চবির নতুন ভিসি অধ্যাপক ইয়াহইয়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রফেসর (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সাময়িকভাবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হলো।
এর আগে, গত ১২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে ও অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী। এরপর থেকে ১ মাসের অধিক প্রশাসনহীন ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আরটিভি/ এমএ
মন্তব্য করুন
এইচএসসিতে অটোপাস নিয়ে যা জানালেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো দিতে অনইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে অটোপাস দেওয়ার দাবি তাদের। এ কারণে কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দিনভর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে দাবি জানাতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, এদিন দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। বিকেলে মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়া নতুন সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ রুটিন বাতিল করতে বোর্ড চেয়ারম্যানকে মৌখিক নির্দেশনা দেন। এরপরই বোর্ড প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নতুন রুটিন বাতিল করার কথা জানান। আর অটোপাসের যে সিদ্ধান্ত সেটি প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিতে পারেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, ‘আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছিল, তা শিক্ষা সচিব বাতিলের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। তার মানে রুটিন বাতিল করা হবে।’
অটো পাস দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই। প্রধান উপদেষ্টা তোমাদের এ বিষয়টি জেনেছেন। প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব স্যাররা মিটিং করবেন। সেখান থেকে তোমাদের বিষয়টি নিয়ে ঘোষণা দিতে চান তারা। শুধু রুটিন বাতিল নয়। তোমাদের আরও যেসব দাবিগুলো আছে, সেগুলোও লিখে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। যতদূর জেনেছি, সিদ্ধান্ত তোমাদের অনুকূলে আসবে।’
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে আবার আগামীকাল মঙ্গলবার সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যানরা অংশ নিতে পারেন। সেখানেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে।’
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি রয়েছে।
শেখ মুজিবের নাম বাদ দিয়ে প্রাথমিক স্কুলের নতুন শপথবাক্য
দেশের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের এখন থেকে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল এবং পিটিআইকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দপ্তরটির পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক লুৎফুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, এখন থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ে প্রতিদিন সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সরকার নিম্নোক্ত শপথবাক্য পাঠের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’
২০২২ সালে সরকার স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসায় নতুন শপথবাক্য পাঠ করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়। শপথ বাক্যটি হলো-
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’
যেভাবে তৈরি হবে এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার ফল
পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এখন ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ কীভাবে করা হবে, তা নিয়ে কাজ শুরু করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং এ জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বুধবার (২১ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করার জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করা হবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে ফল তৈরি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে আমরা সাবজেক্ট ম্যাপিং করে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করেছিলাম। সেই কমিটিটা এখনও রয়েছে। এ কমিটি এখন বিলুপ্ত করে নতুন আরেকটা বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করে সুপারিশপত্র জমা দেবেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত এবং প্রকাশ করা হবে।
কবে নাগাদ কমিটি গঠন ও কাজ শুরু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, আজই এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হতে পারে। কমিটি হলে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়ে শিগগিরই কাজ শুরু করবেন।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, কীভাবে ফল তৈরি ও প্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব বোর্ড এটা নিয়ে আলোচনা করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে। তারপর কীভাবে ফল তৈরি ও প্রকাশ করা হবে, তা চূড়ান্ত হবে। শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরুক। আমরা সব জানিয়ে দেব।
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে যা বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা
অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, একটা অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখনও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারিনি। টেস্ট, প্রি–টেস্টের মূল্যায়ন পত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হবে।
পরীক্ষার্থীদের কোনো পয়েন্ট বা সিজিপিএ দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মাথায় এখনো এটা ধরছে না। আমি এ সম্পর্কে চিন্তাও করিনি। গতকাল যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার ফলে আমি এখনো চিন্তা করার সুযোগ পাইনি।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২-১৩ লাখ, সচিবালয়ে যারা এসেছিল তাদের মতামতই সবার মতামত কি না তা যাচাই করার সুযোগ নেই।
তবে, দেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়, সব কেন্দ্র পরীক্ষা নেওয়ার উপযোগী নয় এবং প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জকেও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে বলে জানান মাহমুদ।
সচিবালয়ের ভেতরে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ঢুকে পড়াটাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে মঙ্গলবার স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর স্থগিত পরীক্ষাসমূহ বাতিল করা হলো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নবম শ্রেণি থেকে আবারও আলাদা বিভাগ হচ্ছে
নবম শ্রেণি থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক অর্থাৎ মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগ আলাদা থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
১৯৫৯ সালে নবম শ্রেণি থেকে বিভাগ বিভাজন চালু হয়েছিল। ৬৫ বছর ধরে এ নিয়মে চলেছে শিক্ষা পদ্ধতি। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর দফায় দফায় শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হলেও এ প্রথা কখনো ভাঙা হয়নি। অবশেষে চলতি বছর তা পরিবর্তন করা হয়। ৬৫ বছর পর চলতি শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সবাই একই বিষয় পড়ছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার বিভাজন নেই। সবার এক বইয়ে লেখাপড়া করছে।
নতুন শিক্ষাক্রম চালুর পর পক্ষে বিপক্ষে মত দেন অনেকে। অনেকে বিভাগ বিভাজনের বিপক্ষে মত দিলেও আবার কেউ কেউ একমুখী পদ্ধতিকে ভালো বলছেন।
বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, নবম শ্রেণি থেকে আবারও বিষয়ভিত্তিক বিভাগ আলাদা থাকবে।
এবার বই ছাপাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি হবে না জানিয়ে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে যেসব বই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার বই ছাপার মান ও কাগজের মান ভালো হবে। কারণ, এবার দুর্নীতি হবে না।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তকের মলাটসহ ভেতরের বিষয়বস্তু পরিবর্তন করা হবে। শিক্ষাক্রম সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। যতটুকু সময় পাওয়া যায় আমরা এই শিক্ষাক্রম সংস্কারে পদক্ষেপ নেব।
বানভাসিদের পাশে পিসিআইইউ সাংবাদিকতা বিভাগ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিভাগের ২টি টিম মীরসরাই এবং ফেনির বিভিন্ন বন্যা কবলিত অঞ্চলে শুকনো ও রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করে। এর আগে, শনিবার খাগড়াছড়ির বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও গত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে রান্না করা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ৪ দিন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বন্যার্তদের জন্য ২ লক্ষাধিক টাকা সাহায্য তহবিল সংগ্রহ করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলরুবা আক্তার বলেন, দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ের সংকট উত্তরণে শিক্ষার্থীদের সামর্থ্যের মধ্যে এ উদ্যোগে অংশগ্রহণ-জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন। ভবিষ্যতে এমন মানবিক প্রচেষ্টায় তারা বাংলাদেশের পাশে থেকে একটি বৈষম্যহীন দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে প্রত্যাশা রাখি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও বিভাগটির প্রভাষক তাসলিমা আক্তার ইরিন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেভাবে দুর্যোগকালীন এই সময়ে এতটা সংঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করেছেন, তা সত্যিই আমাকে অভিভূত করেছে। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রদের অবদান অনস্বীকার্য।
চট্টগ্রামের বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী বিতরণের কাজ করছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগে পরামর্শ ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে পাশে ছিলেন বিভাগটির শিক্ষকরা।
আনসারদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ দফা
সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ফিরে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৩ দফা দাবি রেখেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই তিন দফা ঘোষণা করেন তারা।
দাবি উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আন্দোলনকারী আনসার সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। এবং সরকারের সব পর্যায়ে ক্লিন অভিযান পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এরপর বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ সারজিস আলম। তিনি বলেন, শকুনদের বলে দিতে চাই, আজকের পর থেকে সচিবালয়ের আশপাশে অবস্থান করলে ছাত্র-জনতা দেখে নেবে।
এ সমন্বয়ক আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের কয়েকদিন যেতে না যেতে অধিকার আদায়ের নামে যারা ভণ্ডামি করে সচিবালয় ব্লকেড করে, তারা স্বৈরাচারের দালাল। আমাদের ভাইদের ওপর হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না। শকুনদের সাবধান করে দিতে চাই। আমার ভাইয়ের দিকে হাত বাড়ালে আর অস্তিত্ব থাকবে না।