হাবিপ্রবির বাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পরিবহন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ , ০৮:৪৩ পিএম


হাবিপ্রবির বাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী পরিবহন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
ছবি : আরটিভি

সিট সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বাসে উঠলেই বিপাকে পড়েন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বাস চালকেরা। এ নিয়ে প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে বাকবিতণ্ডার সম্মুখীন হতে দেখা যায় শিক্ষার্থী-বাস চালকদের মধ্যে। 

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস চালক জানান, সিট সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বাসে উঠলেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে ঝুঁকি থাকে। চলন্ত গাড়ি ব্যালেন্স এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবুও একটু এদিক-সেদিক হলেই শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়তে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্যানুসারে বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সংখ্যা ১১২০৩ জন। এছাড়াও অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকাগুলোতে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে বারো হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সচল বাস রয়েছে ১০টি। এছাড়াও ২টি দ্বিতল বাস রয়েছে, যার প্রতি ট্রিপে দিতে হয় ১৯৫৩ টাকা।

বিজ্ঞাপন

ক্যাম্পাস চলাকালীন প্রতি টিপে সর্বোচ্চ ২-৩টি বাস থাকে। এই স্বল্প পরিমাণ বাসে কখনো কখনো অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বহন করতে হয়, আবার কখনো বাস ফাঁকা থাকে। ক্যাম্পাস থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা, শনিবার বিকেল ৪টা ও রোববার-বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা, ৫টা, ৫টা ৩০ এবং বড়মাঠ থেকে ৬টা, ৭টা, ৮টার বাসে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী বহন করতে হয় ক্যাম্পাসের পরিবহণ বাসে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ মজুমদার বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান এর কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় স্নাতকোত্তর সহ অনেকগুলো ব্যাচের শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। এই পরিস্থিতিতে বাসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী সংখ্যাও বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেলেও বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয় নি। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের চাপ পড়ছে বাসগুলোর ওপর। অনেকসময় দেখা যায় গাদাগাদি করে বাসে আসা যাওয়ার সময় শিক্ষার্থী ও চালকের মধ্যে বাকবিতণ্ডার মতো ঘটনা ঘটে। প্রশাসন এই সমস্যা নিরসনে সঠিক পদক্ষেপ নিবে বলে আমরা আশাবাদী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন এবং যন্ত্র মেরামত শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস হয় না। শিক্ষকদের মর্জি অনুযায়ী ক্লাস হয়। ফলে কোন সময় বাসে শিক্ষার্থীদের চাপ পড়বে তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। তবে শিক্ষার্থীর চাপ বেশি থাকলে তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত বাস দেওয়ার নিয়ম আছে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কল রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে করোনা পূর্ববর্তী বাস শিডিউল কার্যকর রয়েছে। এ শিডিউলে সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট পরিবহন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ডে তে দৈনিক ২৬টি সহ সপ্তাহে প্রতি শুক্রবারে ১টি এবং শনিবারে ২টি বিশেষ ট্রিপ রয়েছে।

আরটিভি/এএএ-টি 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission