নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল বাংলা নববর্ষ- ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে ২৬ এপ্রিল এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সুমধুর গান, দৃষ্টিনন্দন নাচ, কবিতা আবৃত্তি, ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র পরিবেশন এবং দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্প্রতি শ্রীংলকায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বাংলাদেশি শিশু জায়ান এবং অন্যান্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি তার বক্তব্যে কনস্যুলেট জেনারেলকে একখণ্ড বাংলাদেশ হিসেবে উল্লেখ করেন।
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা আমন্ত্রিত অতিথিদের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা তুলে ধরতে গিয়ে সম্প্রতি ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে ‘মানবজাতির বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ (Intangible Cultural Heritage) হিসেবে স্বীকৃতিদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বাংলাদেশের নববর্ষ উদযাপনে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য নববর্ষ আরও সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিল সদস্য কস্তা কনস্টাটিনিডেস, অ্যাসেম্বলি উইম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।
বৈশাখের ঐতিহ্য এবং দেশের আবহমান সংস্কৃতির পরিচায়ক হস্তশিল্প সামগ্রীসহ অন্যান্য উপাদান দিয়ে সুসজ্জিত মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্নাঢ্য আয়োজনে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ ছাড়াও বিদেশি অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং নিউ ইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমামের গান উপস্থিত শ্রোতাদেরকে মোহাবিষ্ট করে রাখে। ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয় আমন্ত্রিত অতিথিদের।
এ
মন্তব্য করুন