• ঢাকা সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জাবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

জাবি সংবাদদাতা, আরটিভি অনলাইন

  ০২ জানুয়ারি ২০২০, ২০:১৩
জাবিতে র‌্যাগিং, ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ১১ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তবে বহিষ্কৃতরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও প্রশাসনের শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন তাদের লঘু পাপে গুরুদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিশেষ সভার বরাত দিয়ে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হারুন-অর-রশিদ, মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, এনামুল হক তামিম, রাইসুল ইসলাম রাজু, তাওসিফ আব্দুল্লাহ, স্টিব সালগ্না রেমা, জাকির হোসেন জীবন, মো. মাহবুবুর রহমান, সারা বিনতে সালাহ, সায়মা লিমা ও ফারিয়া বিনতে হক। তারা সবাই সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়েছে, বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৯-১২-২০১৯ থেকে আগামী ১ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। এছাড়াও একই বিভাগের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাসান ও আল ইমরান হোসেন তালুকদারকে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে চূড়ান্ত সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে।

এদিকে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির অনুসন্ধান ও সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অভিযোগ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন না করেই তদন্ত কমিটি অনুমান নির্ভর তথ্যের উপর ভিত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

বহিষ্কৃত এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তদন্ত কমিটি আসল সত্য অনুসন্ধান করেননি। দুই পক্ষের আত্মপক্ষ সমর্থন যাচাই-বাছাই ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছে। এদিকে এক মেয়ে শিক্ষার্থী বলেন, এই তদন্ত কমিটির উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। তিনি বলেন, ঐদিন র‌্যাগিংয়ের মতো কোনও ঘটনায় ঘটেনি। বরং বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিয়ে আলোচনা করতে সিনিয়ররা তাদের মাঠে ডেকেছিল। যেটা হয়েছে পরিবারের ভেতরেও একসঙ্গে থাকলে ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে সেটা মীমাংসা করে নিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের বহিষ্কার করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এদিকে যাদের র‌্যাগিং করার দায়ে ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের মধ্য থেকে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সঙ্গে র‌্যাগিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। যেটা হয়েছিল সেটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। ঘটনার দিনই আমরা বিষয়টি মৌখিকভাবে ও লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রোক্টর স্যারকে জানিয়েছি।

তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে কমিটির সভাপতি ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, তদন্ত কমিটিতে আরও অন্যান্য সদস্যরা আছেন। সব সাক্ষ্য প্রমাণ তদন্ত প্রতিবেদনে আছে। আমি একা কোনও বক্তব্য দিব না।

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবো না। এটা পুরোপুরি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত। আমি তদন্ত কমিটির কোনও প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh