• ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
logo

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশন

রাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন তিন শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন-সংলগ্ন জোহা চত্বরে অনশনে বসেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মেহেদী মারুফ, ফোকলোর বিভাগের আল শাহরিয়ার, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মেহেদী হাসান মাসুম।

অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, পোষ্য কোটা রাখার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানরা পিছিয়ে পড়া কোনো জনগোষ্ঠী নয়। তাদের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা পিছিয়ে পড়া তাদের বিষয় আলাদা। কিন্তু তারা তো সন্তানদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বড় করছেন। তাহলে এই সুবিধা তারা কীভাবে নেন? অবিলম্বে এ কোটা বাতিলের দাবিতে অনশন চালিয়ে যেতে চান তারা।

জানতে চাইলে অনশনরত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মাসুম বলেন, আপনারা জানেন, রাবিতে ১২০০-এর মতো শিক্ষক আছে। এর মধ্যে ৮০০ জনই কোনো না কোনো পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ। পোষ্য কোটার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট ইয়ারে যারা ভর্তি হয়, তারাও অলিখিতভাবেই শিউর হয়ে যায়, তারা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে। যে শিক্ষার্থীরা ৩০ পেয়ে চান্স পায়, ৪০ পর্যন্ত পায় না, তারাই ভবিষ্যতে শিক্ষক হয়। ভালো করে তদন্ত করলে আশা করি, এগুলো বের হয়ে আসবে। আমাদের যে দাবি ১৮ সাল থেকে হয়ে আসছে এবং এর জন্য ১৫০০ থেকে দুই হাজার প্রাণ গেল, সেই বিষয়টা আবার কেমনে রাবিতে হয়। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাব, যতক্ষণ পর্যন্ত লিখিতভাবে পোষ্য কোটা বাতিল না হবে। আমাদের মৌখিকভাবে বললেও আমরা উঠবো না।

এদিকে পোষ্য কোটা বাতিলে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দেন তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে এই কোটা চলে আসছে। আমরাই এবার কোটা সংস্কারে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি এবং ৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ করেছি। বিষয়টি নিয়ে উপকমিটির সভায় বেশ আলোচনা হয়েছে। অধিকাংশের মতো কোটা রাখার পক্ষে থাকায় সেটা বাতিল করা সম্ভব হয়নি। তবে ক্রমাগত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষে মোট কোটার ৩% পোষ্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভর্তি উপকমিটির এই সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরা সমালোচনা শুরু করেন। বিগত সময়ে এই কোটার বিপক্ষে অবস্থানয় নেয়ায় বর্তমান উপাচার্যের মন্তব্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হতে দেখা গেছে। দায়িত্ব পেয়ে এই কোটা কেন বাতিল হবে না প্রশ্ন তোলেন শিক্ষার্থীরা।

আরটিভি/এএএ/এসএ


মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • ক্যাম্পাস এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাবির ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল, আবেদন শুরু ৫ জানুয়ারি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় অধ্যাপকের শাস্তি বাতিল
রাবির শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা