আবু সাঈদ হত্যা মামলা: বেরোবির সাবেক প্রক্টর বরখাস্ত
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্তের খবর জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, বেরোবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গত ১৯ নভেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৩৯(২) ধারা মোতাবেক শরিফুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এই আদেশ ১৯ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
আরটিভি/এমএ
মন্তব্য করুন
৪ দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন
মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন আগামী ১৬, ২৫, ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এই তথ্য জানান ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘দেশের ল এন্ড অর্ডার নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এক সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমি ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মেট্রোরেলের টিএসসি স্টেশন ৪ দিন বন্ধ রাখার জন্য সুপারিশ করেছি। এসময় যোগাযোগ সচিব মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকে তাৎক্ষণিকভাবে এই ৪ দিন স্টেশনটি বন্ধ রাখতে বলেছেন। এ বিষয়ে শিগগিরই মেট্রোরেলকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ৬টি পয়েন্ট চাইলেই বন্ধ করতে পারি। কিন্তু ঠিকই মেট্রো স্টেশন দিয়ে লোকজন চলে আসবে। তাই আমরা মেট্রোরেলের টিএসসি স্টেশন বন্ধের সুপারিশ করলে সেটা গৃহীত হয়।’
আরটিভি/এসএপি
শাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষা ২২ ফেব্রুয়ারি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এবার নিজস্ব পদ্ধতিতে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে এ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ১৭৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।
একাডেমিক কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ সেশন থেকে এককভাবে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেবে শাবিপ্রবি। এতে আগামী ৫ থেকে ২৫ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার আবেদন চলবে।
এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় এ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) ও একইদিন বিকেল আড়াইটায় বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তও একাডেমিক কাউন্সিল গৃহীত হয়েছে।
আরটিভি/এএএ
ঢাবিতে যানচলাচল সীমিতসহ যে নির্দেশনা দিলো প্রশাসন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসের ভেতরে যান চলাচল সীমিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে সরকারি ছুটির দিনে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অফিস চলাকালীন দিনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্টিকারযুক্ত এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী গাড়ি ব্যতীত কোনো যানবাহন ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রক্টর অফিসের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা এবং অফিস চলাকালীন দিনগুলো বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রবেশপথগুলোতে (শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, বার্ন ইউনিট, শিববাড়ি ক্রসিং, ফুলার রোড, পলাশী মোড় ও নীলক্ষেত) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি, জরুরি সেবা (অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, রোগী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য সরকারি গাড়ি) ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ৭টি প্রবেশদ্বারে স্থাপিত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যারিয়ার (নিরাপত্তা চৌকি) এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স উদ্বোধন করা হয়।
আরটিভি/এএএ/এস
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তাকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যা করেছেন তাকিয়া তাসনিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪) শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের সপ্তম তলায় ৭০০৫ নম্বর কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তাকিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তাকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তাকিয়া। তৎক্ষণাৎ প্রেমিক তাকিয়ার বান্ধবীদের ফোন করে দ্রুত রুমে গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করতে বলেন। তবে, তারা সময়মতো দরজা ভাঙতে ব্যর্থ হন। দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকিয়াকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান তার বান্ধবীরা।
তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসককে হলে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন তিনি।
তাকিয়ার মামা মনির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমার ফোনে হল থেকে একটা কল আসে। এরপর আমাকে বলা হয় তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে। পরে আমি সাভার থেকে ঘটনাস্থলে যাই এবং দেখি যে তাকে ওড়না কেটে খাটের ওপর নামানো হয়েছে। এর আগে আমি তাকিয়ার বাবাকে ফোন করে ঘটনা জানাই। তার বাবা-মা মাগুরা থেকে রওনা হয়েছে।
উপস্থিত প্রক্টরিয়াল বডি জানায়, শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পুলিশের ডিউটি অফিসার মাসুদ বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে নিহত শিক্ষার্থীর তথ্য নিয়েছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য ও তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। নিহতের পরিবার এবং হল প্রাধ্যক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ময়নাতদন্ত করা হবে। তারা অনুমতি না দিলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, তাকিয়া বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও নিয়মিত সেখানে থাকতেন না। তিনি সাভারে তার মামার বাসায় থাকতেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তিনি হলে আসেন বলে জানিয়েছেন পাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা।
আরটিভি/এসএইচএম
বঙ্গভবনে যাওয়ার দাওয়াত পেয়েও প্রত্যাখ্যান করল রাবির সমন্বয়ক
রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণ পেয়ে প্রত্যাখ্যান করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘খুনি চুপ্পুর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করছি। যদিও দাওয়াতটা খুবই দরকার ছিল। কারণ ৬ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর পোষ্য কোটা বাতিলের পক্ষে স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দরকার ছিল। কিন্তু এই আমন্ত্রণে যাওয়া মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি ঠেকাতে আরেকটা বেইমানের সহযোগিতা নেওয়ার মতো ব্যাপার হবে। তাই যাচ্ছি না। তবে রাবির শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আমি মন্ত্রণালয়ে উঠিয়ে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
কীসের জন্য ইনভাইটেশন তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা একটি রাষ্ট্রীয় দাওয়াত ছিল। যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহী থেকে শুধু আমাকেই দাওয়াত দেন। আমরা সারা বাংলাদেশের ৪০ জন সমন্বয়কই তা প্রত্যাখ্যান করলাম। প্রধান উপদেষ্টা দাওয়াতে আমরা যাব। কিন্তু খুনি চুপ্পুর দাওয়াতে আমরা যাব না।’
আরটিভি/এমকে/এআর
রাজনীতিবিদরা প্রতারণা করছেন: হাসনাত আব্দুল্লাহ
রাজনীতিবিদরা প্রতারণা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের ‘সাতচল্লিশ-একাত্তর-চব্বিশ: আমাদের বিজয়ের পথপরিক্রমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত বলেন, রাজনীতিবিদরা আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন এটা আমরা দেখছি। আমরা যেভাবে অতীতকে বর্তমানের কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছি ঠিক একইভাবে আপনাদের বর্তমান ভবিষ্যতে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আমাদের বর্তমানে রাজনীতিবিদ যারা রয়েছেন আপনারা সংসদভবনমুখী হচ্ছেন, মিনিস্ট্রি দখল করবেন, গাড়িতে পতাকা উড়বে; কোনো সমস্যা নেই। আমরা রক্ত দিয়েছিলাম যেন আপনাদের যাদের গাড়িতে পতাকা ওঠার যোগ্য, তারাই আসেন। তবে আপনারা আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করছেন এটা আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, আজকের প্রোগ্রামের টাইটেল ‘৪৭, ‘৭১ এবং ‘২৪-এর বিজয়ের পরিক্রমা। ৪৭ এ যদি বিজয় হতো তাহলে ৭১ হতো না, আবার একাত্তরে বিজয় অর্জন হলে ২৪ হতো না। এটা আসলে বিজয়ের পরিক্রমা না, এটা হচ্ছে জাতি হিসেবে আমরা যে প্রতারিত হয়েছি, সেই প্রতারণার পরিক্রমা। আমরা ৪৭, ৭১-এ প্রতারিত হয়েছি। ২৪-এ প্রতারিত হচ্ছি কি না সেটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বারবার প্রতারিত হয়েছি বলেই আমাদের চব্বিশের অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জা নেই। যে সংবিধান রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, ৫ আগস্ট পরে কিছু কিছু রাজনীতিবিদদের সেই সংবিধানের প্রতি বিশাল মমত্ববোধ তৈরি হয়েছে। এটা জাতি হিসেবে আবার আমাদেরকে প্রতারণার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
হাসনাত বলেন, ৭২ সালে আমাদের একটি সংবিধান বানাইছে, এটা স্রেফ একটা গার্বেজ। আজকে রাষ্ট্রপতির দাওয়াত ছিল, যে রাষ্ট্রপতি এই সংবিধান থেকে আসছে। ৫ আগস্ট এই সংবিধান শেষ। ওইদিনই রাষ্ট্রপতি শেষ। ফলে ওনার দপ্তর থেকে দাওয়াতে আমি যাব এটা আমার নিজের সঙ্গে প্রতারণা। আজকে যারা রাষ্ট্রপতির দাওয়াতে গিয়েছে তারা বিপ্লবে বিশ্বাস করে না অথবা তারা মনে করে সংবিধানে তাদের একটা স্টেক আছে।
৭২ এর সংবিধান বিদেশ থেকে আমদানি করা মন্তব্য করে হাসনাত বলেন, গণপরিষদ করা হলো, বিদেশে ঘুরতে গেলাম জনগণকে রিসার্চ করলাম না, জনগণের সঙ্গে কথা বললাম না। বিদেশ থেকে এখানে ইমপোর্ট করলাম এটা। এভাবে প্রতারিত হয়েছি বলেই ২৪’এর অবতারণা হয়েছে।
সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে কোনো মাইনরিটি নেই। মাইনরিটি তারাই যারা বাংলাদেশ ধারণায় বিশ্বাস করে না। দেশে কেউ ধর্মীয় বা জাতিগত কারণে মাইনরিটি হতে পারে না। আপনি মুসলমান হয়ে যদি আপনি বাংলাদেশ ধারণায় বিশ্বাস না করেন আপনি মাইনরিটি, তখন আপনি যে ধর্মেরই হন আপনি মাইনরিটি। যখনই তাদের (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় দরকার প্রয়োজন হয়েছে, তারা মাইনরিটি কার্ড খেলেছে।
নরেন্দ্র মোদির বিজয় দিবস নিয়ে স্ট্যাটাসের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজয়কে তিনি ভারতের বিজয় বলে দাবি করছেন। যদি এটা ভারতের বিজয় হয়ে থাকে তাহলে একাত্তরে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছে তারা কি সঠিক ছিল? আর যদি তা না হয় তাহলে ভারত মিথ্যাচার করছে।
সভায় ঢাবি শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে যুক্তরাজ্যের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার বক্তব্য রাখেন।
আরটিভি/একে/এআর
মাহিনের আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা, সারজিস-হাসনাতের একাত্মতা
বিডিআর হত্যার বিচার দাবিতে অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকারের আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশন বাতিল করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকার কমিশন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার যে ঘোষণা দিয়েছে, তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আগামীকাল সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
এর আগে মাহিন সরকারের পোস্ট শেয়ার ও একাত্মতা প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার ভাই মাহিনের পক্ষে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে। (হ্যাশট্যাগ) আইএমউইথমাহিন।’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে বিডিআর হত্যার বিচার দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলেও তিনি জানান।
ফেসবুক পোস্টে মাহিন সরকার বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে এই সরকার দেশের তামাম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যা স্পষ্টতই প্রহসনের শামিল।
তিনি বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার অর্জিত বিজয়কে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত তাদের নিজেদের জয় বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে অবহেলা করা এবং ভারতের এমন ইতিহাস বিকৃতির স্পষ্ট প্রতিবাদ না জানানো স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরই প্রতিবাদে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একজন নগণ্য অংশীদার হিসেবে আমি মাহিন সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভিকটিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করবো। আমার সঙ্গে যদি কেউ না-ও যায়, এমনকি পুরো বাংলাদেশের একজনও যদি আমার পক্ষে না থাকে তবু আমি আমার এই দৃঢ় অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটবো না।
তিনি আরও বলেন, কোনও ভিনদেশি পরাশক্তি কিংবা হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় আসীন হওয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারও যদি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবু আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আমৃত্যু লড়ে যাবো। এই বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সংস্কার কার্যক্রম কিংবা কমিশন গঠনের নামে দীর্ঘসূত্রতার কোনও পদক্ষেপকে আমি গ্রাহ্য করবো না।
আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করতে ছাত্র-জনতাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসার আহবান জানিয়ে মাহিন আরও বলেন, আগামীকাল সকাল ১১টায় সচেতন ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
আরটিভি/কেএইচ