বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের
কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধ চলাকালে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কে গান, আবৃত্তি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান যে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে মাঠে এসেছি। আমাদের যৌক্তিক দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত না বাস্তবায়ন হবে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
মন্তব্য করুন
চাকরিতে যোগ দিতে এসে তোপের মুখে ২ ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেছেন শফিকুল ইসলাম সজল ও ইলিয়াস দেওয়ান নামের দুই ছাত্রলীগ নেতা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে অফিস করতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পরে পদত্যাগ করেন তারা। তাদের বিপক্ষে জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলনের বিপক্ষে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নবম ও দশম গ্রেডে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এসব পদে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ মোট ১৬ জন নিয়োগ পান। শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হলের সীট দখলসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসেও একরকম অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাকর্মীদের। এরমধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এলে শিক্ষার্থীরা তাকে জুতার মালা পরিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এড়িয়ে চলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কর্মস্থলে আসা বন্ধ করে দেন সজল ও ইলিয়াস নামের এই দুই শীর্ষ ছাত্রলীগ নেতা। তবে বুধবার (১৬অক্টোবর) এই দুইজনের অফিস করতে আসার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় তাদেরকে অফিস থেকে বের করে এনে এক পর্যায়ে তাদেরকে পদত্যাগ করার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় দাবির মুখে রেজিস্টার বরাবর পদত্যাগপত্র লিখে স্বাক্ষর করেন এই দুই নেতা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন শিক্ষার্থীদের। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন এই দুই নেতা।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ছাত্রলীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সজল, ইলিয়াস দেওয়ানসহ হাবিপ্রবি থেকে নিয়োগ পাওয়া সেকশন অফিসাররা চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য এবং ইতোপূর্বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল। এবং তারা অবৈধ ভাবে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে। গত ১৬ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ হলে সেকশন অফিসার সজল উপস্থিত থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হামলা করার জন্য ছাত্রলীগকে উস্কে দিয়েছিল। তাদের অফিস করতে আসার খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে যায় এবং সজল, ইলিয়াসকে পদত্যাগ করার জন্য আহ্বান করে। এরই প্রেক্ষিতে তারা নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করে।
আরটিভি/এসএপি
স্নাতকের ফলাফলেও শহীদ আবু সাঈদের চমক
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করার পর এবার স্নাতক চূড়ান্ত ফলাফলেও চমক দেখিয়েছেন পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে সিজিপিএ ৩.৩০ পেয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর অনুমোদনে ফলাফল প্রকাশিত হয়। এ সময় শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণ করে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
ড. মো. শওকাত আলী বলেন, ‘আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ৬৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আবু সাঈদ মেধাতালিকায় ১৪তম স্থান অধিকার করেছে। এটি আমাদের ভালো লাগার বিষয়। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে আমরা শোকাহত। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।’
আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাই প্রতিবছর ভালো রেজাল্ট করে। আজ আমার ভাই নেই। এই রেজাল্ট দিয়ে কী করব?’
আবু সাঈদের বন্ধুরা জানান, শিক্ষার্থী হিসেবে অনেক ভালো ছিল সাঈদ। ও রেজাল্ট দেখলে কত খুশি হতো! আজ আবু সাঈদ আমাদের মাঝে নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. তাজুল ইসলাম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ হোসেন ও অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ফিরোজুল ইসলাম ফলাফল প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর শহীদ আবু সাঈদ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।
আরটিভি/এসএপি-টি
বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষায় বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করছেন একদল পরীক্ষার্থী।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিক্ষোভ পালনকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। হামলায় তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইতোমধ্যে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ জন্য তারা সবগুলো বিষয়ে ‘ম্যাপিং’ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ফলাফল নতুন করে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার পর ‘এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪’-এর ব্যানারে একদল পরীক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা ১টার দিকে মিছিলটি বোর্ডের ফটকের সামনে পৌঁছায়।
একপর্যায়ে ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট ওই শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা দাবি করছেন, বোর্ডের ভেতরে তাদের ওপর হামলা হয়। এই হামলায় তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে কিছু শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এমনকি তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালান। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের কক্ষেও ঢুকে পড়েন। বোর্ড চেয়ারম্যানকে ঘিরে সেখানে বিক্ষোভ করছেন তারা। ফল বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে যাবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে বাতিল পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করেছি। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও শিক্ষার্থীরা কী বলতে চায়, শুনবো। সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা অবগত করবো।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন জানান, ফলাফলে বৈষম্য হয়েছে—এই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিবাদে তারা বোর্ডের সামনে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। নথিপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রক্ষায় বোর্ডের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বাধা দেন। তখন ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এখনও বোর্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধি দল ঠিক করে দিলে, পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
আরটিভি/এসএইচএম
অটোপাসের দাবিতে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বাতিল করে অটোপাসের দাবিতে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করবো। আগামীকাল আমার পদত্যাগপত্র জমা দেবো।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুর থেকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন একদল পরীক্ষার্থী। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাজে ফলে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের কক্ষেও ঢুকে পড়েন। ফল বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে যাবেন না বলেও ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় রাতেও নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে দেখা যায় ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে।
আরটিভি/এসএইচএম
রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে হিজাব, যা জানা গেল
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে নারী প্রতিকৃতির মাথায় হিজাব পরানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাবি প্রশাসন।
রোববার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গভীর রাতে কয়েকজন যুবক মাস্ক পরে মোটরসাইকেলে এসে এই হিজাব পরিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে রাত দেড়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও তারিকুল ইসলাম এসে প্রতিকৃতি থেকে হিজাবটি সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে তারিকুল বলেন, রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতিতে কালো কাপড় পরানো গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলো চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের অংশ। এর মাধ্যমে তারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্রের বিষয়ে বিপ্লবী ছাত্রজনতাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সেই কালো কাপড় তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি। ফ্যাসিস্ট শক্তিগুলোর চক্রান্তকে রুখে দেওয়ার দায়িত্ব আপনার, আমার, সবার।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে খবর পেয়ে আমাদের টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে। দোষীদের ধরতে আমরা খুব দ্রুতই তদন্ত কমিটি গঠন করব।
অরটিভি/এসএপি/এসএ
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ৪ জানুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির বৈঠক বসে সোমবার। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। ওই দিন চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। ২৫ জানুয়ারি হবে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ১ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসা শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। এর আলোকে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে আগামী ৪ নভেম্বর দুপুর ১২টা হতে। চলবে ২৫ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত।
এবারের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আরটিভি/এএইচ-টি
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় তারা সংবিধান বাতিল এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানান।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। পরে শাহবাগমুখী রাস্তা ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, সূর্য সেন হল, উপাচার্যের বাসভবন ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’; ‘আমার ভাই কবর, খুনি কেন ভারতে’; ‘ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ, করতে করতে হবে’; ‘এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়’; ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ‘মুজিববাদ নিপাত যাক, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘ছাত্রলীগ/সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে কোনোভাবে আর এদেশে মেনে নেবে না। গত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড তাদের কোনোভাবে ছাত্রসংগঠন হিসেবে বৈধতা দেয় না। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শিগগিরই তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ছাত্রলীগ থাকবে কি না তা ঠিক হয়ে গেছে ১৫ জুলাই। ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়ে গেছে ৫ আগস্ট। ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন আর কখনও হবে না।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে উদ্দেশ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনি বঙ্গভবনের বিলাসিতা নিয়ে নিজের রাস্তা মাপুন।
সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, ছাত্রসংগঠনের নামে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হয়ে ও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে যারা, তাদের অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এর আগে, চবিতে রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
জানা যায়, সোমবার ভোর ৪টা নাগাদ ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলগেট এলাকায় আপ্যায়ন নামে এক দোকানে হামলা করে। এরপর আশপাশের আরও কিছু দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আতঙ্ক ছড়ায়।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় যায়। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেন।
আরটিভি/একে-টি