ডেন্টাল কলেজের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু বৃহস্পতিবার
সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটের প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে।
রোববার (১৮ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটগুলোতে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ডিডিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ক্লাস বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে শুরু হবে।
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে ৯-১৫ বছর বয়সীরা
ঢাকা বোর্ডে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে শিক্ষার্থীর বয়স ৯ বছরের বেশি হতে হবে। আর সর্বোচ্চ বয়স ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। বিশেষ চাহিদসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ২০ বছর। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে এসব এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে নির্ধারিত ফি ৭৪ টাকা। এর মধ্যে মূল রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা ও রেডক্রিসেন্ট ফি ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত বছর থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো এ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বোর্ডের ওয়েবসাইটে নির্ধারিত (OMES/eSIF) বাটনে ক্লিক করে ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দিতে হবে।
Dashboard থেকে eSIF SIX ক্লিক করে Payable fees of VI 2024 এ Applicant name, mobile no. এবং Number of Students দিয়ে Print Sonali Seba এ ক্লিক করে সোনালী সেবার স্লিপটি প্রিন্ট করতে হবে। ফরমটি ফটোকপি করে ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে না।
ব্যাংকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেমেন্ট ক্লিয়ার করলে নির্ধারণকৃত শিক্ষার্থীদের eSIF পূরণ করা যাবে। পেমেন্ট ক্লিয়ারের পুনরায় সোনালী সেবার স্লিপ বের করতে পারবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এবং বাদপড়া শিক্ষার্থীদের তথ্য অ্যান্ট্রি করতে পারবেন।
এতে আরও জানানো হয়েছে, পাঠদানের অনুমতি ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন। আর পাঠদানের অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী বা নিকটতম অনুমোদিত নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
পাঠদানের অনুমতিবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো অবস্থাতেই নিজ স্কুলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন না। কোনো শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন থেকে বাদ পড়লে বা ভুল হলে, তার দায়ভার প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে নিতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জবির সহসমন্বয়ক পরিচয়ে হেলপারকে মারধর করা সেই যুবক ছাত্রলীগ কর্মী
সম্প্রতি এক যুবকের লোকাল বাসের হেলপারকে মারধর করার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হেলপারকে চড়-থাপ্পড় মারতে মারতে ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘তুই চিনস আমারে, চিনস? আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহসমন্বয়ক।’ ১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে পুরোটা সময়জুড়ে মারমুখী অবস্থায় ছিলেন ওই যুবক।
এবার জানা গেল মরধর করা যুবকের পরিচয়। তৌসিফ শাকিল নামে ওই যুবক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সহসমন্বয়ক পরিচয় দিলেও তিনি মূলত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন। কেউ কেউ বলছেন, সহসমন্বয়ক তো দূরের কথা, বৈষম্যবিরোধী কোনো আন্দোলনেই ছিলেন না তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা বলছেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে শাকিল আমাদের সমন্বয়কদের কেউ নয়। তিনি আগে ছাত্রলীগ করতেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহসমন্বক নামে কখনোই কোনো পদ ছিল না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক সমন্বয়ক। গত ২৯ জুলাই ২৭ সদস্যবিশিষ্ট যে সমন্বয়ক পরিষদ গঠন করা হয় তাতেও নাম নেই এই শাকিলের।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও সহসমন্বয়ক নামে কোনো পদ ছিল না। যতটুকু জানতে পেরেছি, বাসের হেলপারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শাকিল আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এরা বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
সর্বশেষ তৌসিফ শাকিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরণ বাস কমিটির সভাপতির পদ ভাগিয়ে নেয় ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে। তবে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে শাকিলের অবস্থান থাকায় তাকে উত্তরণ বাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে নিহত চবি শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন
বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশ। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাণবাহী ট্রাকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ এলাকায় ট্রাকটি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। দুর্ঘটনায় ১২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দিনাজপুর খানসামা উপজেলার বাসিন্দা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ পলাশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৭ আগস্ট রাতে ভর্তি করা হয়।
নিহত ফাহিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্ঘটনার দুই দিন আগে থেকেই বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গত ২৬ আগস্ট রাত ৩টার দিকে ট্রাকে করে নোয়াখালী সেনবাগের উদ্দেশ্যে ত্রাণ নিয়ে রওনা দেয় শিক্ষার্থীরা। পথে মীরসরাই অতিক্রম করার পর জোরারগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে চালকের অসাবধানতার কারণে সামনে থাকা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সামনের আসনে থাকা দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভাবকি ইসলামিয়া মাদরাসা মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজার নামাজে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিন। এ সময় তিনি ফাহিম আহমেদ পলাশের পরিবারকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ববি শিক্ষার্থী অর্পণা দাসের মরদেহ উদ্ধার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম।
মৃত অর্পণা দাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সোনামুখি এলাকার শ্যামল দাসের মেয়ে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে শুনেছি। মরদেহ মেডিকেলে রয়েছে।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, মেহেন্দিগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে একটি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি ইয়াসিনুল হক বলেন, পরিবার থেকে থানায় কেউ কিছু জানায়নি। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কল করে বিষয়টি জানিয়েছে। বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাজেদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই শিক্ষার্থী। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা গেছেন তিনি। কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন শিক্ষার্থী তা পরিবার জানাতে পারেনি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার্থীদের জন্য সংশোধিত জরুরি নির্দেশনা
এ বছরের এইচএসসি ও সমানের পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র চেয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এবার সেই বিজ্ঞপ্তির সংশোধনী দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এতে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কলেজ অধ্যক্ষদের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
সংশোধিত জরুরি নির্দেশনাগুলো হলো:
-এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের নিচের তথ্য সব ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষদের পাঠাতে হবে।
-এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের নিয়মিত-অনিয়মিত-মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে (পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রেরণ করবেন। কোনো অবস্থায়ই ব্যবহারিক পরীক্ষার অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের কলেজে আনা যাবে না)
১. সব পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT, বিষয় কোড-২৭৫) বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর (শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে প্রাপ্ত) অনলাইনে প্রেরণ করে এর প্রিন্টকপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করতে হবে এবং মূল কপি (Final List) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
২. অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের তালিকা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
৩. অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক স্বাক্ষরলিপির এক কপি কেন্দ্রে সংরক্ষণ করে মূল কপি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে। এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে (সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ প্রেরণ করবেন)।
৪. ১৯৯৬ সালের আগে এসএসসি পাস করা প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের এসএসসি পাসের নম্বরপত্রের ফটোকপি (সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্তৃক যাচাইকৃত) এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়ন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে। (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষার্থীদের তালিকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখা হতে সংগ্রহ করতে হবে)। এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪ সালের সমতুল্য সনদধারী পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে (সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ প্রেরণ করবেন)।
৫. সমতুল্য সনদধারী পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-সমমান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও এসএসসি-সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট-নম্বরপত্র (নম্বর/গ্রেড প্রদান পদ্ধতির প্রমাণক কাগজপত্রসহ), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সমতুল্য সনদ এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর প্রবেশপত্রের ফটোকপি অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়ন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শাখায় হাতে হাতে জমা দিতে হবে।
শেখ মুজিবের ছবিতে মন্তব্য করায় ৪ মাসের জেল, শিক্ষা জীবন শেষ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এডিট করা একটি ছবিতে কমেন্ট করায় জেল ও পড়ালেখা বন্ধের সম্মুখীন হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ফয়েজ বলেন, ‘আমি কোনো ফেক আইডি থেকে পোস্ট করিনি। কেবল একটা মন্তব্য করেছি। কিন্তু আমাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে চার মাস জেলে বন্দি করে রাখা হয়। আমাকে থানায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। কেউ সাহায্য করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে আমার বাবা, তাকে অপমান করা হয়েছে। আমার চার বছর পড়াশোনা বন্ধ ছিল। আমি অসংখ্যবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাছের, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ও আমার বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে পড়াশোনা করতে দেননি। বাদশা স্যার আমাকে বলেছেন, তোমাকে ধর্ষণ মামলায় সহায়তা প্রদান করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে কোনো মামলায় আপস করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবনটা শেষ করার পেছনে দায়ী ফ্যাসিবাদের দোসর বাদশা মিয়া। আমি সেই মামলায় খালাস পেয়েছি। তিনি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমাকে পড়তে দেওয়া হবে না। আমার বিরুদ্ধে ভুয়া তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোষীসাব্যস্ত করে বহিষ্কারাদেশ বহাল রেখেছেন। অথচ আমি কতবার তার হাত-পা ধরেছি; বলেছি, আমাকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে সেই সুযোগ দেননি।’
নোবিপ্রবির ওই শিক্ষার্থী বলেন, কোনো প্রকার মামলা ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নোবিপ্রবি ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা প্রিতম আহমেদ বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যেখানে স্বাক্ষী হিসেবে ছিলেন তৎকালীন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার নাসের, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব এবং বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগনেতা সাব্বির। দীর্ঘ চার মাস আমি কারাগারে থাকি। পরবর্তীতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে জামিন পেয়ে বের হয়ে আসি।’
ন্যায়বিচার প্রার্থনায় আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগ দেব। আমি দেখব, বিশ্ববিদ্যালয় কী ব্যবস্থা নেয়? যদি তারা আমাকে ন্যায়বিচার দিতে না পারে আমি আদালতে মামলা করব। আমি শেষ দেখতে চাই। আমার মতো কারও সাথে এমন ঘটনা ঘটুক, আমি তা চাই না।’
অভিযোগের বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। প্রথমত, বহিষ্কার করা এবং ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড ও একাডেমিক কাউন্সিলের হাতে। সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ওর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছি।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর মুহম্মদ মুমিন আদ দ্বীন নামক একটি আইডি থেকে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক একটি গ্রুপে নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সঙ্গে ভিপি নুরের এডিট করা ছবি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টের সমালোচনা করে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শাহরিয়ার নাসের পোস্ট করেন। সেখানে ফয়েজ আহমেদ কমেন্ট করেন, ‘এখানে দুঃসাহসের কিছু তো দেখছি না’। এই একটি কমেন্টের কারণে ফয়েজ আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাকে পাঁচদিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দীর্ঘ চার বছর ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান বিপ্লব মল্লিককে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সদস্য হিসেবে ছিলেন তৎকালীন প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক আফসানা মৌসুমী, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট আনিসুজ্জামান রিমন ও সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবি বিএনসিসির পিইউও একিউএম সালাউদ্দিন পাঠান।
এইচএসসির ফল প্রকাশ কবে, জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে এই ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে সরকার পতনের দাবিতে হওয়া লাগাতার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার পুরো এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৩টি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৭টি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়। পরীক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা হওয়া বিষয়গুলোর মূল্যায়ণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর বাতিল হওয়া বিষয়গুলো ম্যাপিং করার পদ্ধতিসহ একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন হওয়ার পরপরই পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, আমি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরটিভি/এসএইচএম-টি