তদন্ত কমিটি গঠন, ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বুয়েট উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে সময় সাপেক্ষ বিষয় এটি। নিয়ম অনুয়ায়ী শাস্তি দেয়া হবে।
শনিবার (৩০ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন।
বুয়েট উপাচার্য বলেন, আগামী ৮ তারিখের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ছাত্রদের দাবির বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।
এদিকে ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে মূল ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ইস্যুর সঙ্গে জড়িত ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৬ জনকে ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের আল্টিমেটাম দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। এর আগে তারা সকাল থেকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত অনুপ্রবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে শুক্রবার বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি পেশ করেছিলাম।
তারা বলেন, বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রথম দাবি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সাথে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের একাংশের নাম পরিচয় আমরা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছি। তারা হলো এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাত।
বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গের দায়ে এবং বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অপশক্তি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করায় এদের সকলের বুয়েট থেকে স্থায়ী একাডেমিক এবং হল বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন