আন্দোলনকারীদের ‘শিবির’ ট্যাগ দেওয়া সেই শিক্ষককে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে মামলার হুমকি দিতেন। এমনকি পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ করানোর হুমকি দিতেন তিনি। এমন অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার স্বার্থে এই শিক্ষকের পদত্যাগ চাইছে। এনিয়ে তারা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে প্রশাসনকে। জুলাই মাসে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা ডিন বরাবর চার দফা সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেন। যেখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণের সময় বেঁধে দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য, হামলা-মামলার ভয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় ফলাফল খারাপ করানোর হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত থাকায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং মিডটার্ম ও ফাইনাল খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
অধ্যাপক জিনাত হুদা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহুলকে বিনা অপরাধে গ্রেফতারের পর তাকে জানানো হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া এবং আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে ১৩-১৭ ব্যাচ তার কোনো কোর্সের ক্লাস করবে না।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও অধ্যাপক মশিউর রহমানসহ এরই মধ্যে ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগকারী শিক্ষকরা যেন বিভাগে ফিরে না আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের হিজাব, নেকাব, বোরখা, পাঞ্জাবি পরিধানে ও ধর্মীয় লেবাসে থাকায় আপত্তিকর মন্তব্যকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় বিভাগ ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত বিভাগের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে সমাজবিজ্ঞান ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ ব্যাচের মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অব্যাহতি দিয়েছেন। আমরা সমাজবিজ্ঞান শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার স্বার্থে তার পদত্যাগ চাই।
অপরদিকে, অধ্যাপক জিনাত হুদা শিক্ষক সমিতির সভায় কোটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন