নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (নোবিপ্রবিসাস) ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন এবং ৫ম কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষে আনন্দ র্যালি এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংগঠনের প্রাক্তন এবং বর্তমান সদস্যবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে আনন্দ র্যালি শুরু হয়ে গোল চত্বর প্রদক্ষিণ করে অডিটোরিয়াম ভবনের সামনে শেষ হয়। র্যালি শেষে ভবনের সামনে নোবিপ্রবিসাসের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকলের অংশগ্রহণে কেক কাটা হয়। পরবর্তীতে ৫ম কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর এবং ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ, নোবিপ্রবিসাসের নির্বাচন কমিশনার আইন বিভাগের প্রভাষক সাজ্জাদুল করিম। আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বণিক বার্তা পত্রিকার সাবেক ডেপুটি চীফ রিপোর্টার সাইফ সুজন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সার্চ কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (তুষার) এবং নোবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নুরুল করিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হাফিজ উল্লাহ শামীম, প্রতিষ্ঠাকালীন কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি নাজমুস সাকিব সাদী, অর্থ সম্পাদক রাজিয়া জান্নাত এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ছাফওয়ান উল্ল্যাহ।
সভায় নোবিপ্রবিসাসের সাবেক নেতৃবৃন্দ নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বর্তমান সদস্যদের জন্য নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নুরুল করিম সংগঠনের প্রতিষ্ঠার পেছনের ইতিহাস তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই সংগঠন ছিলো সৎ সাহসের বহিঃপ্রকাশ। তৎকালীন নানা বাধা পেরিয়ে আমরা গুটিকয়েক শিক্ষার্থী নোবিপ্রবিতে সাংবাদিকতার কার্যক্রম শুরু করি। নানা হুমকি উপেক্ষা করে নিজদের বিবেকের তাড়নায় আমরা নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম শুরু করি।
আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত আলোচক বৃন্দ সমিতির বর্তমান সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সার্চ কমিটির সদস্য ও সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (তুষার) নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ক্যাম্পাসের প্রতিটি ঘটনাকে মানুষের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের অনিয়ম দুর্নীতিকে সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরতে হবে। সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে।
বণিক বার্তা পত্রিকার সাবেক ডেপুটি চিফ রিপোর্টার সাইফ সুজন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করতে পারি কেননা রাষ্ট্রের মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন কাঠামো থাকে। যার ফলে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের বহুমুখী কাজ করার সুবাদে নানামুখী অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা এগিয়ে যেতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল সাংবাদিক সমিতির নতুন নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, পরিবর্তিত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে সীমাবদ্ধতা ছিলো তা কাটিয়ে উঠে নতুনভাবে শুরু করতে পারবে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদের যারা গত কমিটিতে ছিলেন। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এ মিলন মেলায় উপস্থিত সকলকে যারা বিগত কমিটিগুলোতেও ছিলেন।
এ সময় নোবিপ্রবি উপাচার্য সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনি আপনার যে তথ্য টা দিচ্ছেন, যে সংবাদ দিচ্ছেন দয়াকরে যাচাই করে নেবেন৷ প্রত্যেকটা নিউজ এক একটা রেকর্ড। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ছাত্রদের সত্য বের করার জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার সৎ সাহস আছে। আপনারা সত্যটা তুলে ধরবেন৷ সত্যটা তুলে ধরলে কোন কর্মকর্তা কর্মচারী যদি অপরাধী হয় আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব৷ আমি বিশ্বাস করি, আপনারা সব সময় সত্যের পক্ষে থাকবেন।’
উল্লেখ্য, সভায় নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ৫ম কার্যনির্বাহী কমিটি নবনির্বাচিত ৬ষ্ঠ কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে দেয়। এ সময় নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি ৫ম কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দেকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করে।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন