টিএসসিতে এখন চাল-ডাল-আলু আনার আহ্বান
বন্যাদুর্গতদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে টানা ৯ দিন ধরে চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ।
ত্রাণ কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা যোগ দিয়েছেন তারা বলছেন, এখন আর কাপড়ের প্রয়োজন নেই। দরকার শুকনো খাবারের পাশাপাশি চাল, ডাল ও আলুসহ রান্নার সামগ্রী।
এর আগে, গণত্রাণ কর্মসূচির অষ্টম দিনে নগদ অর্থসহ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। উদ্দেশ্য সবাই একসঙ্গে চলমান দুর্যোগ মোকাবিলার।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি ত্রাণ নিয়ে হাজির হন বিদেশিরাও।
ত্রাণ সংগ্রহ করা শিক্ষার্থীরা বলছেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ চলবে।
মন্তব্য করুন
জানুয়ারিতেই পাঠ্যবই পাবে শিক্ষার্থীরা
উৎসব না হলেও নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার জোর প্রস্তুতি চলছে। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃপক্ষ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে। তবে বই উৎসব করে অর্থ অপচয় করা হবে না।
তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ১৫ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির বই চলে যাবে। আর ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মূল পাঁচটি বই আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই দিতে পারবো বলে আশা করছি। এতে ৭৫ শতাংশ বইয়ের জোগান সম্ভব হবে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো ৯০ শতাংশ বই ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে আসা। বাকি বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যাবে। মাধ্যমিকের এক কোটি বই ছাপানোর জন্য সরাসরি আর্মি প্রিন্টিং প্রেসকে দিয়েছি সরাসরি ডিপিএম (ডিরেক্ট পারচেজ ম্যাটার) পদ্ধতিতে, যাতে বই ছাপার প্রক্রিয়াটি দ্রুত হয়।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০ কোটির মতো। এর মধ্যে মাদরাসার এবতেদায়ি ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য দুই কোটি ৩১ লাখ এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ২০ লাখ।
প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবারই উৎসব করে বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করা হতো। তবে এবার সেই ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলেও বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
আরটিভি/আইএম/এআর
স্কুলে ভর্তি / ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ মঙ্গলবার
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এবার লটারির মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণের পালা। সব ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আর এর মাধ্যমে আবেদনকৃত প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা লিংকে প্রবেশ করে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ডাউনলোড করা ফলাফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইলে পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করতে হবে।
জানা গেছে, লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি আবেদন শুরু হয়। যা চলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই ১৮ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেন।
এর মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি ও বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এখন ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। আর লটারির পর শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের উপপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ভর্তির আবেদন করেছে, লটারি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর তাদের ওই মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এরপর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd/) প্রবেশ করে অভিভাবকরা তাদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট দিতে পারবেন। আর ওই ওয়েবসাইটে আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে প্রধান শিক্ষকরাও নিজ নিজ স্কুলের লটারির ফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট দিতে পারবেন।
আরটিভি/আইএম/এস
পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় জাতীয় সংগীত-পতাকা, যা জানা গেল
প্রাথমিকের সব বাংলা পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় স্থান পেয়েছে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আমার বাংলা বইয়ের এই বিষয়টি নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শিক্ষাবিদরা বলেছেন, পাঠ্যবইয়ের শেষ পাতায় রেখে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার অমর্যাদা করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন ছাপা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই’ এর শেষে দেওয়া হয়েছে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার ছবি। প্রথম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় জাতীয় ফুল শাপলা ও গ্রাম বাংলার ইলাস্ট্রেশন রয়েছে। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় সম্পাদনা পর্ষদের তথ্য প্রসঙ্গ কথা ও সূচিপত্রের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এরপর সপ্তম পৃষ্ঠা থেকে বইয়ের মূল পাঠ শুরু। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা বই এভাবে সাজানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডর (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘বাংলা বইয়ে এ পরিবর্তন সম্পর্কে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন সমন্বয়ক কমিটির সদস্য লেখক ও শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা।’
সমন্বয়ক কমিটির সদস্য রাখাল রাহা বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ের পরিমার্জন এবং পরিবর্তনের জন্য আলাদা কমিটি কাজ করেছে। এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়। তবে এর জন্য শিশুদের দেশাত্মবোধ কিংবা আত্মপরিচয়ে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।’
আরটিভি/এসএপি
একই দিনে ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, বিপাকে শিক্ষার্থীরা
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা একইদিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এ তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এবং শহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমন্বয় করে আলাদা তারিখ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের অধীনে বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। একই দিনে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
