জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কের পদত্যাগ
ক্ষমতা কেন্দ্রীভূতকরণ ও রাজনীতিকরণের অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে একযোগে পদত্যাগ করেছেন ১৭ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু।
সংবাদ সম্মেলনে তারা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের অপারগতা, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূতকরণ, জনসম্পৃকততার অভাব, দোষী ও স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে অনীহা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল স্পিরিট কে ধারণ করতে অক্ষমতার অভিযোগ এনে 'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন' প্লাটফর্ম কলুষিত হচ্ছে দাবি করেন।
এ সময় সদ্য সাবেক সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' প্লাটফর্ম এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগ একাধিক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে আসলেও এ প্লাটফর্ম কোন ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে পারেনি। এছাড়াও সহযোদ্ধাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের কথাও উঠে আসে তার বক্তব্যে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় সমন্বয়কের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কার্যক্রম ও প্রভাব খাটিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
পদত্যাগকৃত সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বকরা হলেন, আব্দুর রশিদ জিতু, রুদ্র মুহাম্মদ সফিউল্লাহ, হাসিব জামান, জাহিদুল ইসলাম ইমন, জাহিদুল ইসলাম, ফাহমিদা ফাইজা, রোকাইয়া জান্নাত ঝলক, মিশু খাতুন, রাফিদ হাসান রাজন, হাসানুর রহমান সুমন, আব্দুল হাই স্বপন, নাসিম আল তারিক, ঐন্দ্রিলা মজুমদার, জিয়া উদ্দিন আয়ান, তানজিম আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি এবং সাইদুল ইসলাম।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন