জাবিতে যৌন নির্যাতনবিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌন নির্যাতন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির উদ্যোগে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ, লোকপ্রশাসন বিভাগ এবং ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জেবউননেছা। তিনি বলেন, শুধু মেয়েরাই যে হেনস্তার শিকার হয় তা না ছেলেরাও এর স্বীকার হতে পারে। তাই এ বিষয়গুলো সবারই জানা জরুরি। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই বছরে ১৩টি অভিযোগ পেয়েছি এবং ১৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
সভায় অভিযোগ কমিটির সদস্য ও আইন অনুষদের ডিন তাপস কুমার দাস বলেন, আমরা চাচ্ছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টুডেন্ট এ সেবার আওতায় আসুক। আমরা সবসময় এ অভিযোগগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করে থাকি, যখন এ বিচার কার্যক্রম শেষ হয় তখন কে অপরাধী এটা সবাই জানতে পারে কিন্তু কে বা কারা এ অভিযোগ করেছে এটা কেউ জানতে পারে না। আর এই সেক্সুয়াল হয়রানি যে শুধু বিপরীত জেন্ডার থেকে আসতে পারে তা কিন্তু নয় এটা একই জেন্ডার থেকেও আসতে পারে, সহপাঠী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকেও আসতে পারে।
সভায় যৌননির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সদস্য ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুরশেদা বেগম এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ইশিতা আখতার বক্তব্য রাখেন।
যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির সদস্য সচিব মাহতাব-উজ-জাহিদ জানান, ২০১০ সালের ১০ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ কমিটি গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই যৌন নির্যাতন অভিযোগ গ্রহণ, নিষ্পত্তি ও শাস্তির সুপারিশ করে আসছে এ কমিটি। এ পর্যন্ত মোট ৩০টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ২৮ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে, একটি রিপোর্ট সিন্ডিকেট সভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, অন্য আরেকটির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, এখন রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন