পর সঙ্গে সঙ্গে ইনস্টল করতে পারবেন বা ‘রিমাইন্ড মি লেটার’ অপশনে ট্যাপ করলে তা পরে সুবিধাজনক সময়ে ইনস্টল করা যাবে।
৪. ইনস্টলের ক্ষেত্রে আইফোন বা আইপ্যাড রিস্টার্ট নেবে। ডিভাইসটি চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন। এর মধ্যে ফোনের পাওয়ার বাটনে ট্যাপ করা যাবে।
ইনস্টলের ক্ষেত্রে অনেক সময় ফোনের পাসকোডও চাইতে পারে ডিভাইসটি।
আরটিভি/এসএপি-টি
হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করবেন যেভাবে
জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে টেক জায়ান্ট মেটার মালিকাধীন হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়।
হোয়াটসঅ্যাপে একই ডিভাইসে একাধিক অ্যাকাউন্ট এবং একাধিক অ্যাকাউন্টে একই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যায়। এছাড়া চ্যাট লক, কাস্টম চ্যাটসহ নানান নিরাপত্তা সুবিধা আছে অ্যাপটিতে।
অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করতে চান। অ্যাপটির নিজস্ব কল রেকর্ড ফিচার না থাকলেও থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজে কল রেকর্ড কার যায়। ‘কিউব এসিআর’ নামের রেকর্ডিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের কল রেকর্ড করতে পারে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও এর মাধ্যমে কল রেকর্ড করা সম্ভব। এছাড়া আরও বেশ কিছু এমন অ্যাপ আছে।
দেখে নিন কীভাবে থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপের কল রেকর্ড করবেন-
এজন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে কিউব এসিআর, সালেসট্রেইল অথবা এসিআর কল রেকর্ডার কিংবা আপনার পছন্দ মতো কল রেকর্ডিং অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন। এবার কল রেকর্ডিং অ্যাপকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে হবে। কিছু অ্যাপের ক্ষেত্রে তো ম্যানুয়ালি কল রেকর্ডিং এনেবল করতে হতে পারে। একবার সেট-আপ হয়ে গেলে ওই অ্যাপ নিজে থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড করতে শুরু করে দেবে।
আরটিভি/এসএপি