ইবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে শিক্ষা সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনজনই। পত্রে তারা ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম উপাচার্য হিসেবে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান ড. শেখ আবদুস সালাম। পরে ২০২১ সালের ৫ মে কোষাধ্যক্ষ ও ৩০ জুন উপ-উপাচার্য নিয়োগ পান।
মন্তব্য করুন
এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশ করা হবে। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন।
বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু পরীক্ষকদের দেওয়া নম্বরগুলো ঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, তা দেখা হয়।
এবারে প্রতিটি বোর্ড দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করতে পারবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন। প্রতিবারের ন্যয় এবারও ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল জানা যাবে দুই পদ্ধতিতে। একটি হলো এসএমএসের মাধ্যমে। এ ছাড়া নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন।
প্রথম ফল প্রকাশের সময় যেভাবে এসএমএস পাঠিয়ে ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যায়, পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে তা নয়। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সময় যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন, সেই নম্বরে বোর্ড থেকে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানিয়ে দেবে। তাই ফলাফলের জন্য এসএমএস পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিজ শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে ফল জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন নেওয়া হয়। ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
আরটিভি/এমএ-টি
রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা বললেন সমন্বয়করা
জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার, তাই উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই তাদের বক্তব্য নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্লাটফর্মটির বাংলামোটর কার্যালয়ে চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, আসন্ন কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।
বৈঠক শেষে আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, আমাদের আজকের সভায় ১৫৮ জনের মধ্যে ৭০-৮০ জন সমন্বয়ক ছিলেন। তবে অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। নিজেদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলাও নেই আমাদের, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই আমাদের বক্তব্য নিতে হবে।
সমন্বয়কদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু সরকারের গুণগান গাইব না। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনাও করা হবে। এ ছাড়া মানুষের ভোগান্তি হয় এমন কোনো কিছু করবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তিনি জানান, বিপ্লবের ১০০ দিন উপলক্ষে আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের কমিটি দেওয়া হবে।
আরটিভি/এফএ
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাবিতে সিন্ডিকেট মিটিং পণ্ড
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত শিক্ষকদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সিন্ডিকেট মিটিং চলাকালে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাবির নবাব আলী চৌধুরী সিলেট ভবনে সন্ধ্যার পর মিটিং বসে। এ সময় সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের নির্ধারণী কাজ করছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে শিক্ষার্থীবিরোধী অবস্থানের জন্য বিতর্কিত হয়ে পড়ে এই সিন্ডিকেট বডি। এরই জোরে ধরে সিন্ডিকেট মিটিং পণ্ড করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিটিং চলছে এমন খবর জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের একাংশ মধুর ক্যান্টিনে জমা হতে থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
সংগঠিত ছাত্রদের একটি অংশ মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল করতে করতে নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের যে স্থানে সিন্ডিকেট চলছে সেখানে পৌঁছে যায়। ফলে ভেস্তে যায় মিটিং। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, এই সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। গত ১৭ জুলাই ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সদস্যদের মিটিংয়েই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সোয়াট দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিন্ডিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমনকি এই সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
তিনি আরও বলেন, নিয়ম না মেনে গঠিত এই সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। দলীয় আনুগত্যের বিবেচনায় সিন্ডিকেট গঠন করা যাবে না। সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নেই। সিন্ডিকেটে অবশ্যই শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা দরকার।
আরটিভি/একে
২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস ভাইরাল, যা জানাল শিক্ষা বোর্ড
সম্প্রতি ফেসবুকে ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) সম্পর্কিত যে চিঠি ভাইরাল হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ডের চেয়ারমান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি সম্পর্কিত যে চিঠি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত নয়। ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধও করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
আগের নিয়মে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা
আগের নিয়মে ফিরে আসছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা। একসময় এ দুটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশজুড়ে বৃত্তি পরীক্ষা হতো। এতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেতেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু করার পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা তুলে দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১২ সালে প্রণীত সৃজনশীল পদ্ধতি বহাল করা হয়েছে। এতে গতানুগতিক ধারায় আগের মতো বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফলে আগের নিয়মে বৃত্তি পরীক্ষা হবে কি না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে পুরোনো পদ্ধতিতে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিকের সমাপনীর (পঞ্চম শ্রেণি) আগে পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দফায় দফায় পরীক্ষা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়বে বলেই বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছিল। এখন তা আবার চালু করলে কোচিং ও গাইড ব্যবসা রমরমা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। আগের নিয়মে আবার ফেরা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হবে না। যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী, কেবল তাদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। এমনটিই ছিল একসময়। শিশুরা ছোটবেলা থেকে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বড় হতে শিখবে।
আরটিভি/একে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ফিরছে পুরনো পদ্ধতি
আগামী বছর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আবারও চালু হচ্ছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক টিমের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। আমরা ২০২৫ সালকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। পূর্বের সকল পরীক্ষাগুলো যদি আমরা আগামী বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে পারি, তাহলে সেশনজট ৬০-৭০ শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আমরা এ ধারণাগুলো থেকে বের হওয়া চেষ্টা করছি। আমাদের যে সিলেবাস রয়েছে, সে সিলেবাস কারিকুলাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।’
সমাবেশটি পরিচালনা করেন বিসিকের পরিচালক ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাছানাত আলী, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই ছিদ্দিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরটিভি/এসএপি
পোষ্য কোটা নিয়ে মন্তব্য, সমন্বয়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পোষ্য কোটা নিয়ে মন্তব্য করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চারটি সংগঠন।
পোষ্য কোটা নিয়ে কথা বলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারের ওপর চটেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি সংগঠন আম্মারের বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাবি অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৬ নভেম্বর সকাল ১০টার সময় রাবি অফিসার সমিতির কার্যালয়ে অফিসার সমিতির উদ্যগে রাবি সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গত ১৫ নভেম্বর ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের জনৈক ছাত্র সালাহউদ্দিন আম্মার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের নিয়ে অশালীন, অশ্লীল ও কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ করেন, যা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের সন্তানদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার, মানহানীকর ও অসম্মানের।
এতে আরও বলা হয়, শিষ্টাচার বহির্ভূত এহেন বক্তব্যে রাবি অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং সকল সমিতির পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতিকে বক্তব্য দানকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পত্র প্রদানের পর দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অফিসার সমিতি, অন্যান্য সমিতি ও ইউনিয়নের যৌথ সভায় পরবর্তীতে কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, অভিযুক্ত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবির অন্যতম সমন্বয়ক। অফিসার সমিতি তাদের অভিযোগ পত্রে আম্মারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অশ্লীল বা, অশালীন শব্দ ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, গত দুইদিন আগে আমি একটি লাইভে বলেছি যে, যদি কোটা নিতেই হয়, তবে পোষ্য কোটা নয় আপনারা ভ্যালিড একটা কোটার ব্যানারে যান। হয়তো প্রতিবন্ধী কোটা, যদি আপনার সন্তানকে প্রতিবন্ধী মনে হয়, অথবা তৃতীয় লিঙ্গ কোটা চালু করে সুবিধা নেন। আমরা কিছুই বলবো না। তারা হয়তোবা এটাকেই তাদের প্রতি অপমানজনক কথা হিসেবে নিয়েছে। এটা আমার প্রতিবাদের ভাষা। এই ভাষা থেকে লজ্জা পেয়ে হলেও তারা পোষ্য কোটা বাতিলের ব্যাপারে একমত পোষণ করবে বলে আশা রাখছি।
তিনি আরও বলেন, আমার কথা স্পষ্ট। এতে কেউ কষ্ট পেলে আমি বিষয়টা ক্লিয়ার করতে পারবো যেকোনো জায়গায়। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা যদি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বলে মনে হয়, তাহলে তাদের বেতন, সুবিধা বাড়িয়ে দেন- আমরা কিছুই বলবো না। কিন্তু আমাদের মেধার বিপরীতে তাদের সন্তানদের এই খাপছাড়া সুবিধা মেনে নিবো না আমরা।
আরটিভি/একে