ঢাবির হলে বৈধ সিট নিশ্চিতসহ ১১ প্রস্তাবনা
ইউনির্ভাসিটি রিফরমেশন ইনেশিয়েটিভস নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী তাদের প্রথম বর্ষ থেকেই বৈধ সিট নিশ্চিত ও গণরুম উচ্ছেদসহ আবাসন ব্যবস্থাপনায় ১১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মুখপাত্র শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আদনান মুস্তারি এবং বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা।
শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. আর্থিক অবস্থা, বাসস্থানের দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ থেকেই হলের বৈধ সিট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
২. আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও যেসব শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিট বরাদ্দ দিতে অপারগ হবে, সেসব শিক্ষার্থীর সিট ভাড়া বাবদ মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. হলে কেবল নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই অবস্থান করতে পারবে। সর্বশেষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ পরবর্তী সর্বোচ্চ ২ মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করতে হবে।
৪. সিট প্রদান এবং সিট বাতিল সংক্রান্ত সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ক্ষেত্রে কারও কোনো সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না। সিট বণ্টনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সুবিধাভোগী সবাইকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৫. সিট খালি হওয়া সাপেক্ষে নিয়মিত সার্কুলার জারি করতে হবে এবং আবেদনের ভিত্তিতে স্বচ্ছভাবে সিট বরাদ্দ করতে হবে।
৬. মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অবৈধভাবে সিটে অবস্থান করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এই সংশ্লিষ্ট সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রস্তুত করতে হবে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘গণরুম’ প্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করতে হবে।
৮. প্রত্যেক হলে ফার্স্ট এইড বুথ ও জরুরি ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিকীকরণের প্রস্তাব করতে হবে।
১০. সব ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক ভবন সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করতে হবে এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভবন বা হলের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে।
১১. হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যান্টিন ও মেসগুলোতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়মিত তত্ত্বাবধান এর আওতায় আনতে হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী তামিম মুনতাসির, ফজলুল হক মুসলিম হলের আনোয়ার ইব্রাহীম বিপ্লব, বিজয় একাত্তর হলের জোবায়ের হোসেন শাহেদ, ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের রেদওয়ানুল হাসান শান্ত প্রমুখ।
মন্তব্য করুন