প্রশ্নফাঁসের গুজবে পরীক্ষার্থীদের প্রতারিত করার চেষ্টা চলছে : ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়িয়ে একটি চক্র পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। একইসঙ্গে এ ধরনের গুজব ও প্রতারকদের থেকে সবাইকে সাবধান থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
ঢাবি উপাচার্য বলেছেন, তিনদিন ধরে অনলাইন মাধ্যমে একটি প্রতারক চক্র ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে। বাস্তবে কোনও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। এই চক্রের মূল কাজ হলো আমাদের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যারা এ সম্পর্কে জানেন না, তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এজন্যই তারা প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রতারক চক্রটি সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে। আপনাদের অনেক সাংবাদিকও তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই চক্রটি প্রশ্নের বিনিময়ে আপনাদের কাছ থেকেও অগ্রিম টাকা চাচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত এই চক্রের হাতে প্রতারিত হওয়ার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, আমরা সংবাদ মাধ্যমগুলোতে সবাইকে এই প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। আশা করি, খুব দ্রুত চক্রটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হবে। আমরা সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকছি যেন প্রতারক চক্রটি এবারের ভর্তি পরীক্ষাকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে না পারে।
উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ হয়েছে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ তথা ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা। বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়েছে পরীক্ষাটি।
উপাচার্য বলেন, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। বেলা ১১টায় ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে একযোগে পরীক্ষা হয়েছে। গতকাল রাত ও আজ সকালে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তি কমিটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রশ্নফাঁস হয়নি।
‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষায় এবার দুই হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে এক লাখ ২২ হাজার ২৭৯টি। সে হিসাবে প্রতিটি আসনের জন্য ৪২ জন শিক্ষার্থী লড়াই করেছেন।
পরীক্ষায় সময় ছিল এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এর মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ অংশের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৫ মিনিট। আর বাকি ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৫ মিনিট।
মন্তব্য করুন