ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে হিজাব কাণ্ডে তদন্ত কমিটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের নারী প্রতিকৃতির মাথায় কালো হিজাব পরানোর ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার, ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী ও ড. শান্টু বড়ুয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২০ তারিখ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু চত্বরে নারী ভাস্কর্যের মুখে কালো কাপড় পরানো অবস্থায় দেখা যায়। এ ঘটনা তদন্ত করা হবে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা অনুসন্ধান করবে এই কমিটি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ২৭ বছর আগে তৈরি করা হয় রাজু ভাস্কর্য।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন
আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়িতদের (শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী) চিহ্নিত ও শাস্তির ধরণ নির্ধারণের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান আহ্বায়ক, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমির শরীফ সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. ফেরদৌস রহমান সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
একইসঙ্গে কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, আবু সাঈদ হত্যার ২ দিন পর গত ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মতিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছিল। সদস্য ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বিজন মোহন চাকী এবং সদস্যসচিব বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শফিকুর রহমান।
তবে আবু সাঈদের হত্যার ১ মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি কোনো প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরে গত ২০ আগস্ট কমিটি পদত্যাগ করে। ফলে দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কোনো শাস্তি বা বিচার করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
আরটিভি/আইএম
‘শেষবারের মতো মাকে কল দে’ বলে রাবি শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক নবীন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারার হুমকি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ রকি। তিনি দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর বিশ্বাস, একই বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন নাবিল ও তার কয়েকজন সহযোগী।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুরের লেবুবাগান এলাকার ‘বিশ্বাস ম্যানসন’ ছাত্রাবাসের ২০৪ নম্বর কক্ষে থাকেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মানসিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন তিনি। একই ছাত্রাবাসের ২০১ নম্বর কক্ষের নাজমুল হোসেন নাবিল ও ২০৫ নম্বর কক্ষের অন্তর বিশ্বাস রাত পৌনে ১২টার ভুক্তভোগীর কক্ষে প্রবেশ করে। শুরুতেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রকিকে নানা রকম বিব্রতকর প্রশ্ন করে ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলেন।
ভুক্তভোগীকে ওই দুই শিক্ষার্থী বলেন, তোকে গেস্টরুমে নিয়ে যাব, গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে তোকে আদর আপ্যায়ন করব। শেষবারের মতো তোর মাকে কল দে, কল দিয়ে বল আর কোনদিন দেখা নাও হতে পারে। আমি কোনো ভুল করলে আমাকে মাফ করে দিও।
এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা বলেন, আবরার ফাহাদকে কীভাবে মেরে ফেলা হয়েছিল তোকে এভাবে মারলে তখন কী করবি? তুই যদি হলের গেস্টরুমে যেতে না চাস তাহলে, মেসে শিবির ডেকে নিয়ে এসে তোকে মারব। তোর রুমমেটদের সেমিস্টার ফাইনাল ৭ তারিখে শেষ হবে। ৮ তারিখ থেকে রাতে তোর সাথে আমরা পার্টি দেব।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মোহাম্মদ রকি বলেন, ‘গত শুক্রবার তিনি মেসে উঠেছেন। এর মধ্যে একবার মেসে অবস্থানরত সবার কক্ষে গিয়ে পরিচিত হয়ে এসেছিলেন। এরপর রোববার রাতে ওই দুজন এসে তার কক্ষে এসে নানাভাবে হুমকি ও হয়রানি করেন। ওই রাতে ঘুমাতে পারেননি। এ রকম ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে, সে জন্য আমি অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।’
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসে দুই পক্ষকে ডাকা হয়। এসময় দুই সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মশিহুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন নাবিল বলেন, ‘রোববার আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভাগের বড় ভাই ওই ছেলের রুমে নিয়ে যায়। যখন আমি রুমে যাই, তখন আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই তার (রকি) সাথে মজা করে। আমিও ছিলাম পিছনে। কিন্তু আমি সেরকম ইনফ্লুয়েন্স করিনি। শিবির কথাবার্তা, মারা বা কোনো অত্যাচার করিনি। আমি তাকে বলে এসেছি তোমরা ফ্লোরে একসাথে আছো, মিলেমিশে থাকবা। রুমে আসবা আড্ডা দিবা। তোমার কোনো সমস্যা হলে আমাকে নক করতে পারো।’
আবরার ফাহাদের মতো হত্যার হুমকি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা উদাহরণ হিসেবে বলেছি। আমরা বলেছি বিশ্ববিদ্যালয় এখন সে রকম নেই যে আবরার ফাহাদের মতো হবে। তার সাথে এমন হলে আমাদের জানাতে বলেছি, কিন্তু সে বিষয়টি অন্যভাবে নিয়েছে।’
অভিযুক্ত আরেক শিক্ষার্থী মো. অন্তর বিশ্বাস বলেন, ‘আমি তারসাথে খুবই নরমালি কথা বলি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো তার সাথে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করা। কিন্তু ব্যাপার টা এতোদূরে চলে যাবে আমি বুঝতে পারি নি। ওই শিক্ষার্থীকে আমরা হুমকি দিয়েছি এমনভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে এই ব্যাপারটি ভুল। আমি তাকে বলেছিলাম, আবরার ফাহাদের সাথে যেটা ঘটেছে ওটা র্যাগিং কিন্তু, তোমার সাথে যেমনভাবে কথাবার্তা হচ্ছে এটাকে তুমি র্যাগিং হিসেবে নিও না। এবং শিবিরের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। একজন নতুন শিক্ষার্থীকে যেভাবে র্যাগিং দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা শিক্ষক হিসেবে এই বিষয়গুলোকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে পারিনা। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা আমরা করবো। অভিযোগ ও স্বীকারোক্তির তথ্যগুলো আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিভাগে আমরা প্রেরণ করবো। বিভাগের একাডেমিক কমিটির একটা সুপারিশমালা তৈরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিতে দিবে। সেই অনুযায়ী শৃঙ্খলা কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে।’
এরআগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাগিং-সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রক্টর জানান, র্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ। এর ফলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়া ছাড়াও র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোথায় কোনো প্রকার র্যাগিং না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। কেউ র্যাগিং করলে বা কাউকে র্যাগিং করতে উদ্বুদ্ধ করলে প্রমাণ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক শাস্তি প্রদান করা হবে।
আরটিভি/এসএপি
এইচএসসির ফল প্রকাশ কবে, জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সব ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এ ফল প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসির নম্বর ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হবে।
তপন কুমার সরকার আরও বলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরটিভি/আইএম-টি
এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার ফল যেভাবে
এইচএসসির বাতিল হওয়া পরীক্ষার ফল এসএসসির নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. ইয়ানুর রহমানের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যেসব বিষয়ে প্রকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন পূর্ণ মানের ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি, সেসব বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর স্ব স্ব এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলকে শতভাগ (১০০%) ভিত্তি ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফল প্রস্তুত করতে হবে।
এ ছাড়া ফল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে এ দুটি নির্দেশনা মেনে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রস্তুত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, চিঠি পেয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে, সেভাবে ফল তৈরি করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরটিভি/আরএ/এসএ
স্কুলে ভর্তিতে লটারি নাকি পরীক্ষা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিকেলে সভা
দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিগত কয়েক বছর ধরে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে আসছে সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
দাবি পর্যালোচনা করে ভর্তি নীতিমালা সংশোধনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সভাতেই চূড়ান্ত হতে পারে, স্কুলে ভর্তির প্রক্রিয়ায় লটারি থাকবে নাকি নেওয়া হবে পরীক্ষা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ঢাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রধানরা অংশ নেবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঢাকাসহ দেশের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান লটারির মাধ্যমে ভর্তি নিয়ে আপত্তি তুলেছে। এর স্বপক্ষে বিভিন্ন যুক্তিও তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো আজকের সভায় আলোচনা হবে। সংশ্লিষ্টদের মতামত ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ভর্তি নীতিমালায় কিছু সংশোধন আসতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে জানান, লটারির মাধ্যমে ভর্তির বিষয়টিতে পরিবর্তন আসবে কি না, সেটা সভায় সিদ্ধান্ত হবে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের স্পষ্ট নীতিগত সিদ্ধান্ত নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদের দাবি নিয়ে আলোচনা করে তা যৌক্তিক মনে হলে পরিবর্তন আসতে পারে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
সাদ্দাম, জয়, লেখক ও রাব্বানীসহ ছাত্রলীগের ৬৬ নেতাকর্মীর নামে মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত ছাত্রদলের সোহেল-আরিফ কমিটির ওপর হামলার অভিযোগে অভিযোগে ছাত্রলীগের আল নাহিয়ান খান জয়, লেখক ভট্টাচার্যসহ ৬৬ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহাবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— সাদ্দাম হোসেন, গোলাম রাব্বানী, সঞ্জিত চন্দ্র দাস, রিয়াজুল ইসলাম, মোনেম শাহরিয়ার হাসান মুন, সামিউজ্জামান সামি, আসিফ হোসেন, রেহানুল লাভলী, সাব্বির হোসেন, আরিফুল ইসলাম আরিফ, অহিদুল ইসলাম আকাশ, বাধন মিয়া, আজিজুল হক, ওবায়দুল হোসেন, সোলায়মান হাবিব।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাত্রদলের নবগঠিত সোহেল-আরিফ কমিটি ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের জন্য যাচ্ছিল। বিকেল ৪টার দিকে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
আরটিভি/এআর-টি
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা যেভাবে হবে
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিমার্জিত মূল্যায়ন নির্দেশনার আলোকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষার বিশেষায়িত বিষয়গুলোর এবং দশম শ্রেণির মূল্যায়ন কার্যক্রম আগের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হবে। শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশিকায় এ তথ্য জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
এতে বলা হয়েছে, এনসিটিবি থেকে পাঠানো চিঠির আলোকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য সাধারণ নির্দেশনা ও বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনায় দেওয়া সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি এবং নমুনা প্রশ্নপত্র ও মানবণ্টন ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েক মাসের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে এবং শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট সময়ে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের শিখন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে না বলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং অভিভাবকমহল থেকে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতটুকু অংশ সম্পন্ন করতে পারবে, তার ভিত্তিতে নমুনা প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে আগে এক চিঠিতে এই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি বা সিলেবাস যথাসম্ভব সম্পন্ন করে পরীক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বিষয়ের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আরটিভি/এমএ/এসএ