সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা
বিশ্ব ইজতেমা আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পূর্ব নির্ধারিত সময়েই হবে বলে জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) কাকরাইল মারকাজ মসজিদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ৩১ জানুয়ারিতেই প্রথম পর্বের ইজতেমা হচ্ছে। এ বিষয়ে কার্যক্রম চলমান আছে। কোনো সমস্যা নেই। তবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা সাদপন্থীরা করতে পারবে কি না তা প্রশাসনই ঠিক করবে।
এর আগে, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের হত্যাকাণ্ডসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দায়ে সাদপন্থীদেরকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া আগামী ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ২৫ জানুয়ারি দেশের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমদের নিয়ে ওলামা সম্মেলন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/এফএ/এআর
মন্তব্য করুন
মৃত মানুষকে জীবিত করতে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা!
তাহলে কি সত্যিই দাজ্জালের আবির্ভাব হয়ে গেছে ! সত্যিই কি সেই সময় চলে এসেছে যখন মৃত মানুষকে জীবিত করে দেখাবে দাজ্জাল! সহিহ মুসলিমের বলা আছে, দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিদের জীবিত করতে পারবে এবং তাকে অলৌকিক ক্ষমতা দেওয়া হবে। যা হবে কেয়ামতের সবচেয়ে বড় আলামতগুলোর একটি।
কয়েক বছর আগেও এমন কিছু শোনা ছিল অসম্ভব! মৃতদেহ জীবিত করার কথা ভাবলেই মনে হয় গল্পের বইয়ের কল্পনা। কিন্তু আজকের বাস্তবতা ভিন্ন। বিজ্ঞানীরা এমন এক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে, যা আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে পাল্টে দিতে পারে।
আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী এমন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যা দিয়ে তারা দাবি করছেন মৃত দেহকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হতে পারে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বাস্তবেই এমন কিছু গবেষণা চলছে। ক্রায়োনিক্স (Cryonics) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য। এই প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ বা মস্তিষ্ককে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে সেই দেহকে জীবিত করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অবস্থিত Alcor Life Extension Foundation ও মিশিগানের Cryonics Institute এরা এই পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল।
এরমধ্যে Alcor Foundation প্রতিষ্ঠিত ১৯৭২ সালে, আর Cryonics Institute গড়ে ওঠে ১৯৭৬ সালে। এরা শতাধিক মৃতদেহ এবং মস্তিষ্ককে সংরক্ষণ করছে, সেসব দেহের ভবিষ্যতের পুনরুজ্জীবনের আশায়। এই গবেষণা প্রচেষ্টা যতই এগিয়ে চলেছে, ততই প্রশ্ন উঠছে—এটা কি আদৌ সম্ভব?
এই গবেষণা প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদিন এমন প্রযুক্তি তৈরি করা, যা দেহের সমস্ত কোষকে পুনরায় কার্যক্ষম করতে পারবে। কিন্তু এখানে এক বড় প্রশ্ন থেকেই যায় এই গবেষণা কতটা সফল হবে?
বিজ্ঞানীরা যতই দাবি করুন না কেন, অনেকেই মনে করেন, এটি দাজ্জালের প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে। সহিহ মুসলিমের হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে, দাজ্জাল মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করবে এবং বিভ্রান্তিকর কৌশল ব্যবহার করে তাদের আকৃষ্ট করবে। তার মধ্যে একটি বড় পরীক্ষা হবে মৃত মানুষকে জীবিত করার মতো অলৌকিক ক্ষমতা দেখানো। এমন ক্ষমতা যে শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে, ইসলামি বিশ্বাসে তা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। তাই কোনও ধরনের অস্বাভাবিক ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করাই শ্রেয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে কেবলমাত্র মহান আল্লাহই জীবনের স্রষ্টা এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দানের ক্ষমতাধারী। আল্লাহ তার রাসূলদের মধ্যে কিছু বিশেষ মুজিজা প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ঈসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারতেন। কিন্তু তা ছিল আল্লাহরই এক বিশেষ অনুগ্রহ। কোরআনে সূরা আলে ইমরান আয়াত ৪৯ এবং সূরা মায়িদা আয়াত নং ১১০এ এই মুজিজার বর্ণনা পাওয়া যায়।
ভিসা নিয়ে ইতালির বড় সুখবর, বাংলাদেশিদের জন্য কঠিন শর্ত
নতুন আইন করে তিন বছর মেয়াদি স্পন্সর ভিসায় ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক নিচ্ছে ইতালি। চলতি বছরের এই ভিসায় দ্বিতীয়বারের মতো আরও ১ লাখ ১০ হাজার শ্রমিকের কোটা বাড়িয়েছে দেশটি। তবে বাংলাদেশসহ ৩ দেশের ক্ষেত্রে কঠিন যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইতালির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ আইনটির অনুমোদন দিয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদন পেলেই প্রকাশ করা হবে গেজেট।
জানা গেছে, এই আইনে নতুন করে ১ লাখ ১০ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ৪৭ হাজার কৃষি কাজে এবং বাকিরা পর্যটন ও হোটেল ব্যবসা খাতে আসতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের ইতালিতে আসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ ও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের আলবেনিয়ায় পাঠাচ্ছে ইতালি সরকার।
দেশটির নতুন আইনে পারিবারিক ভিসায় আসার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু কঠিন শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্পন্সর ভিসা কোনও কারণে বাতিল করা হলে তা মালিক পক্ষকে জানানো হবে না।
তাই বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা।
আরটিভি/এসএপি
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য সুসংবাদ
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। অনেকেই এর পাসওয়ার্ড ভুলে যায়। তার ওপর রিকভারির জন্য রেজিস্টার্ড মোবাইল বা ই-মেইল অ্যাকাউন্টেও অ্যাক্সেস নেই। এমন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না। কারণ, সহজেই পেতে পারেন সমাধান।
এর জন্য আগেই আপনি লগ-ইন করেছেন এবং এখনো তাতে লগ-ইন করা আছে এমন একটি ডিভাইস প্রয়োজন। সেটি নিজের ফোন বা কম্পিউটার, এমনকি কোনো আত্মীয়-বন্ধুর ফোন-কম্পিউটার হলেও চলবে। এরপর ব্রাউজারে facebook.com/login/identify টাইপ করুন। আর সেখানে কোনো একটা ই-মেইল অ্যাড্রেস কিংবা মোবাইল নম্বর লিখুন। যদি এতে কাজ না হয়, আপনার অ্যাকাউন্টের নাম অথবা ইউজার নেম লিখুন। এবার অ্যাকাউন্টটি হাতে পেয়ে যাওয়ার পর প্রথমেই ‘নো লঙ্গার হ্যাভ অ্যাক্সেস টু দিস?’-এ ক্লিক করুন। সেখানে যা যা তথ্য চাওয়া হচ্ছে সেগুলো এবং নতুন একটি কনট্যাক্ট ডিটেইল দিন। খেয়াল রাখবেন, এই কনট্যাক্ট ইনফরমেশন যেন এর আগে কখনো এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত না হয়। এবার যদি সব সিকিউরিটি চেক পাস করে যান, তাহলেই সুযোগ আসবে পাসওয়ার্ড রিসেট করার। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টটি আপনি ফের ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে যদি এ পদ্ধতিতে কাজ না হয়, আপনি গ্রিবেন্স অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এই অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের দুটি উপায় রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমটি হলো একটি অনলাইন ফরম পূরণ করা। এতে আপনাকে কিছু বিকল্প বেছে নিতে হবে, যেখানে অ্যাকাউন্ট লক করার কারণ পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্য ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ ফরমে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষরও নেওয়া হয়। এ ছাড়াও ই-মেইল বা পোস্টের মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
আরটিভি/এএ
পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় জাতীয় সংগীত-পতাকা, যা জানা গেল
প্রাথমিকের সব বাংলা পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় স্থান পেয়েছে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আমার বাংলা বইয়ের এই বিষয়টি নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শিক্ষাবিদরা বলেছেন, পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় রেখে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার অমর্যাদা করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন ছাপা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’ এর শেষে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ছবি। প্রথম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় জাতীয় ফুল শাপলা ও গ্রাম বাংলার ইলাস্ট্রেশন রয়েছে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় সম্পাদনা পর্ষদের তথ্য প্রসঙ্গ কথা ও সূচিপত্রের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এরপর সপ্তম পৃষ্ঠা থেকে বইয়ের মূল পাঠ শুরু। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা বই এভাবে সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডর (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘বাংলা বইয়ে এ পরিবর্তন সম্পর্কে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন সমন্বয়ক কমিটির সদস্য লেখক ও শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা।’
সমন্বয়ক কমিটির সদস্য রাখাল রাহা বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ের পরিমার্জন এবং পরিবর্তনের জন্য আলাদা কমিটি কাজ করেছে। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। তবে এর জন্য শিশুদের দেশাত্মবোধ কিংবা আত্মপরিচয়ে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।’
আরটিভি/এসএপি
তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রিতে নামার সম্ভাবনা
আগামী জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা কমে ৩ ডিগ্রিতে নামার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে ১৯ বা ২০ ডিসেম্বরের পর শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। বর্তমানে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না পড়লেও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা কাছাকাছি নেমে আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গত বছরের মতো এ বছরও কুয়াশার প্রকোপ থাকতে পারে। জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রিতে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়াবে।’
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, যা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আরটিভি/এসএপি/এআর
‘ওপেন এআই’র দুর্নীতি ফাঁস করা যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
নিজ ফ্লাট থকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) উৎপাদনকারী কোম্পানি ‘ওপেন এআই’-এর সাবেক কর্মী এবং প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির তথ্য ফাঁসকারী সুচির বালাজির (২৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বুচানন স্ট্রিট এলাকার নিজ ফ্লাট থেকে গত ২৬ নভেম্বর ভারতীয় মার্কিন তরুণ সুচির বালাজির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কেন এতদিন তা গোপন রাখা হয়েছিল। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমে জানানোর মতো কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত তাদের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের এক কর্মকর্তা।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর একটি ওপেন এআই। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাট জিপিটি এই কোম্পানির তৈরি অ্যাপ। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানির কর্মী ছিলেন সুচির বালাজি। গত আগস্টে নিউইয়র্ক টাইমসে ওপেন এআই’র দুর্নীতি ফাঁস করেন তিনি।
তবে বালাজির মরদেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে গভীর শোক জানিয়েছে ওপেন এআই। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই হৃদয়বিদারক সংবাদে আমরা শোকাহত। সুচিরের স্বজনরা এখন কঠিন সময় পার করছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’
আরটিভি/এসএপি-টি
হোয়াটসঅ্যাপে ডিলিট করা চ্যাট যেভাবে ফিরিয়ে আনবেন
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অনেকেই সময় বেঁধে দেন। মানে ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ’ ফিচার অন করে রাখেন। নির্দিষ্ট সময় পর মেসেজ নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যায়। কিন্তু ভুলে যদি কেউ মেসেজ ডিলিট করে ফেলেন কিংবা ফোন বদলানোর সময় সব চ্যাট ডিলিট হয়ে যায়, তাহলে?
