থানায় ৯ ঘণ্টা থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করলেন রাবি শিক্ষকরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করে নগরীর দুই থানা পুলিশ। শিক্ষার্থী আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে তাদের ছাড়াতে থানায় ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। আটকদের না ছাড়া পর্যন্ত ফিরে যাবেন না বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত ১টার দিকে অবশেষে তিন শিক্ষার্থীকে মতিহার থানা থেকে মুক্ত করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন শিক্ষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আদালতের প্রধান ফটকের সামনে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন। তবে পথে পুলিশের বাধার কথা চিন্তা করে তারা কর্মসূচি পরিবর্তন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করার ঘোষণা দেন। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার পথে দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে থেকে ও একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ।
আটকরা হলেন ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সৈয়দ সামিউল বাসিত, মাজেদ হাসান এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম। শিক্ষকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ সময় বাকিদের মুক্ত করতে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক ড. আমীরুল ইসলাম কনক বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আটক করার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক মতিহার থানায় ছুটে যাই। আসলে শিক্ষার্থীদের ভুলটা কোথায়? কিসের জন্য তারা তাদেরকে আটক করেছে। শিক্ষার্থীরা অধিকার আদায়ের জন্য কথা বলছে। দুই-তিন ঘণ্টা অবস্থান করার পর আমরা তাদেরকে মুক্ত করি। আমরা এখনো বেঁচে আছি। আমি শিক্ষকদের বলবো, এখনো সময় আছে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান।
মন্তব্য করুন