• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo

আন্তর্জাতিক মাইক্রোঅরগানিজম দিবস উদযাপিত

আরটিভি নিউজ

  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০৮

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজি (বিএসএম) যৌথ উদ্যোগে উদযাপিত হলো ৫ম আন্তর্জাতিক মাইক্রোঅরগানিজম দিবস।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন এবং বিজ্ঞানমুখী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান। অতিথি হিসেবে ছিলেন আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. মনিরুল আলম। তিনি সবাইকে অনুজীব বিজ্ঞানের মানব কল্যাণে তাৎপর্য, তরুণ প্রজন্মকে অনুজীব এবং অনুজীব বিজ্ঞান সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ারা সুলতানা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং এর প্রতিরোধে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, দিন দিন অনেক রোগজীবাণু প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করছে, যার ফলে সাধারণ সংক্রমণও এখন প্রাণঘাতী হতে পারে।

অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক কমল কান্ত দাস এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স প্রতিরোধে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও, তিনি বিভিন্ন গবেষণার বিষয়ে কথা বলেন, যেখানে মেডিসিনাল প্লান্ট থেকে এন্টিবায়োটিকের বিকল্প আবিষ্কার করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

বক্তারা বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, নতুন ও কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করা একান্ত প্রয়োজন। আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ ছাড়া এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান জনাব মো. আফতাব উদ্দিন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নিয়মিতভাবে এই দিবস উদযাপনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য মাইক্রোবায়োলজি গবেষণাগার পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। এই পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুষ্ঠিত হয় আইডিয়া প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা খ্যাতনামা অণুজীব বিজ্ঞানীরা অংশ নেন এক প্রশ্নোত্তর পর্বে।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়