• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

নোবিপ্রবিতে যেন ময়লার ভাগাড়, দ্রুত অপসরণের দাবি শিক্ষার্থীদের

মো. রিয়াদুল ইসলাম

  ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:০০
বর্জ্য

যত্রতত্র ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা, চারপাশে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নেই বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থাপনা। এমনই চিত্র দেখা গেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১০১-একরের ক্যাম্পাসে জুড়ে।

প্রতিদিন প্রায় ছয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পদচারণা উপকূলের এই বিদ্যাপীঠে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ময়লা-আবর্জনার স্তূপ বৃদ্ধির কারণে স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করা যেন দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

সাকিব আল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ময়লা ফেলার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ডাস্টবিন দেখিনি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা দোকান থেকে কিছু খাওয়ার পর উচ্ছিষ্ট বা প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। পরে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলে তারা বলে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং লোকবলের অভাবে ময়লাগুলো পরিষ্কার করা যায় না।

ইসরাত জাহান নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে ফেয়ারওয়েল, চড়ুইভাতি এবং যেকোনো প্রোগ্রাম শেষে ময়লাগুলো ক্যাম্পাসের আশেপাশেই ফেলা হচ্ছে। এগুলো পরিষ্কারের কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। ফলে দিন দিন আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। ক্যাম্পাসটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এটিই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, প্রশান্তি পার্কের পাশে, পকেট গেটের সামনে, একাডেমিক ভবন-১ এর পেছনে, একাডেমিক ভবন-২-এর সামনে, লাইব্রেরি ভবনের সামনে, গ্যারেজের চারপাশে,শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমিটরির সামনে এবং শান্তিনিকেতনের পাশেসহ ১০১ একরের বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে স্তূপ করে প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। ধীরে ধীরে স্থানগুলো ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গায় রূপ নেয়। অনেক সময় পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে পুড়িয়ে ফেলা হয় বর্জ্যগুলো।

পচা, দুর্গন্ধ ও আবর্জনা পোড়ার ধোঁয়া শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে নোবিপ্রবির ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভিন তানিয়া বলেন, নোংরা বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আমরা যেসব রোগে আক্রান্ত হই তা হলো, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, অ্যাজমা এবং ক্ষুধামন্দা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা, বিরক্তিকর পরিস্থিতি এবং টাইফয়েড জ্বরের দেখা দিতে পারে। এতে করে তাদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ ধীরে ধীরে চলে যাবে। মোট কথা নোংরা বা দূষণ পরিবেশে সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না।

এদিকে ক্যাম্পাসের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দুইটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে এবং কমিটিগুলো বর্জ্যের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাট ও হাউজিং শাখার প্রধান ডেপুটি রেজিস্টার মো. গোলাপ হোসাইন।

তিনি জানান, কমিটির দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসে কী পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন জমা হয়। আমরা তিনটি মিটিং করে বর্জ্যের একটি পরিমাণ নির্ধারণ করেছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশও পাঠিয়েছি। সেই সুপারিশের আলোকে আরেকটি কমিটি করা হয়। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক যে বর্জ্যগুলো হয় তা নোয়াখালী পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে যেখানে ময়লা সংরক্ষণ করা হয় সেখানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়: প্রেস সচিব
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
৯৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিলো ঢাবি
সাত কলেজের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি নির্দেশনা