দারুল উলুম দেওবন্দের দেড় শতাব্দী উপলক্ষে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় দারুল উলুম দেওবন্দ নিয়ে রচিত গ্রন্থ ‘দারুল উলুম দেওবন্দ: ইতিহাস, ঐতিহ্য, অবদানের গৌরবদীপ্ত দেড় শতাব্দী’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আরজাবাদ মাদরাসার ছাত্রদের খতমে বুখারী ও দস্তারবন্দী জলসায় দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসিন মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
গ্রন্থটি বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ কাসেমি রচিত ‘দারুল উলুম দেওবন্দ কী জামে ওয়া মুখতাসার তারিখ’-এর অনুমোদিত বঙ্গানুবাদ। দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিসে শুরার অনুমোদনক্রমে বাংলায় অনুবাদের কাজটি তত্ত্বাবধান ও সম্পাদনা করেছেন জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের প্রিন্সিপাল লেখক ও গবেষক মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া।
তিনি জানান, দারুল উলুম দেওবন্দের মজলিসে শুরার অনুমোদন, মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি ও সদরুল মুদাররিসিন মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আমরা বাংলা অনুবাদের কাজটি সম্পন্ন করেছি। গ্রন্থটির শুরুতে তাদের প্রশংসাবাক্য ও বাণীও যুক্ত হয়েছে। নবীন-প্রবীণ প্রতিভাবান বেশ কজন লেখক অনুবাদে অংশ নিয়েছেন।
বাহাউদ্দীন যাকারিয়া আরও জানান, বইটি দারুল উলুম দেওবন্দের ইতিহাস, শিক্ষা, দর্শন, রাষ্ট্র-সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও বিশ্বব্যাপী অবদান নিয়ে বিশদ আলোচনায় সমৃদ্ধ। দারুল উলুমের প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৬৬ থেকে নিয়ে ২০১৯ পর্যন্ত দেড় শতাব্দীর অধিককালের বিস্তারিত ইতিহাস এতে উঠেছে।
তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে দারুল উলুম দেওবন্দ নিয়ে রচিত সকল গ্রন্থের সারনির্যাস ৮১৬ পৃষ্ঠার বৃহৎ কলেবরের এ গ্রন্থ। ড. মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ কাসেমি অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় দারুল উলুম দেওবন্দের গৌরবময় অধ্যায়গুলো উপস্থাপন করেছেন। এটি শুধু ইতিহাস নয়; এটি দারুল উলুম দেওবন্দের একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল যা বাংলাভাষী গবেষক, শিক্ষার্থী এবং ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য অমূল্য সম্পদ।
সহীহ বুখারী শরীফের শেষ হাদিসের আলোচনায় আল্লামা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হাশরের ময়দানে মানব জাতিকে একত্র করে তাদের আমল ওজন করবেন। যার নেকির পাল্লা ভারী হবে তাকে জান্নাত প্রদান করা হবে, পক্ষান্তরে যার নেকির পাল্লা হালকা হবে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
বুখারী শরীফের দরস শেষে দেশ, জাতি, গাজা ও সমগ্র বিশ্বের কল্যাণ কামনা করা হয়।
মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও মাওলানা ফাহিমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন আওলাদে রাসুল- দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সাইয়েদ আরশাদ মাদানি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদীস মাওলানা মুফতি তাজুল ইসলাম। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ তালুকদার প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশসেরা ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক-গবেষক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/আরএ/এআর
মন্তব্য করুন