রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের অধ্যক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুলের অধ্যক্ষ মো. শফিউল আলমকে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনে সহকারী অধ্যাপক আশুতোষ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করে স্কুলের ৫২ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে স্বাক্ষর করেন স্কুলের পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. খালেদুজ্জামান।
সভায় শফিউল আলমকে অধ্যক্ষ পদে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা ছাড়াও তিনি ভবিষ্যতে কোনোভাবে স্কুলে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রবেশের চেষ্টা করলে স্কুলের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম হতে বিরত থাকার এবং সিদ্ধান্তটি রাবি প্রশাসনকে অবহিত ও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, অধ্যক্ষ শফিউল আলম দায়িত্বে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নানা ধরণের দুর্ব্যবহার করেছেন। তার আর্থিক বিষয়ে অস্বচ্ছতা রয়েছে এবং তার নিয়োগ প্রক্রিয়াও প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝেও রাজনীতিকরণের চেষ্টা করেছেন। যা আমাদের শিক্ষার পরিবেশকে চরমভাবে ব্যহত করে। এছাড়া চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমাদের শিক্ষার্থীরাও গ্রেপ্তার হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে তিনি কোনো ধরণের ভূমিকা নেয়নি। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আমাদের মন্তব্য করা থেকেও তিনি বিরত থাকতে বলেন।
তিনি বলেন, এসব বিষয়ের ফলে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন। এরপর থেকেই আমাদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অবিভাবকবৃন্দ তার পদত্যাগের দাবিতে গতকাল থেকে আন্দোলন করছে। এ বিষয়ে আমরা তার সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাইনি, তিনি অনুনোমোদিতভাবে ছুটিতে আছেন। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সকলের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধাতে এসেছি। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার স্বার্থে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়েছে।
অধ্যক্ষ শফিউল আলমের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় অবাঞ্ছিতের বিষয়ে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন