অধ্যাপক ছাড়াই চলছে নোবিপ্রবির ১৫ বিভাগ ও ২ ইন্সটিটিউট
অধ্যাপক ছাড়াই চলছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১৫টি বিভাগ ও ২টি ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম। শুধুমাত্র ১ জন অধ্যাপক দিয়ে চলছে ৮ বিভাগের কার্যক্রম। এদিকে ২ ইন্সটিটিউটের একটিতে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক এবং বাকি এক ইস্টিটিউটের দায়িত্বে এক সহযোগী অধ্যাপক।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগ দেওয়া হলেও অধ্যাপক পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছেনা। ফলে অভিজ্ঞ শিক্ষকের কৌশলী পাঠদান, ভালো মানের গবেষণা শেখাসহ নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট বিভাগ আছে ৩১টি ও ইন্সটিটিউট আছে ২টি। এর মাঝে ১৬টি বিভাগে অধ্যাপক রয়েছে ৩৬ জন।
সিএসটিই বিভাগে ৪ জন, এপ্লাইড ক্যামিস্ট্রি বিভাগে ৩ জন, ফিমস বিভাগে ৮ জন ফার্মেসী বিভাগে ৫ জন ইইই বিভাগে ২ জন, কৃষি বিভাগে ২জন, ডিবিএ বিভাগে ২ জন ও বাংলা বিভাগে ২ জন অধ্যাপক রয়েছে।
এছাড়াও ১ জন করে অধ্যাপক আছে আইসিই মাইক্রোবায়োলজি, ইএসডিএম, ক্যামিস্ট্রি, এপ্লাইড ম্যাথ, বিএমএস, সমাজবিজ্ঞান ও শিক্ষা বিভাগে। কিন্তু বিভিন্ন বিভাগীয় সূত্র জানায়, ৩৬ অধ্যাপকের মাঝে আবার শিক্ষা ছুটিতে আছে ২ জন।
এদিকে, অধ্যাপক ছাড়াই চলছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ইংরেজি, অর্থনীতি ও সমাজকর্ম বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদের পরিসংখ্যান, এফটিএনএস, বিজিই, সমুদ্রবিজ্ঞান, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি, প্রাণিবিদ্যা, মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও পদার্থ বিভাগ।
ব্যবসায় অনুষদে অধ্যাপক নেই টিএইচএম ও এমআইএস বিভাগে। এছাড়াও আইন অনুষদের আইন বিভাগ ও শিক্ষাবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে অধ্যাপক শুণ্য।
নিজস্ব অধ্যাপক না থাকায় ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন সায়েন্সেসে ফার্মেসী বিভাগের এক জেষ্ঠ্য অধ্যাপক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। আর ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির পরিচালকের দায়িত্বে এপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপক।
গবেষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে অধ্যাপকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গবেষণা কাজে অধ্যাপকদের অভিজ্ঞতা বেশি থাকায় শিক্ষার্থীদের গবেষণা সম্পর্কে নতুন জ্ঞানের ক্ষেত্র তৈরি হয় এবং শিক্ষার্থীরা ভালো মানের জার্নাল বের করতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের সংখ্যা একেবারেই কম এবং অনেক বিভাগেই অধ্যাপক নেই বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলে অধ্যাপকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
তিনি আরও বলেন, যদিও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, আমরা সেসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে অধ্যাপকের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন