কবি শামসুর রাহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের আজ ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে সমাহিত করা হয়। কবি হিসেবে শামসুর রাহমানের দুই বাংলায় খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লেও কবির পেশা ছিল সাংবাদিকতা। তিনি একই সঙ্গে দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সহসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তানের অনুষ্ঠান প্রযোজক ছিলেন। এরপর তিনি আবার ফিরে আসেন দৈনিক মর্নিং নিউজে। সেখানে তিনি ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৬৪ সালের নভেম্বরে দৈনিক পাকিস্তানের সহকারী সম্পাদক পদে যোগ দেন এবং ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি একই সঙ্গে দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকে সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফায় বাধ্য করা হয়।
১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয় কবি শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৬৬টি, উপন্যাস ৪টি, প্রবন্ধগ্রন্থ ২টি, অনুবাদ কবিতা ৩টি, অনুবাদ নাটক ৩টি।
সাহিত্যে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক। এ ছাড়া তিনি আরও পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক, আবুল মনসুর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার ও আদমজী সাহিত্য পুরস্কার। সাংবাদিকতার জন্য পেয়েছেন মিতসুবিসি পুরস্কার। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি পুরান ঢাকার মাহুতটুলিতে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম এই প্রধান কবি।
করোনা সংক্রমণের কারণে এবার কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে থাকছে না কোনো আয়োজন। তবে বরাবরের মতো পরিবারের পক্ষ থেকে থাকছে ঘরোয়া আয়োজন।
এমকে
মন্তব্য করুন