হাইটেক শহর বানাচ্ছে গুগল
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হাইটেক নগর এলাকা বানাচ্ছে টেক জায়ান্ট গুগল। গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি আলফাবেটের অধীনস্থ ‘সাইডওয়াক ল্যাবস’ নামক একটি নগর উদ্ভাবন কোম্পানি টরেন্টো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে একটি আদর্শ নগর জীবন বানানোর চেষ্টা করছে। খবর সিএনএন এর।
সাইডওয়াক টরেন্টো নামক এই প্রকল্পটি বানাতে আনুমানিক ১০০ কোটি ডলার খরচ হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ করার জন্য সাইডওয়াক ল্যাবস ৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
কুয়েসাইড নামক এই এলাকাটি হবে সম্পূর্ণ ‘গুগলময়’ এলাকা, যেটা একদম শূন্য থেকে তৈরি হবে। ডাস্টবিন থেকে শুরু করে ট্রাফিক লাইট পর্যন্ত সব জায়গাতে সেন্সর বসানো হবে। সেন্সরগুলোর মাধ্যমে এলাকার ট্রাফিক, শব্দ, বাতাস, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস ব্যবহার, ভ্রমণের প্যাটার্ন এবং আবর্জনা সম্পর্কিত সকল তথ্যাদি যাচাই বাছাই করা যাবে। সব জায়গায় বসানো থাকবে ক্যামেরা।
এই উচ্চাভিলাষী প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সাইডওয়াক ল্যাবস সেখানকার আবহাওয়াকে অনেক বেশি আরামদায়ক করার চেষ্টা করবে। এই হাইটেক নগর এলাকায় তারা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাবে ৭৩ শতাংশ, পানির ব্যবহার কমাবে ৬৫ শতাংশ এবং আবর্জনা উৎপাদন কমাবে ৯০শতাংশ।
যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হাটাকে প্রাধান্য দেয়া হবে, সেই সাথে থাকবে শেয়ারড গাড়ি ও সাইকেল।
আলফাবেট চেয়ারম্যান এরিক স্মিডট বলেন, দীর্ঘ দশ বছরের পরিকল্পনায় এ প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়।
সাইডওয়াক টরেন্টো নামক প্রকল্পের অধীনের এই এলাকাটিকে বলা হচ্ছে কুয়েইসাইড।
সাইডওয়াক ল্যাবসের সিইও ড্যান ডক্টরোফ বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানুষের জন্য বসবাস উপযোগী একটি কমিউনিটি তৈরি করা সম্ভব হবে। শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারের খাতিরেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে না এতে। বরং নগরপরিকল্পনা ও শহরের বড় বড় নিত্যনৈমত্তিক সমস্যার সমাধান খোঁজারও চেষ্টা করা হবে এর মাধ্যমে।
জানা যায়, গুগলের নতুন হেডকোয়ার্টার এখানে স্থানান্তর করা হতে পারে।
আরও পড়ুন
কেএইচ/জেএইচ
মন্তব্য করুন