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ অনেকেরই কাজের জায়গা। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। দরকারি নথি চালাচালি করেন। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছকা হয়। সে সব চ্যাট যদি ভুল করে ডিলিট হয়ে যায় তাহলেও হাত কামড়ানোর কিছু নেই। কারণ ডিলিটেড চ্যাট খুব সহজেই ফিরিয়ে আনা যায়।
হোয়াটসঅ্যাপে বেশ কিছু ইন বিল্ট টুল রয়েছে। যেমন গুগল ড্রাইভ বা আই ক্লাউডে ক্লাউড ব্যাকআপ কিংবা অ্যানড্রয়েড ইউজারদের জন্য স্টোরেজ অপশন। এছাড়া কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যারও পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ডিলিট হয়ে যাওয়া ডেটা ফেরত পেতে পারেন ইউজার। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে? এখানে ডিলিটেড হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কীভাবে ফিরিয়ে আনতে হয়, তার ধাপে ধাপে জেনে নিন।
১. গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউড থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া চ্যাট পুনরুদ্ধারের পদ্ধতি
গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউড থেকে ডিলিট হয়ে যাওয়া চ্যাট ফিরিয়ে আনার জন্য অ্যানড্রয়েড ইউজারদের প্রথমে সেটিংসে যেতে হবে। তারপর ক্লিক করতে হবে ‘চ্যাটস’ অপশনে। সেখানে চ্যাট ব্যাকআপ অপশনে গিয়ে গুগল ড্রাইভ চেক করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করে ফোন নম্বর যাচাইয়ের পর প্রম্পট এলে রিস্টোর ট্যাপ করতে হবে। ডিলিট হওয়া সব চ্যাট ফের চলে আসবে।
আইওএস ইউজারদের প্রথমে সেটিংসে যেতে হবে। তারপর ক্লিক করতে হবে ‘চ্যাটস’ অপশনে। এবার চ্যাট ব্যাকআপে গিয়ে আইক্লাউড ব্যাকআপ দেখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ নতুন করে ইনস্টল করে চ্যাট হিস্ট্রি পুনরুদ্ধার করতে হবে।
২. লোকাল ব্যাকআপ থেকে চ্যাট পুনরুদ্ধার
এই পদ্ধতিতে অ্যানড্রয়েড ইউজাররাই ডিলিটেড চ্যাট পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে ‘ফাইল ম্যানেজার’-এ যেতে হবে। তারপর হোয়াটসঅ্যাপে ক্লিক করে ডেটাবেসে ঢুকতে হবে। এখানে পছন্দের ফাইল শনাক্ত করে নাম বদলে রাখতে হবে ইউজারকে। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ পুনরায় ইনস্টল করে সেটআপের সময় রিস্টোর অপশনে ক্লিক করলেই ডিলিট হওয়া সব চ্যাট চলে আসবে।
অ্যানড্রয়েড বা আইওএসে হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস ইউজাররাও গুগল ড্রাইভ, আইক্লাউড বা লোকাল ব্যাকআপ থেকে একইভাবে ডিলিট হয়ে যাওয়া চ্যাট পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায়। তবে বিজনেস চ্যাটের ব্যাকআপ অ্যাকটিভ রাখতে হবে।
এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে ডিলিট হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পুনরুদ্ধারের জন্য থার্ড পার্টি টুলসের সাহায্য নিতে হবে। এর জন্য স্ক্যান অপশন অন করে টুল যেমন বলবে সেভাবে এগোতে হবে। তবে গুগল প্লে স্টোর বা নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে বিশ্বস্ত থার্ড পার্টি টুল ডাউনলোডের পরামর্শ দেন টেক বিশেষজ্ঞরা। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ অজানা অচেনা টুলসে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। সংগৃহীত ছবি।
যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে
হোয়াটসঅ্যাপে ডিলিটেড চ্যাট পুনরুদ্ধারের সময় কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। অ্যানড্রয়েডের জন্য গুগল ড্রাইভ এবং আইওএসের জন্য আইক্লাউডের মতো প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ব্যাকআপ রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকেই এই ব্যাকআপগুলো অ্যাক্সেস করা যায়।
প্রয়োজন অনুযায়ী অটোমেটিক ব্যকআপ চালু রাখতে হবে। সেটা প্রতিদিন হতে পারে কিংবা সাপ্তাহিক বা মাসিক। এতে ডেটা সুরক্ষিত থাকবে। ডিলিট করা চ্যাট পুনরুদ্ধারের সময় কাজে লাগবে। যদি ইউজার ভুলে কোনও চ্যাট ডিলিট করে ফেলেন তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, যত তাড়াতাড়ি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হবে, সাফল্যের সম্ভাবনা তত বাড়বে। বেশি দেরি করলে নতুন তথ্য ডিলিটেড ডেটায় ওভাররাইট হয়ে যেতে পারে।
টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চ্যাট ডিলিট করার বদলে আর্কাইভ করে রাখা উচিত। বিশেষ করে যে সব চ্যাট সবসময় অ্যাক্সেসের প্রয়োজন নেই, কিন্তু রেখে দেওয়া দরকার। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট বা আলোচনা টেক্সট ফাইলে রেখে দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে চ্যাট ডিলিট হয়ে গেলেও কোনও ভয় নেই। কারণ সব তথ্য হাতেই থাকবে।
নিয়মিত ব্যাকআপেই ডেটা সুরক্ষিত থাকে। হোয়াটসঅ্যাপকে সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এই ফিচারগুলোকে ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ডিলিট হলেও ব্যাকআপ থেকে তুলে আনা যাবে। কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না।
আরটিভি / এএ