ডিআইইউতে সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করতে টিউশন ফি মওকুফের প্রলোভন!
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের জন্য সংগঠনটির সাবেক সভাপতি মুছা মল্লিককে টিউশন ফি মওকুফের প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি অডিওক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল অডিওতে ফোনের এক প্রান্ত থেকে পুরুষকণ্ঠে (যাকে প্রক্টর ড. সাজ্জাদ হোসেন দাবি করা হচ্ছে) মুছা মল্লিককে বলতে শোনা যায়, ‘সিভিলের ওই বিষয়টা নিয়ে তোমরা বেশি লেখালেখি করার কারণে কর্তৃপক্ষ আরও নাখোশ হয়েছে। তুমি যদি লেখাপড়া করতে চাও তাহলে এটা নিয়ে হয়তো অথরিটির সঙ্গে তোমার পক্ষ হয়ে কথা বলে যতদূর পারি, হয় ফুল ফ্রি নয়তো যতদূর পারি আমি তোমার টিউশন ফি মওকুফ করে দেব। এখন সেটা যদি তুমি চাও।’
এ বিষয়ে ডিআইইউ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মুছা মল্লিক বলেন, সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের জন্য প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন আমাকে টিউশন ফি মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। তাকে বলেছি, আমরা সাংবাদিকতা করার অধিকার চাই। এরপর প্রক্টরের সঙ্গে আমার কথোপকথনের অডিও ফাঁস হওয়ার পর তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ম্যাসেজ দিয়ে বলেছেন, ‘তোমাকে টিউশন ফি’র ব্যাপারে হেল্প করা কি আমার অপরাধ ছিলো? আমার পারমিশন ছাড়া ভয়েস রেকর্ড করা কি সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতায় পড়ে।’
তবে অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে অডিও ফাঁসের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাংবাদিকতা করায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় এ ধরনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে।
মন্তব্য করুন