ছাত্রলীগ কর্মীকে ভিসির পিএস নিয়োগ, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
নিয়মবহির্ভূতভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল তোফায়েলকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় নিয়োগ বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোরাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল আল আহমদ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বেরোবি শাখার রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচি ও মিছিলে তাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন মিটিংয়ের ছবিও রয়েছে। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের ভাতিজা। যিনি গত ৮ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলার দায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন।
সংবাদ সম্মেলনে নিঘাত রৌদ্র বলেন, এমন একজনকে ভিসির পিএস হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যে সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যে আওয়ামী লীগকে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হিসাবে গণ্য করছি সেই সময়ে এই ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটাকে আমরা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য মনে করতে পারি না।
লিখিত বক্তব্যে মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্টের সহযোগী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল তোফায়েল আল আহমদকে ভিসির পি এস হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেটি নিয়মবহির্ভূত ভাবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ম ও আইন ভঙ্গ করে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমতি না নিয়েই এই নিয়োগ দিয়েছে। এই নিয়োগ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু উল্টো ভিসি কোটায় নিয়োগ বাণিজ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় রোববারের (১৭ নভেম্বর) মধ্যে এই নিয়োগ বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
আরটিভি/এএএ
মন্তব্য করুন