অন্যদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাও আগামী বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওইদিন সকালে শাবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট ও বিকেলে মানবিক অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী একের অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেন। একই দিনে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়া অসম্ভব। তাছাড়া পরীক্ষার তারিখের পাশাপাশি সময়ও একই। ভৌগোলিক দিক দিয়ে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত।
সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনে আগ্রহী নয়।
এ বিষয়ে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, জগন্নাথসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ মিলে গেছে। এ নিয়ে ভর্তি কমিটি কাজ করছে।
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তাকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন তাকিয়া তাসনিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪) শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের সপ্তম তলায় ৭০০৫ নম্বর কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তাকিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তাকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তাকিয়া। তৎক্ষণাৎ প্রেমিক তাকিয়ার বান্ধবীদের ফোন করে দ্রুত রুমে গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করতে বলেন। তবে, তারা সময়মতো দরজা ভাঙতে ব্যর্থ হন। দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকিয়াকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান তার বান্ধবীরা।
তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসককে হলে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন তিনি।
তাকিয়ার মামা মনির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমার ফোনে হল থেকে একটা কল আসে। এরপর আমাকে বলা হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। পরে আমি সাভার থেকে ঘটনাস্থলে যাই এবং দেখি যে তাকে ওড়না কেটে খাটের ওপর নামানো হয়েছে। এর আগে আমি তাকিয়ার বাবাকে ফোন করে ঘটনা জানাই। তার বাবা-মা মাগুরা থেকে রওনা হয়েছে।
উপস্থিত প্রক্টরিয়াল বডি জানায়, শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুলিশের ডিউটি অফিসার মাসুদ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিহত শিক্ষার্থীর তথ্য নিয়েছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। নিহতের পরিবার এবং হল প্রাধ্যক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ময়নাতদন্ত করা হবে। তারা অনুমতি না দিলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, তাকিয়া বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও নিয়মিত সেখানে থাকতেন না। তিনি সাভারে তার মামার বাসায় থাকতেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি হলে আসেন বলে জানিয়েছেন পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা।
আরটিভি/এসএইচএম
বঙ্গভবনে যাওয়ার দাওয়াত পেয়েও প্রত্যাখ্যান করল রাবির সমন্বয়ক
রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণ পেয়ে প্রত্যাখ্যান করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘খুনি চুপ্পুর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করছি। যদিও দাওয়াতটা খুবই দরকার ছিল। কারণ ৬ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর পোষ্য কোটা বাতিলের পক্ষে স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দরকার ছিল। কিন্তু এই আমন্ত্রণে যাওয়া মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি ঠেকাতে আরেকটা বেইমানের সহযোগিতা নেওয়ার মতো ব্যাপার হবে। তাই যাচ্ছি না। তবে রাবির শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আমি মন্ত্রণালয়ে উঠিয়ে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
কীসের জন্য ইনভাইটেশন তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা একটি রাষ্ট্রীয় দাওয়াত ছিল। যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহী থেকে শুধু আমাকেই দাওয়াত দেন। আমরা সারা বাংলাদেশের ৪০ জন সমন্বয়কই তা প্রত্যাখ্যান করলাম। প্রধান উপদেষ্টা দাওয়াতে আমরা যাব। কিন্তু খুনি চুপ্পুর দাওয়াতে আমরা যাব না।’
আরটিভি/এমকে/এআর
মাহিনের আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা, সারজিস-হাসনাতের একাত্মতা
বিডিআর হত্যার বিচার দাবিতে অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকারের আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশন বাতিল করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকার কমিশন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার যে ঘোষণা দিয়েছে, তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আগামীকাল সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
এর আগে মাহিন সরকারের পোস্ট শেয়ার ও একাত্মতা প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার ভাই মাহিনের পক্ষে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে। (হ্যাশট্যাগ) আইএমউইথমাহিন।’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে বিডিআর হত্যার বিচার দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলেও তিনি জানান।
ফেসবুক পোস্টে মাহিন সরকার বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে এই সরকার দেশের তামাম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যা স্পষ্টতই প্রহসনের শামিল।
তিনি বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার অর্জিত বিজয়কে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত তাদের নিজেদের জয় বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে অবহেলা করা এবং ভারতের এমন ইতিহাস বিকৃতির স্পষ্ট প্রতিবাদ না জানানো স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরই প্রতিবাদে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একজন নগণ্য অংশীদার হিসেবে আমি মাহিন সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভিকটিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করবো। আমার সঙ্গে যদি কেউ না-ও যায়, এমনকি পুরো বাংলাদেশের একজনও যদি আমার পক্ষে না থাকে তবু আমি আমার এই দৃঢ় অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটবো না।
তিনি আরও বলেন, কোনও ভিনদেশি পরাশক্তি কিংবা হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় আসীন হওয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারও যদি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবু আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আমৃত্যু লড়ে যাবো। এই বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সংস্কার কার্যক্রম কিংবা কমিশন গঠনের নামে দীর্ঘসূত্রতার কোনও পদক্ষেপকে আমি গ্রাহ্য করবো না।
আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করতে ছাত্র-জনতাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসার আহবান জানিয়ে মাহিন আরও বলেন, আগামীকাল সকাল ১১টায় সচেতন ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
আরটিভি/কেএইচ