দাবি আদায়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
নয় দফা দাবি আদায়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টায় কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
কর্মসূচিতে ‘বুকের ভেতর বইছে ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘৭১-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ’১৮-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ বলে একের পর এক স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার বেলা ১১টার পর থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেটের আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন কর্মসূচির খবর পেয়ে পূর্ব থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট ও মেইন গেট এলাকায় সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেন পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষকবৃন্দ। প্রধান ফটকে কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ‘আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি প্রধানত দুইটি কারণে, আমাদের যে নয় দফা দাবি ছিল রাষ্ট্র বরাবর তা আদায়ের লক্ষে এবং গতকাল আমরা লক্ষ করেছি আমাদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের দিয়ে জোড় পূর্বক, তাদেরকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে এবং বাধ্য করে বিবৃতিটি পাঠ করানো হয়েছে। এই দুইয়ের প্রতিবাদে আমরা সারা বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আজ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছি।’
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন