• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

ব্র্যাকের বিদেশি রেজিস্ট্রার ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াননি কোনো শিক্ষক

আরটিভি নিউজ

  ১৭ জুলাই ২০২৪, ১১:০৯
সংগৃহীত ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবির আন্দোলনে উত্তাল পুরো দেশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সারা দেশে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের এই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে দেশের কোন শিক্ষককে কার্যত তাদের পাশে দেখা যায়নি। তবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে তাদের পাশে থেকে একাত্মতা জানিয়ে অংশ প্রশাংসায় ভাসছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিদেশি রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড।

মঙ্গলবার কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় রামপুরা-কুড়িল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড।

সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রধান ফটকে রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অনেকে তার প্রশংসা করে পোস্ট দিচ্ছেন।

ছবিতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তা অবরোধ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন পাশেই নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ডেভিড ডাউল্যান্ড। যতক্ষণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ছিলেন, ততক্ষণ তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলেও শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছেন।

ওই সময় ডেভিড ডাউল্যান্ড শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘তোমাদের দাবি আদায়ের কর্মসূচিকে আমি উৎসাহিত করছি। তোমরা নিরাপদে থেকো। কর্মসূচিতে কোনো ধরনের আক্রমণ হলে আমি প্রধান ফটক খুলে দেব। বাকিটা নিরাপত্তাকর্মীরা দেখবে। তোমরা চিন্তা করো না।’

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ডাউল্যান্ডের এমন উৎসাহে উদ্বেলিত হয়েছেন আহম্মেদ রাসেল নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমরা রাস্তা অবরোধ করার কিছুক্ষণ পরই স্যার ওখানে আসেন। অনেকে ঘাবড়ে গেছিলাম যে হয়তো স্যার আমাদের ফিরে যেতে বলবেন। অথচ তিনি আমাদের সমর্থন দিয়ে বিকেল পর্যন্ত কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেছেন। স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত দুই দিন এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন রাজধানীর বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীরা। রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক ছাড়াও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। অন্যদিকে নতুনবাজার মোড় ও বসুন্ধরা গেট এলাকায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

উল্লেখ্য, চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রোববার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। মঙ্গলবার সেই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে ৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আগামীর রাজনীতি হবে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পূরণের: খসরু
অপরাজনীতির কারণে আওয়ামী রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে: প্রিন্স
গণহত্যার দায়ে আ.লীগকে দেশের মানুষ রাজনীতি করতে দেবে না: আবু হানিফ
খেলোয়াড়দের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা