বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ শামসুল আলম।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রাষ্ট্রপতির সচিব ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন তারা।
এছাড়া উপাচার্য পদত্যাগের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সোলাইমান হোসেন মিন্টু, বিজিই বিভাগের শিক্ষক এমদাদুল হক সোহাগ, সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হীরা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ তারেক, নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে যান।
মন্তব্য করুন
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র পাওয়ার আবেদন করতে আর সশরীরে ঢাবিতে যেতে হবে না। এখন থেকে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমেই সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র তুলতে পারবেন তারা।
সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর দপ্তর থেকে কলেজ অধ্যক্ষদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সেবার মান উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্রের আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ‘কলেজের জন্য নির্দেশাবলি’ নামে একটি দিক নির্দেশনা মেইলে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে, সব বিভাগে গুরুত্ব সহকারে জানানোর জন্যও চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি/এআর
৯ দফা নিয়ে যা বললেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের
কোটা সংস্কারকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, কিন্তু সরকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে ৯ দফার অবতারণা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাঠকদের জন্য সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের পোস্টটি তুলে ধরা হলো-
কোটা সংস্কারকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল; কিন্তু সরকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে আন্দোলন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় নয় দফার অবতারণা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলাম; কিন্তু ১৬ তারিখ মঙ্গলবার আবু সাঈদসহ ছয়জন যখন শহীদ হয়, ওই দিন রাত ১২টায় সামনের সারির সমন্বয়করা মিলে আমরা একটা অনলাইন মিটিং করি। মিটিংয়ে প্রথম এজেন্ডা-ই ছিল, আজকে যে ছয়জন শহীদ হলো, এই ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার কি না? তখন সবাই হই হই করে বলে উঠে, ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার হতে পারে না। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিসহ আরও কিছু দাবি দাওয়া উঠে আসে।
বলে রাখা ভালো, আমরা এতদিন ‘বাংলা ব্লকেড’ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশসহ নানান সফট এবং হার্ড কর্মসূচি নিয়ে মাঠে অবস্থান করেছিলাম; কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একেবারে নির্বিকার-নির্লিপ্ত মনোভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। আলাপ-আলোচনার ধার ধারেনাই সরকার, কেবল হাইকোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে চুপচাপ দেখে যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যখন বেগতিক হয়ে যায়, ছয় জন শহীদ হয়, ঐদিনই সরকার আলোচনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়, আমাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে আলোচনায় বসার জন্য। কিন্তু আমরা আলোচনার আহ্বানকে বারাবরের মতোই প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করি। যদিও ভেতর বাহির থেকে আলোচনায় বসার নানারকম চাপ আসছিল।
সরকার সংলাপের আহ্বান ফরমালি জানিয়েছিল কিন্তু সেটার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অবস্থান ফরমালি ক্লিয়ার করি নাই। ক্লিয়ার করার সুযোগও পাই নাই। বুধবার গায়েবানা জানাজায় ঢাবি ক্যাম্পাসে পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালায়, আমিসহ কয়েকজন আহত হই। হান্নান মাসউদ গুলিবিদ্ধ হয়। তখন থেকেই আমরা আন্দোলন পরিচালনা করে যাবার স্বার্থে কৌশলি অবস্থান নিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। যদিও সরকারের সংলাপকে প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার রাতে আমরা কিছু দাবি দাওয়া ঠিক করেছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে যে সেই দাবিগুলো ফাইনাল করব সে সময় পাইনি। তবে আমরা বৃহস্পতিবার মাঠের কর্মসূচি (কমপ্লিট শাটডাউন) দিয়ে নিজেদের অবস্থান ক্লিয়ার করেছিলাম।
বৃহস্পতিবার আমি আর আসিফ ভাই এক বাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে চলে যাই। ওই দিন ১৮ তারিখ রাতেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। আমরাও কর্মসূচি চলমান রাখতে, গ্রেপ্তার এড়াতে বার বার জায়গা পরিবর্তন করে বেড়াচ্ছি। কারও সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ করতে পারতেছি না।
আন্দোলনের শুরুতেই নাহিদ ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে এক লোকের সঙ্গে মিট করায় এবং পরবর্তীতে আন্দোলনের পারপাসে একাধিকবার ওই লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়; পরবর্তীতে জানতে পারি তিনি ঢাবি শিবিরের ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তখনও শিবিরের সভাপতি এবং সেক্রেটারির সঙ্গে ওইভাবে যোগাযোগ হয় নাই।
শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় যখন আন্দোলন করছিলাম তখন শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি ফরহাদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলল, ‘আন্দোলনরত কয়েকজন সমন্বয়ক সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে, এত এত শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করতেছে তারা। আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে। কিছু দাবি-দাওয়া দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, মানুষের সাথে বেইমানি করা যাবে না।’ আমি সম্মতি জানাই। আমাদের তো আগেই অবস্থান ছিল আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতের মিটিংয়ে ঠিক করা কিছু দাবি দাওয়া আমার মাথায় আছে। আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার মতো মাঠে কোনো সিনিয়র নাই। আসিফ-নাহিদ ভাইকে গুম করে রেখেছে। আমি সাত-পাঁচ না ভেবে রিস্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওই দিন জুমার নামাজের পর পরই যাত্রাবাড়ীতে কয়েকজন শহীদ হয়, সবগুলা আমার চোখের সামনেই ঘটতেছে। মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলতেছে, এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারতেছিলাম না। তাছাড়া দীর্ঘদিন জেল-জুলুম, হামলা-মামলার শিকার হয়ে হাসিনার এমন অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি; মাথা নত করি নাই। আমার পরিণতি কী হবে, সেটা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করি নাই। চোখের সামনে মানুষ মেরে ফেলতেছে, মানুষের কথা চিন্তা করে নিজের জীবনের কথা ভাবার সময় পাই নাই। গত ৪-৫ বছর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই আমাদেরকে দৃঢ়তা ধরে রাখার শিক্ষাই দিয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিই।
যাইহোক, কিছুক্ষণ বাদে শিবিরের সেক্রেটারি আমাকে আবারও ফোন দিল। বলতেছে, ‘কিছু দাবি দাওয়া খসড়া আকারে করছি, তোমার সঙ্গে আলোচনা করি।’ আমাদেরও যেহেতু আগেই আলোচনা হয়েছিল অনেকগুলো দাবির ব্যাপারে সেগুলো তখন উনার সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে তৈরি হয় ৯ দফা।
তিনি একে একে কিছু দাবি বললেন। যেগুলা খুব কমন দাবিদাওয়া- যেমন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ প্রশাসনকে বরখাস্ত, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা, ভিসির পদত্যাগ। যেগুলা ৬ জন শহীদ হওয়ার পরে মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের আলোচনাতেই আমরা ভেবেছিলাম। এ ছাড়া মানুষজনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছিল। শেষের দিকে গিয়ে শিবিরের সেক্রেটারি একটা দাবি এড করল, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে’ এটা আমি মানি নাই, দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা হইল। পরে আমি বললাম, ঢালাওভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না, এক্ষেত্রে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলতে পারেন। পরে সেটাই ঠিক হইলো, ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে’।
এই হলো নয় দফা তৈরির পেছনের গল্প। তবে নয় দফা প্রচার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল শিবির। যেহেতু নেট নাই, গোলাগুলি-কারফিউর মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সশরীরে হাউজে হাউজে পৌঁছে দিয়েছে, বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা তারাই করেছে।
আমাকে নতুন একটা সিম এবং মোবাইল কালেক্ট করার পরামর্শ দিল তারা। আমি স্টুডেন্ট এর বাসা থেকে সিম নিয়ে ওই নাম্বারটা নয় দফা সংবলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে দিয়ে দিলাম। ঐদিন সন্ধ্যায় বাসা থেকে ৪-৫ কিলো দূরে হেঁটে গিয়ে পরিচিত সাংবাদিকদেরকে ফোন দিয়ে নয় দফার বিষয়টা জানাইলাম। টুকটাক ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। তো ওই রাতে তাদের অনেককে একটা একটা করে দফা বাটন ফোন দিয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে দাবিগুলা লিখে পাঠাইছি। পুরা নয়টা দাবি একসঙ্গে ম্যাসেজে পাঠানো যায় না। কাউকে আবার মুখে বলে দিছি, সে লিখে নিছে। কেউ আবার রেকর্ড করে নিছে। কনফার্ম হওয়ার জন্য অনেকেই ফোন দিছে, এটা আসলেই আমি দিছি কি না। বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলাকেও ফোন দিয়ে কনফার্ম করা লাগছে, ‘আমার পক্ষ থেকে এটা যাচ্ছে, আপনাকে একজন পেনড্রাইভের মাধ্যমে পৌঁছে দিবে।’ এইভাবে চলল রাতের ১১টা পর্যন্ত।
প্রতিদিন রাতের বেলায় বাসা থেকে দূরে চলে যেতাম। ফোন অন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে ২-৩ ঘণ্টা কথাবার্তা বলে, তাদেরকে কনফার্ম করে, ফোন বন্ধ করে আবার বাসায় ফিরতাম। সিনিয়ররা গুম অবস্থায় ছিল, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বাকিদের সঙ্গেও। এইভাবেই চলতে থাকল। আমার বাসা ছিল যাত্রাবাড়ী থানার পাশেই। গ্রেপ্তারের আতঙ্ক, তারপরও বাসায় থাকতে হতো। শুরুতেই যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। কোনো রাত মসজিদে কাটাইছি, কোনো রাত অর্ধেকটা বাহিরে কিংবা বাসার ছাদে কাটিয়ে শেষ রাতে বাসায় ফিরেছি।
হাফ পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
সপ্তাহের সাত দিনই শিক্ষার্থীরা হাফ পাস সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এক সচেতনতামূলক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল আলম বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ইউনিফর্ম অথবা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে আজ (সোমবার) থেকেই শিক্ষার্থীরা হাফ পাস সুবিধা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আগের সময়সীমা (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) বাতিল করে এখন থেকে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর এলাকার সব রুট ও এলাকার সব সিটি বাসে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে বলেও জানান ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
নিরাপদ সড়ক আন্দলোনের (নিসআ) আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত বলেন, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদানের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে হাফ পাস বাস্তবায়ন করা হয়।
এ সময় হাফ পাস শুধু বাস নয়, রেল ও নৌযানসহ সব পরিবহনে সরকারকে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তিনি।
আরটিভি/আরএ/এসএ
এবার জানা গেল শিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারির পরিচয়
