রাস্তা পারাপারের সময় বাসচাপায় ববি ছাত্রী নিহত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভোলা সড়কের মোড়ে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে রাস্তা পারাপারের সময় বাসচাপায় মাইশা ফৌজিয়া মিম নামে এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাইশা ফৌজিয়া মিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস নামে কুয়াকাটা থেকে বরিশালগামী বাসটি ওই শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা সেরনিয়াবাত সেতুর টোলে বাসটিকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাইশাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন
এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানা গেল
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়ন করে ফলাফল তৈরির কাজ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে এর মাঝে কোনো একদিন এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হতে পারে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যেসব পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর মূল্যায়নের পাশাপাশি বাতিল পরীক্ষাগুলোর জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আমরা ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশের অনুমতি চেয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন পেলে এর মাঝেই কোনো একদিন ফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও তা হয়নি। কারণ হিসেবে শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির দিন বিভিন্ন এলাকার থানায় হামলা হয়েছিল। এতে থানায় রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় ১১ আগস্টের পরিবর্তে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে।
গত আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।
আরটিভি/এমএ
মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য সুখবর
এখন থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (অর্থ) আবুল বাসার বলেন, ‘গত দুই মাস ১ তারিখেই সারাদেশের মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়েছে। যেটা মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর করতে পারেনি। মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে খুব সহজেই মাসের ১ তারিখ বেতন-ভাতা পান, সে জন্য এই সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি বাস্তবায়ন হলে ৮ হাজার ২২৯টি বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদরাসার ১ লাখ ৭৯ হাজার ২১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতি মাসের ১ তারিখ বেতন-ভাতা ইএফটিতে পাবেন। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং সভাপতিত্ব করবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. বেগম শাহনওয়াজ দিলরুবা খান ও সামসুর রহমান খান। এ ছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়, আইবাস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত থাকবেন।
দুর্গাপূজায় যতদিন বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল ও কলেজ। এরমধ্যে ৯ দিন ছুটি এবং মাঝে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক বন্ধ রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করা হয়। এতে এ ছুটির কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হবে ৯ অক্টোবর, যা চলবে ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। এরমধ্যে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের ছুটি ১৫ অক্টোবর, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি ১৬ অক্টোবর। তবে পরবর্তী দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে।
এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে চলতি মাসে টানা তিনদিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর (রোববার)। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
এদিকে, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, পূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপতৎপরতার সুযোগ নেই।
আইজিপি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে আনসার মোতায়েন হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সব পূজা মণ্ডপে আনসার মোতায়েন হবে। পুলিশের অন্যান্য টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
তিনি বলেন, কোথাও কোনো অপতৎপরতার সুযোগ নেই। সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ৯৯৯ সব সময় চালু রয়েছে। বিশেষ কন্ট্রোল রুমে সারাদেশ থেকে পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করা হবে।
ময়নুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যেকোনো জায়গায়, যেকোনো পূজামণ্ডপে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/আরএ
এইচএসসির ফল প্রকাশে নতুন পদ্ধতি
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে। তবে আগের নিয়মে নয়, নতুন পদ্ধতিতে এ ফল প্রকাশ করা হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষার্থীরা তাদের ফল জানতে পারবেন। তবে অন্যান্য বারের মতো এবার কোনো কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক শিক্ষাবোর্ড থেকে আলাদাভাবে ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, এবার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে না। স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ড ফল প্রকাশ করবে। তবে, প্রতিবছরের মতো শিক্ষার্থীরা এবারও এসএমএস, ওয়েবসাইট ও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ফল জানতে পারবেন।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় ২২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাবলিক পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর হয়ে আসছিল। বোর্ড চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতেন। সেখানে উপস্থিত থাকতেন শিক্ষামন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদা সংবাদ সম্মেলন করার পর পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারতেন।
আরটিভি/আইএম
সেরা ৮০০-তে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং-২০২৫ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’। এতে সেরা ৮০০-তে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত মর্যাদাপূর্ণ এ র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ৮০০-এর মধ্যে না থাকলেও এর পরে তালিকায় আছে দেশের মোট ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, প্রতি বছর শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্কিং করে শিক্ষা সাময়িকীটি।
তালিকা থেকে জানা গেছে, র্যাঙ্কিংয়ে ৮০১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এ ছাড়া ১০০১ থেকে ১২০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ১৫০০-এর পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান।
এবারের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও তৃতীয় স্থানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এর পর যথাক্রমে আছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়।
আরটিভি/এসএপি-টি
পিএসসির চেয়ারম্যান হলেন মোবাশ্বের মোনেম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রসাশন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছর অথবা তার আগে তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সভাপতি পদে বহাল থাকবেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন পদত্যাগ করেন। ওইদিন বিকেলে পিএসসি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। পিএসসির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার চেয়ারম্যানসহ বেশির ভাগ সদস্য পদত্যাগ করেন। দুজন সদস্য পদত্যাগ করেননি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও যাচ্ছে না, ফোন বন্ধ।
পিএসসি চেয়ারম্যানসহ কমিশনের ১২ জন সদস্য পিএসসি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
পদত্যাগ করা সদস্যরা হলেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব ফয়েজ আহম্মদ, সাবেক অধ্যাপক উত্তম কুমার সাহা, সাবেক নির্বাহী পরিচালক জাহিদুর রশিদ, অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আলী আজম, সাবেক সচিব খলিলুর রহমান, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মাকছুদুর রহমান, সাবেক সচিব নাজমানারা খাতুন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
তবে দুজন সদস্য এখনও পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তারা হলেন সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, পিএসসি সংস্কার নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যে পিএসসি সংস্কার করে চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরির পরীক্ষাগুলো শুরু করতে হবে। যে তরুণ প্রজন্ম এই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক তাদের প্রায়োরিটির কথা ভুলে গেলে চলবে না।
আরটিভি/এফএ-টি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অপটিক্যাল ফাইবার ব্রডব্যান্ড কানেকশন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ৩৬টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) বিদ্যালয়গুলোয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করবে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) এ তথ্য জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইএমডি শাখার পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মহিউদ্দীন আহমেদ তালুকদার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘ইস্ট্যাবলিশমেন্ট ডিজিটাল কানেকটিভিটি (ইডিসি)’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।
মহিউদ্দীন আহমেদ তালুকদার জানান, সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ইডিসি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়গুলোয় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। মোট ৩৬টি আইএসপি এ সংযোগগুলো স্থাপন করবে।
কবে নাগাদ সব স্কুলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইডিসি প্রকল্পের সঙ্গে এমইউ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ সব স্কুলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন স্থাপন করা হবে সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে পারছি না।
এর আগে, ২০২২ সালে ৪১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রামীণফোনের আওতায় ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
আরটিভি/একে/এসএ