‘১৯৮০ সাল থেকেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন করেছিলাম’
কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী বলেছেন, আমি ১৯৮০ সাল থেকেই আবেদন করে আসছিলাম ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত। ওই সময়ে সরকারিভাবে পালন করা অনুষ্ঠানে আমি অনুরোধ করেছি জাতীয় কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে। সেটা হয়েছে।
রোববার (২ জুন) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ কথা বলেন তিনি।
কবির নামে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ দিন নজরুল পদক ২০২৪ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খিলখিল কাজী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসায় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক কর্মকাণ্ড নিয়ে এগিয়ে চলেছে। নজরুল পদকের যে ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করেছে বেশ কিছু কাল ধরে, বাংলাদেশের গুণীজন সহ যারা বিদেশে কাজ করছেন কাজী নজরুলকে নিয়ে তাদেরকে তারা পুরস্কৃত করছেন, পদক দিচ্ছেন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং আত্মাকে শান্তি দেবার মতো একটা কাজ।
জাতীয় কবির ১২৫ তম জয়ন্তী উপলক্ষে নজরুল পদক প্রদান অনুষ্ঠান ২০২৪ এর এই আয়োজনে তিনি কবির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেছেন, আমি আমার দাদুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। শুভ জন্মদিনে তার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। যতটুকু তাকে পেয়েছিলাম, ততটুকুর মধ্যে তার সংস্পর্শে বড় হয়েছিলাম। এটা আমার জন্য একটা বিরাট স্মৃতি।
খিলখিল কাজী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম সবসময় বলে গেছেন গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহিয়ান। এই কথাটি আজকে বিশ্বব্যাপী প্রতিফলিত হচ্ছে সকলের হৃদয়ে। কারণ আজকের পৃথিবীতে যে নাশকতা, আজকে যেভাবে যুদ্ধ বিগ্রহ চলছে। এগুলো কবি নজরুল কখনোই চাননি। এই জাত পাতের বিভেদ তিনি কখনও তিনি মেনে নেননি। তার সকল কবিতায় গানে এটি প্রকাশ করে গেছেন। তার দেশাত্মবোধক গান নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বর। যে গান গাইলে আমাদের প্রাণ জেগে ওঠে।
খিলখিল ও মিষ্টি কবি নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সব্যসাচীর মেয়ে। সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে জাতীয় কবির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি চাওয়াসহ কবির নানান বিষয়ে সবর থাকেন তারা।
মন্তব্য করুন