রাবিতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ, রিকশাচালককে পুলিশে সোপর্দ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের সামনে ‘মাস্টারবেশন’ করা ও রিকশায় ওঠা নারী শিক্ষার্থীদের দিকে বাজেভাবে তাকানোর অভিযোগে এক রিকশাচালককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত রিকশাচালকের নাম মমিন। তার বাড়ি নগরীর বেলপুকুরের জামিরা এলাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এই রিকশাচালক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আগে নারী শিক্ষার্থীদের দিকে তাকিয়ে ‘মাস্টারবেশন’ করেছিল। যার কারণে তাকে কিছু মানুষ মারধর করে। তারপর তাকে বলা হয়েছিল, সে যেন আর ক্যাম্পাসে না আসে। কিন্তু সে এরপরও ক্যাম্পাসে আসে। সে বলে, ‘আমি প্রতিদিন আসি, আমি এসব করি না।’ কিন্তু তাকে বিশ্বাস করা যায় না। তার কাছে মেয়েরা নিরাপদ না। যেসব মেয়েরা তার বিষয়ে জানে না, তারা তার রিকশায় উঠে বিড়ম্বনার শিকার হতে পারে।
আরেক নারী শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনাটি নাট্যকলা বিভাগের কিছু আপুদের সঙ্গে ঘটেছে। আমরা তাকে নিষেধ করে দিয়েছি, যাতে সে ক্যাম্পাসে না আসে। তা-ও সে আসছে। আমরা তো তার কাছে নিরাপদ না। সে নারী শিক্ষার্থীদের দিকে খুব বাজেভাবে তাকায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই রিকশাচালক। তিনি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই। আজই জানতে পারলাম আমি এসব করেছি। মানুষের কাছ থেকে শুনেছি।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান বলেন, নারী শিক্ষার্থীরা ওই রিকশাচালকের বিরুদ্ধে আরও আগেই আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। আমরা তাকে আরও আগে বিভিন্নভাবে ওয়ার্নিং করেছিলাম। কিন্তু আজও সে একই অপরাধে ধরা পড়েছে। আমরা চাচ্ছি, সে যেন আর কোনোদিন ক্যাম্পাসে না আসতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা চাই না, সে এসে ক্যাম্পাসে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ হোক। তাই পুলিশকে ফোন দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তারা তা নেবে। নারী শিক্ষার্থীরা আমার কাছে যেসব অভিযোগ দিয়েছে, তা আমি মুখে বলতে পারব না। শিক্ষার্থীরাও মুখে বলতে পারেনি, আমাকে ছবি পাঠিয়েছে। ভাষাগুলো খুবই কুৎসিত।
আরটিভি/এফএ/এসএ
মন্তব্য করুন