• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo

দেশ গঠনে যেভাবে তারুণ্যকে কাজে লাগানো যেতে পারে

জাবেদ ইকবাল

  ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১৫
জাবেদ ইকবাল
লেখক: জাবেদ ইকবাল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চলমান এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত সব পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলো পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। এখন ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ কীভাবে করা হবে, তা নিয়ে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। যাদের বেশিরভাগ ১৮ ছুঁই ছুঁই। অনেক ইউরোপীয় দেশে, ১৮ বছর বয়সে পৌঁছালে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সামরিক বাহিনীতে যোগদান করা বা জাতীয় পরিসেবা কাজে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের স্বল্প মেয়াদী জাতীয় পরিসেবা কাজে সুযোগ দিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারে, যা পরবর্তীতে তরুণদের দেশপ্রেমের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করাবে।


রাষ্ট্রের সকল সেক্টরে দূর্নীতিমুক্ত করে প্রকৃত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরবর্তী সরকারের কাজ। আর এই জন্য দরকার সৎ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ জনবল। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেই যোগ্যতা আছে। তাদের হাতে থাকলে সব ঠিকঠাক হবে এবং চলবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রায় সকল সরকারী সেক্টর এখন সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে। আর এই সঠিক তত্ত্বাবধান করার জন্য দরকার প্রচুর জনবল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এইচএসসি এবং অন্যান্য সাধারণ পরীক্ষার্থীদের স্বল্প মেয়াদী ও অনন্যা মেয়াদী পরিসরে সামরিক বাহিনীতে কাজ করার সুযোগের মাধ্যমে একজন সুনাগরিকের বিকাশে যা যা দরকার তা অর্জন হবে।

ইতিমধ্যে আমরা দেখেছি, আওয়ামী সরকার পতনের শুরু করে পরবর্তী দিনগুলোতে সাধারণ পরীক্ষার্থীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, মন্দির পাহারা এবং রাতের ডাকাত পাহারায় নিজেদের কিভাবে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছে । বর্তমানের বন্যা দুর্যোগ , ত্রাণ এবং আগামীতে অনন্যা প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এইসব এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং অনন্যা সাধারণ পরীক্ষার্থীদের জড়িত হওয়ার সুযোগ দিলে দারুণ একটা ফল পাব আমরা। আর এই অভিজ্ঞতাগুলো শুধু একজন মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে না, বরং সমাজ এবং দেশের কল্যাণেও অবদান রাখবে।

আমি মনে করি, এই জেন জি জেনারেশন তথা এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বল্প ও বিভিন্ন মেয়াদী বাধ্যতামূলক পরিসেবা কাজে সুযোগের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ৩-৪ মাস ব্যাপী কর্মমূখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান হোক, যা বেশির ভাগ তরুণকে উদ্যোক্তা বা কর্মমূখী হতে সাহায্য করবে। এতে একদিকে যেমন বেকারত্ম কমবে,অন্য দিকে সমাজে নানা অনিয়ম চিরতরে দূর হয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের বেশি দিন সময় লাগবে না ।

লেখক : ফিনল্যান্ড প্রবাসী সাংবাদিক

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • মুক্তমত এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দেশ গঠনে নতুন বার্তা দেবেন তারেক রহমান: এ জেড এম জাহিদ
আগামীর বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খসরু
টাঙ্গাইলের দেয়ালে দেয়ালে তারুণ্য 
‘উন্নত আগামীর জন্য তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্যে রেড ক্রিসেন্ট যুব প্রধান সম্মেলন