গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের আনন্দে অনিশ্চয়তা
দীর্ঘ ১০ বছরের প্রতীক্ষা শেষে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) চতুর্থ সমাবর্তন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে আনন্দে আত্মহারা বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। তবে নানান অনিশ্চয়তায় সমাবর্তনের আনন্দ এখন হতাশায় রূপ নিয়েছে।
এই অনিশ্চয়তার পেছনে কাজ করছে বেশ কয়েকটি কারণ। সেই কারণগুলোর মধ্য রয়েছে নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা ছাড়াই সমাবর্তনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু, সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার ঘাটতি, অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগসহ আরও বেশ কিছু কারণ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান প্রশ্ন তুলে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সমাবর্তনের নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়েই নিবন্ধন শুরু হয়। এটাই দেখে আসছি আমরা। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ-স্থান না জানিয়ে নিবন্ধন শুরু করা অপেশাদার সিদ্ধান্ত। এটা প্রশাসনের স্বচ্ছতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। দ্রুত কিংবা চলতি বছরে সমাবর্তন না হলে, এর দায়ভার কে নেবে?
বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত একাধিক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, আমরা যারা দেশের বাইরে অবস্থান করছি, তাদের জন্য তারিখটা খুব জরুরি। চাইলেই যেকোনো সময়ে দেশে ফেরা যায় না। কর্তৃপক্ষের এসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত। দ্রুতই সমাবর্তনের তারিখ জানানো প্রয়োজন। অন্যথায় অনেকেই অংশ নিতে পারবে না।
তবে সুনির্দিষ্ট তারিখের ঘোষণা না এলেও আগামী জুনের শেষদিকে সমাবর্তন আয়োজনে আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের ভাষ্য, তারিখ আমাদের হাতে নেই। রাষ্ট্রপতি সময় দেওয়ার পর জানাতে পারবো। যেহেতু আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে, তাই সব কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি। তারিখের জন্য বসে থাকলে, পর্যাপ্ত সময় না-ও পেতে পারি।
তিনি যোগ করেন, শিক্ষার্থীদের ১০ বছরের অপেক্ষার অবসান হবে। তাই সুন্দর একটি সমাবর্তন উপহার দিতে চাই। এজন্য একাধিক কমিটি করেছি। এখানে স্বচ্ছতার অভাব হবে না। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) মো. ওমর ফারুখ জানান, নিবন্ধন ছাড়া সমাবর্তন কিভাবে হবে? সব বিশ্ববিদ্যালয়েই এভাবে হয়।
মন্তব্য করুন