• ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১
logo

সকল স্তরে ইসলামিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি, রাবিতে মানববন্ধন

রাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৪৩
শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি
ছবি : আরটিভি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের প্রতিনিধিত্বকারী ইসলামিক স্কলারদের অন্তর্ভুক্তকরণ এবং শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে, তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ইসলামিক স্টাডিজ সোসাইটি রাবি শাখার ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা৷

তাদের দাবিগুলো হলো, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মূল কমিটিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ‘ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি বিভাগ’ থেকে ইসলাম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পুস্তক প্রণয়নের জন্য ৪ জন এবং সকল স্তরে প্রণীত পুস্তকের শরয়ী বিষয়াদি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ন্যূনতম ২ জন গ্রহণযোগ্য, বিতর্কমুক্ত ও নির্ভরযোগ্য শিক্ষাবিদ এক্সপার্ট অন্তর্ভুক্ত করা। বিতর্কিত ও ভ্রান্ত-চিন্তা লালনকারী, ইসলাম বিদ্বেষী এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতাদর্শের বহির্ভূত কাউকে এ কমিটিতে রাখা যাবে না; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সংশোধিত) প্রবিধান সংশোধন করে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাষক (আরবি, ফিক্স, কুরআন, হাদিস ও লাইব্রেরিয়ান) এবং সহকারী মৌলভী (আরবি) ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গ্রাজুয়েটদের আবেদন করার সুযোগ পুনর্বহাল করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি; প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকের সকল স্তরে ইসলাম শিক্ষা আবশ্যিকরণ; সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চালু নিশ্চিতকরণ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি সাহিত্য, ফিকহ, কুরআন, হাদিস ইত্যাদি বিভাগ নিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বা শরী'আ অনুষদ চালু করা; ইসলামিক স্টাডিজ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগে ইসলাম শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়কে GED এর অন্তর্ভুক্তকরণ।

মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপাক আশরাফ-উজ-জামান বলেন, বাংলাদেশ ইসলাম শিক্ষার ইতিহাস বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে থেকেই আছে। ১৯২১ সালে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ৬টি লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তার অন্যতম একটি ছিলো ইসলাম শিক্ষা। কিন্তু আমরা দেখতে পাই ব্রিটিশ আমলে যে ইসলাম শিক্ষা চালু হলো পরবর্তীতে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর এই ইসলাম শিক্ষা ওই আকারে বর্ধিত হয়নি। আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও পাকিস্তান আমলে যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ানো হয়।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের সবচেয়ে বড় দাবি ছিল আমাদের ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করে একটা সুন্দর, সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গঠন করা। কিন্তু আমরা ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি, রাষ্ট্রের শিক্ষা যেখানে সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই শিক্ষা ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় দুঃখ।

মানববন্ধনে বিভাগের অধ্যাপক বারকুল্লা বিন-দুর, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন এবং অধ্যাপক এ কে এম আব্দুল লতিবসহ বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আরটিভি/এমকে/এআর

মন্তব্য করুন

rtv Drama
Radhuni
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
রাবিতে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত
পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৩ দাবিতে রাবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি
রাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন, সেমিস্টার পদ্ধতি বাতিলের দাবি