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর তুমুল আলোচনার মধ্যেই জানা গেল সেক্রেটারির পরিচয়ও। সেক্রেটারির নাম এস এম ফরহাদ। সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলে৷ তিনি ছাত্রলীগেরও পদধারী ছিলেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এস এম ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসার পর নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে৷ খোঁজ নিয়ে এস এম ফরহাদের ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে৷ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্বশীল এক নেতা নামপ্রকাশ না করার শর্তে এস এম ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার পর ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েমের পরিচয় সামনে আসে৷ তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র৷ সাদিক ও ফরহাদ দুজনই চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷
রোববার রাতে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের পরিচয় সামনে এলে তার পরিচিতজনদের অনেকে বিস্ময়প্রকাশ করেন৷
ফরহাদ ২০২২-২৩ বর্ষে কবি জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন৷
ক্লাবে এর ঠিক আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এ এস এম কামরুল ইসলাম৷ শুধু তা-ই নয়, জসীম উদ্দীন হলে চার বছর ধরে ফরহাদের সঙ্গে একই কক্ষে থেকেছেন তিনি৷ ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় শুনে বিস্মিত কামরুল।
জানা গেছে, ফরহাদ ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন৷ এ নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা দেখা গেছে৷ ওই কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর তালিকায় তার নাম দেখা গেছে।
এছাড়া, কবি জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের একটি ইফতার অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজীর সঙ্গে ফরহাদের একটি ছবি এবং তানভীর হাসানকে ফরহাদের ফুল দেওয়ার আরেকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে৷
এদিকে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা প্রকাশ্যে আসছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম৷ তিনি গতকাল বলেন, সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পুরো কমিটি খুব দ্রুতই প্রকাশ করা হবে৷
আরটিভি/এআর
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ, কোটা নিয়ে যা বললেন সচিব
‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯’ অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষিত রাখা হয়। বাকি ২০ শতাংশ পদে পুরুষদের নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এরই কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এতে ৯৩ শতাংশ মেধা ও বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। নারী ও পোষ্য কোটা না থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের কোটা পদ্ধতি থাকবে কি না, সে বিষয়ে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। মতামত পাওয়ার পর এ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আরটিভি/এসএপি-টি
রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করে যা বললেন সমন্বয়ক উমামা
নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে এই পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়ে জানান ফাতেমা।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে আমি উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলাম।
তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পথচলা। এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের অনেকের চিন্তা-চেতনার জগতকে যেমন পালটে দিয়েছে, তেমনই কাজের পরিসরও ব্যাপক মাত্রায় বিস্তৃত করেছে। লড়াইয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
উমামা ফাতেমা লেখেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, সময়ের প্রয়োজনে এবং সামগ্রিক বিবেচনায় আমার পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতির আবেদন করি। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে আমার যাত্রা এখানেই সমাপ্ত হলো।
সংগঠনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জন্য শুভকামনা। আশা করি, ছাত্র ফেডারেশন দেশের আপামর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সূচিত হওয়া নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে তার সাংগঠনিক কাঠামোতে আরও গভীরভাবে ধারণ করে সামনের দিকে আগুয়ান হবে!
এ বিষয়ে ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, উমামা ফাতেমাকে সম্মানের সঙ্গে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এ পদে সাকিবুর রনিকে পদায়ন করা হয়েছে।
আরটিভি/এফএ
আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়িতদের (শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী) চিহ্নিত ও শাস্তির ধরণ নির্ধারণের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান আহ্বায়ক, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমির শরীফ সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. ফেরদৌস রহমান সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
একইসঙ্গে কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, আবু সাঈদ হত্যার ২ দিন পর গত ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মতিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল। সদস্য ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বিজন মোহন চাকী এবং সদস্যসচিব বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শফিকুর রহমান।
তবে আবু সাঈদের হত্যার ১ মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরে গত ২০ আগস্ট কমিটি পদত্যাগ করে। ফলে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কোনো শাস্তি বা বিচার করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
আরটিভি/আইএম