রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি গঠনের পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া তদন্ত চলাকালীন তাকে ক্লাস, পরীক্ষাসহ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম হতে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় আইন বিভাগের সভাপতি ড. সাঈদা আঞ্জুর নেতৃত্বে জরুরি একাডেমিক কমিটির সভা শেষে লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ যৌন হয়রানী ও নির্যাতন নিপীড়ন বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সাদিকুল ইসলাম (সাগর) সম্পর্কে গুরুতর অভিযোগ এনেছে।
‘এর আলোকে একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে একটি ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছে। কমিটি আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আইন বিভাগের সভাপতির নিকট পেশ করবে। এ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ক্লাস, পরীক্ষা তথা সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম হতে বিরত থাকতে বলা হলো।’
অধ্যাপক সাঈদা আঞ্জুকে আহ্বায়ক করে গঠিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট এই সত্যানুসন্ধান কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম, অধ্যাপক আবদুল আলীম, অধ্যাপক শাহীন জোহরা এবং সহযোগী অধ্যাপক সালমা আখতার খানম।
এর আগে, গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্লাটফর্ম ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের একটি ফেইসবুক গ্রুপে নাফিসা নাহিন নামক একটি ফেইসবুক আইডি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরকে ধর্ষক সম্বোধন করে একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করে বলেন, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। একটি বিষয় আমাকে মানসিকভাবে ভেঙে শেষ করে দিচ্ছে। আইন বিভাগের সাদিকুল ইসলাম সাগর আমাকে ধর্ষণ করেছে। নানাভাবে উত্যক্ত করে আমাকে জুবেরী গেস্ট হাউসে নিয়ে অনেক দিন অত্যাচার করেছে। আপনারা যদি জুবেরি ভবনের কর্তৃপক্ষকে চেপে ধরেন, আসল সত্যটা জানতে পারবেন। লম্পট দুশ্চরিত্র এই লোকের বিচার চাই, হয়তো আমি বাঁচবো না, বেঁচে থাকার ইচ্ছা আমার নেই। এখনো মানসিক পীড়ায় রেখেছে। ক্যাম্পাসে তার ভয়ে যেতে পারি না। আমার জন্য বিচার চাই না, যেন আর কোন মেয়ের জীবন ধ্বংস না হয়। আমার জানামতে ডিপার্টমেন্টের বাইরেও অনেক মেয়েকে তিনি ব্লাকমেইল করে, জোর করে বেডে নিয়ে যায়। ইদানিং আমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিচার যখন করছেন আপনারা, এই কার্লপ্রিটের বিচার করবেন।
মন্তব্য করুন