আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার ইংলিশ ভার্সনে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও বই বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুধু ভালো ফলাফল নয়, ভালো মানুষ হিসেবে সবাইকে গড়ে উঠতে হবে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার মাধ্যমেই জীবনের সফলতা নির্ভর করে। এ লক্ষ্য নিয়েই আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহ ভূঁইয়া, মল্লিক আমিরুল ইসলাম, মারিয়াম সুলতানা, শংকর কুমার মণ্ডল, সুমনা সুলতানাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিকে জরুরি নির্দেশনা
বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ২৪ উপাচার্যকে (ভিসি) একটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে স্ব স্ব উপাচার্যের (ভিসি) বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ চিঠি দেয়া হয়। তবে এর আগে সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যকে (ভিসি) চিঠি পাঠিয়েছে। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা তার অফিসিয়াল প্যাডে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিগুলো তুলে ধরে আধা-সরকারি একটি পত্রও পাঠিয়েছেন। তবুও গুচ্ছে ফিরতে নারাজ ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু উন্নয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সাল থেকে দেশের সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমানো, ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সাশ্রয় করা এবং মেধাভিত্তিক, স্বচ্ছ ও সমন্বিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন নিশ্চিত করা।
ফলে উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন, এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এতে আরও বলা, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পুনরায় গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে এ পদ্ধতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত একটি আধা-সরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় উপাচার্যদের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমাতে চালু করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি। এবার দুটি গুচ্ছ থেকে এ পর্যন্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
তবে গত ১ ডিসেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা একটি চিঠিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছিল।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়। সবশেষ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করেছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে জগন্নাথ, কুমিল্লা, খুলনা, বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এছাড়া, প্রকৌশল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, কৃষি গুচ্ছ থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন। একই দাবিতে সেখানে শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে নেমেছেন।
আরটিভি/কেএইচ
চারদিন পর সহ-সমন্বয়ক খালেদের মিলেছে সন্ধান
চারদিন পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ হাসানের সন্ধান মিলেছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ফিরলে শিক্ষার্থীরা তাকে তার কক্ষে নিয়ে যান। তবে গত ৪ দিন তিনি কোথায় বা কার সাথে ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব ইমরোজ বলেন, খালেদ মাত্রই হলে ফিরেছে। আমি তার রুমেই আছি। সে আপাতত চুপচাপ রয়েছে, কোনও কথা বলছে না। আপাতত ফ্রেশ হয়ে নিক, তারপর আমরা জানতে পারব সবকিছু।
প্রসঙ্গত, গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। ছেলের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় চষে বেড়ান বাবা। পরিবারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মেলেনি খালিদের সন্ধান। খালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় তার বাড়ি।
আরটিভি/কেএইচ
বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত / শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে ভিসিদের বৈঠক, গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকছে বলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে জানিয়েছেন উপাচার্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) গুচ্ছ পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তারা এমনটি জানান। ওই বৈঠকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে গুচ্ছ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সকল কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ জানান, শিক্ষা উপদেষ্টার নির্দেশনায় আগামী বুধবার (১ জানুয়ারি) ভর্তি কমিটির বৈঠক থেকে গুচ্ছ ভর্তির তারিখ, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ আনুষঙ্গিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। তবে যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকতে চাচ্ছে, তাদের নিয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন উপাচার্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিয়ে মাভিপ্রবি উপাচার্য বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সভা করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পরবর্তী কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি, ২০২৫ সালের প্রথম দিনই (১ জানুয়রি) আমরা সভা করে আবেদন ফি, ভর্তি পরীক্ষার তারিখসহ যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গুচ্ছ ভর্তিতে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে জানিয়ে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম বলেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। বাকি ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকার পক্ষে। আশা করছি, এ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরটিভি/কেএইচ
জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ ঘিরে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সব রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে। এর মধ্যদিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে।
নতুন বছর উদযাপন ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত ৫০০ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই-আগস্টে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে এই বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। যদিও এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি ছাড়াও ’৭২ এর সংবিধান সংস্কার বা বাতিলসহ জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বলা আছে, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য ১৯৪৭ সাল যুদ্ধ করেছে, যেহেতু পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, যেহেতু ১৯৭২ এর সংবিধান আমাদের জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, যেহেতু মার্শাল ল’ এবং সাংবিধানিক সংশোধনীসমূহ ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রকে দুর্বলতম করেছে। এই উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হচ্ছে। যা ৫ আগস্ট, ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে।
আরটিভি/কেএইচ
জরুরি বৈঠকে বসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবো। বৈঠক চলমান রয়েছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের ঘোষণা দেওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে কিছু দিনের মধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রস্তুত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এর আগে রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণাপত্রে দুটি মৌলিক বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। তাতে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর ‘কবর’ রচনা করা এবং ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার কথা থাকবে।
আরটিভি/কেএইচ
থার্টিফার্স্ট নাইটে জাবিতে অভিযান: মদ্যপ অবস্থায় ঢাবি শিক্ষার্থীসহ আটক ৯
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে প্রক্টোরিয়াল টিমের অভিযানে ৯ শিক্ষার্থীকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন নামক স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করেন প্রক্টোরিয়াল টিম। এর মধ্যে ৫ জন নারী শিক্ষার্থী এবং ৪ জন ছেলে শিক্ষার্থী। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গভীর জঙ্গলে বারবিকিউ পার্টি করতে দেখা যায়।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিং বিভাগের প্রিয়ন্তি নাগ, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইন্সটিটিউটের উপজাতি শিক্ষার্থী থোয়াইনু প্রু এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের খেংচেং ফু মারমা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে উত্তরা ইউনিভার্সিটির আফরিন আশা এবং প্রাইম নার্সিং কলেজের মাসুই মারমা কে আটক করা হয়।
এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হ্রুই মুইং স্যাং ও কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণ, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ৫১ ব্যাচের মো. শিপন হোসেন ও সতীর্থ বিশ্বাস বাঁধনকে আটক করা হয়। আটকককৃত শিক্ষার্থীদের জাবির শিপন থাকেন কামালউদ্দিন হলের ২৪৪ নম্বর কক্ষে, সতীর্থ বিশ্বাস আল-বেরুনী হলে, প্রিয়ন্তি ঢাবির রোকেয়া হলে এবং আফরিন নবীনগরে নিজবাড়িতে। এদিকে থোয়াইনুপ্রু ঢাবির জগন্নাথ হলে ও খেংচেংফ্রু মারমা রোকেয়া হলে থাকেন।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি টিভি ফুটেজে তাদের গতিবিধি অনুসরণ করে সুন্দরবন নামক স্থান থেকে দেশি, বিদেশি দুই বোতল মদসহ তাদের আটক করেন প্রক্টোরিয়াল টিম। এসময় তারা দুইটি জায়গায় গোল হয়ে বসে মদ্যপ অবস্থায় পায় প্রক্টোরিয়াল টিম। তবে এদের মধ্যে একটি গ্রপ মদ পানের কথা স্বীকার করলেও অপর গ্রুপ শুধু মদ বাহনের কথা স্বীকার করেন। এসময় প্রক্টোরিয়াল টিমের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম।
আটককৃত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাবি শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণে বহিরাগত শিক্ষার্থীরা মদ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এরপর নিরিবিলি জায়গায় (সুন্দরবন) আড্ডা জমিয়ে মদ পান করেন তারা।
আটককৃতদের মধ্যে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. শিপন হোসেন বলেন, ‘আমি ও আমার ফ্রেন্ডরা মিলে নতুন বছর উপলক্ষ্যে আগুন জালিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। প্রক্টরিয়াল বডি আমাদের ধরে নিয়ে আসে। যখন ধরা হয় তখন আমাদের সাথে এলকোহল ছিলো। আমাদের সঙ্গে যাদের আটক করা হয়েছে তারা আমাদের গেস্ট। তাদের বাসা নবীনগর।’ এসময় মদ পানের কথা স্বীকার করেন তারা।
এ অভিযান পরিচালনা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, ‘আমরা ইতোঃমধ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। আমরা ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ক্যাম্পাসের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকল শিক্ষার্থীদের রাত ১০টার মধ্যেই স্ব স্ব হলে ফেরার নোটিশ দিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে সকল বহিরাগতদের প্রবেশ আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছি। নোটিশে উল্লেখ করা এসব বিষয় তদারকি করতেই আজকে রাতে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করি এবং শিক্ষার্থীদের বাইরে কোথাও পেলে তাদের হলে ফিরে যেতে বলি। আমরা সুন্দরবন এরিয়ায় গেলে সেখানে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপকে আমরা মাদক সেবনরত অবস্থায় ধরতে সক্ষম হই।’
আটককৃত এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন এখন কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? এমন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা সকলের পরিচয় সরবরাহ করেছি এবং সকলের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছি ও সকল প্রকারের প্রমাণ জোগাড় করেছি। এখন আমরা এসব বিষয়ে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনা করে প্রমাণ সাপেক্ষে খুব দ্রুতই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এদিকে এ অভিযান পরিচালনা শেষে রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের এক্সটেনশনের গভীর জঙ্গলে বারবিকিউ পার্টি করতে দেখা যায় চারুকলা ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এসময় তারা আগুন জ্বালিয়ে গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তবে তাদের আড্ডার স্থানে ওয়ানটাইম গ্লাস (খালি) পাওয়া যায়, যেগুলোতে অ্যালকোহলের গন্ধ পাওয়া যায়। পরে প্রক্টর তাদের দ্রুত ঐ স্থান ছেড়ে হলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩১ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব হলে রাত ১০টার মাঝেই ফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং বহিরাগত সকল অতিথিদের ক্যাপাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আরটিভি/এসএপি
হাসনাত-সারজিসসহ শীর্ষ বেশ কয়েক নেতার ফেসবুক আইডি উধাও
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ বেশ কয়েক নেতার ফেসবুক আইডি উধাও হয়ে গেছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক আইডিও রাত সাড়ে ১০টার পর সার্চ দিয়ে পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে শীর্ষ বেশ কয়েক নেতার ফেসবুক আইডি উধাও হয়ে যাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।
একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামক একটি হ্যাকার গ্রুপ সাইবার হামলা চালিয়েছে। তারা আইডিগুলো ডিজেবল পেছনে নিজেদের দায় স্বীকার করেছে। তবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
হাসনাত-সারজিস ছাড়াও ফেসবুক আইডি উধাও হওয়া ছাত্রনেতাদের মধ্যে রয়েছেন- চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত রাফী, অনলাইন একটিভিস্ট সাইদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম প্রমুখ।
তবে, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি নীতি উপদেষ্টা ফাইজ তাইয়্যেব আহমেদ তার ফেসবুক আইডিতে রাত ৯টার দিকে এক স্ট্যাটাসে বলেন, যেসব আইডি ডাউন করা হয়েছে সেগুলোর লিংক দিন। এই স্ট্যাটাসের নিচে শতাধিক কমেন্টে গণঅভুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজ হ্যাক হওয়ার দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, একটি গুঞ্জন ছড়িয়েছে, আক্রমণের আশঙ্কায় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম নিজেদের ফেসবুক আইডি নিজেরাই ডিঅ্যাক্টিভেট (অস্থায়ীভাবে স্থগিত) করে রেখেছেন। তবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ নিশ্চিত করেননি।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সমন্বয়ক দাবি করেন, তাদের কারও আইডি ডিজেবল বা নষ্ট হয়নি। আইডিগুলোতে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। তাই তারা আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন।
এ ছাড়া ছাত্রনেতা সাইয়েদ আবদুল্লাহ জানান, গতকাল বিকেলে হঠাৎ একটি মেসেজ পেলাম যে আমার আইডিটি ডিজেবল করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে আইডিতে গিয়ে সিকিউরিটি নিশ্চিত করে সেটি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম আইডিটা সাসপেন্ড করে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাইবার টিম এই সাইবার হামলার ঘটনায় জড়িত রয়েছে দাবি করে সাইয়েদ আবদুল্লাহ বলেন, আইডি সাসপেন্ড হওয়ার পর তাদের বিভিন্ন পেজ থেকে আমরা যারা আন্দোলনে ছিলাম তাদেরকে টার্গেট করে এটা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
আইডি নিষ্ক্রিয় থাকার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম গণমাধ্যমকে বলেন, খান তালাত মাহমুদ রাফি ও সাইয়েদ আব্দুল্লাহর ফেইসবুক আইডি হ্যাকড হয়েছে। বাকিরা আমরা সবাই সর্তকতা অবলম্বন করে নিজেরাই ডিএক্টিভ করে রেখেছি। প্রয়োজনীয় কিছু ব্যবস্থার নিতে হবে তারপর আবার আইডি সক্রিয় করব।
আরটিভি/কেএইচ/এআর