জাবি উপ-উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ-টিএসসি পরিচালকের পদত্যাগ দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক (টিএসসি) অধ্যাপক আহমেদ রেজার পদত্যাগের দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার নেতৃত্বে তাদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে রাখা হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, গত ১৫ জুলাই রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ বর্বর হামলা চালায়। ওই হামলায় ছাত্রলীগের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরাসরি জড়িত ছিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পদত্যাগের দাবি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম। ইতোমধ্যে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও প্রক্টরসহ বেশ কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেননি। আমরা তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলাম। তাই আমরা আজকে তাদের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পদত্যাগ না করবেন আমরা তালা ঝুলিয়ে রাখব।
এদিকে ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক (টিএসসি) অধ্যাপক আহমেদ রেজার কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর আরেক সমন্বয়ক জাহিদ হাসান ইমন বলেন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কক্ষে লক্ষাধিক টাকার সরকারি শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে, যেগুলো গত শীতেই বিতরণ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এখানে উত্তরণ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনের আড়ালে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতো সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। পাশাপাশি আমরা বলতে চাই উত্তরণের নামে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার পেছনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালকের সরাসরি সংযোগ ছিল। তাই অধ্যাপক আহমেদ রেজা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা এই অকার্যকর পরিচালকের দ্রুত পদত্যাগ দাবি করছি।
এর আগে গত ৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ও সাবেক চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার আবু হাসান পদত্যাগ করেন। পরে ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ পদত্যাগ করেন।
মন্তব্য করুন