করোনায় আক্রান্ত সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শহীদুল হক নিজেই গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, করোনা শনাক্তের পর তিনি ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি ভালো আছেন, কোনও জটিলতা নেই।
শহীদুল হক ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই তিনি সিনিয়র সচিব হন। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তিনি চুক্তিতে আরও এক বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের পর নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) সিনিয়র ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এসএস
মন্তব্য করুন
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন মারা গেছেন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৩ জন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪২ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৪ জন, ময়মনসিংহে দুইজন, চট্টগ্রামে ১৩ জন, রাজশাহীতে চার জন, খুলনায় ২৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ছয়জন, রংপুর বিভাগে একজন এবং বরিশাল বিভাগে ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮০৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৩১৮ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৪৮৬ জন।
চলতি বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৬০ হাজার ৪৭৩ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০ হাজার ২৩৮ জন।
আরটিভি/এস
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়, লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
বিশ্বব্যাপী বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন হৃদরোগের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে। বর্তমানে জীবনযাত্রায় অনিয়মের ফলে কমবয়সীদের মধ্যেও বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি। হৃদরোগের এমন কিছু লক্ষণ আছে যা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। এই লক্ষণগুলোও অন্যান্য উপসর্গগুলোর মতই মারাত্মক। নানা কারণেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক এর চিকিৎসা করাতে না পারলে তৈরি হয় ঝুঁকি। ফলে এর জন্য সচেতন থাকা অত্যাবশ্যক। তাই সবার উচিত এ নিয়ে সতর্ক থাকা। বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো জেনে রাখা সবারই উচিত।
হার্ট অ্যাটাক কী: হার্ট অ্যাটাক হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। রক্তের ধমনীতে চর্বি ও কোলেস্টেরল জমার কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে রক্তের ধমনীর ব্লক যদি সময় মতো অপসারণ না করা হয়, তাহলে অক্সিজেনের অভাবে হার্টের টিস্যু মরে যেতে শুরু করে।
কেন হয়: হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য হার্ট অক্সিজেনযুক্ত রক্ত নেয় করোনারি ধমনির মাধ্যমে। করোনারি আর্টারি তিনটি—লেফট করোনারি আর্টারি, রাইট করোনারি আর্টারি ও লেফট অ্যান্টেরিয়র ডিজেন্ডিং আর্টারি।
এই তিনটি আর্টারি বা ধমনির মধ্যে কোনো কারণে যদি কিছু অংশ বা পুরোপুরি ব্লক হয়, তাহলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। পার্সিয়াল বা অংশত ব্লক হলে তাকে অ্যানজাইনা পেকটোরিস বলা হয়। আর সম্পূর্ণ ব্লক হলে তাকে বলা হয় হার্ট অ্যাটাক।
হার্ট অ্যাটাক কাদের হয়
১. বংশগত বা জেনেটিক কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। কারো বাবা-মা কিংবা কাছের স্বজনদের হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে তাদের ঝুঁকি বেশি।
২. অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ধূমপান।
৩. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
৪. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ।
৫. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা।
৬. শারীরিক ওজন কম, কিন্তু রক্তে কোলেস্টরেল বা অতিরিক্ত চর্বি বেড়ে গেলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
৭. কায়িক পরিশ্রম, ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি না করা, শুয়ে-বসে থাকা।
৮. মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বয়স, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণেও হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
১. হার্ট অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ বুকে ব্যথা হওয়া। দুই বুকের মাঝখানে মুষ্টিবদ্ধ হাত রাখলে যেটুকু জায়গা এটাকে রেট্রোস্টার্নাল পেইন বলা হয়। ভেতর থেকে ব্যথা হবে আর এই জায়গার ব্যথাকেই হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা বলে।
২. বুকের ব্যথা একসময় বাম হাত ও ঘাড়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। চোয়াল, পেটেও ব্যথা হতে পারে।
৩. হার্ট অ্যাটাকের তীব্রতা বেশি হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, কাশি হতে পারে।
৪. প্রেশার কমে গিয়ে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
৫. বুকের ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে রোগী।
৬. অনেক সময় বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. বুক ধড়ফড় করা।
হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়: চিকিৎসকরা বলেন, হার্ট অ্যাটাক এমন একটি সমস্যা যার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে রোগী যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। বুকে ব্যথা অনুভূত হলে, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ মনে হলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় (৯৯৯) ফোন করতে পারেন।
আক্রান্ত ব্যক্তি যেন বেশি নড়াচড়া না করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। রোগী যদি জ্ঞান হারায় বা শ্বাস নিচ্ছে না এমন হলে সঠিক নিয়মে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর দিতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সিপিআর কীভাবে দিতে হয় সেটি জানেন এমন কোনো ব্যক্তি ছাড়া না জেনে যে কেউ সিপিআর দিতে পারবেন না।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ অ্যান্টি প্লাটিলেট ড্রাগ দেওয়া যেতে পারে, যা রক্ত তরল করার জন্য ও ধমনিতে রক্ত প্রবাহে বাধা কমাতে সহায়ক।
কারো যদি আগে থেকে হার্টের সমস্যায় নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক, তাদেরকে তাৎক্ষণিক অবস্থায় জিহ্বার নিচে ওই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। অন্যদের বেলায় দেওয়া যাবে না।
হার্ট অ্যাটাক হলে পালস রেট কমে যায়। এ সময় কাশি দিলে রিফ্লেক্স হয়, যার ফলে প্রেশার বাড়ে এবং হার্ট রেটও বেড়ে যায়। সেজন্য কাশি দিতে বলা যেতে পারে রোগীকে।
চিকিৎসা: চিকিৎসকরা বলেন, ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হবে। তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে রক্ত যাতে জমাট না বাঁধে, চর্বি না জমে সেজন্য রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা ও রক্ত তরল করার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয় রোগীকে। প্রেশার, গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিস, কোলেস্টরেল থাকলে, ঘুম না হলে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে। একই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে।
এ ছাড়া আধুনিক চিকিৎসা হিসেবে অ্যানজিওগ্রাম করা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর অ্যানজিওগ্রাম করা যেতে পারে, আবার পরেও করা যেতে পারে। অ্যানজিওগ্রামের মাধ্যমে দেখতে হবে হার্টের ব্লক আছে কি না। যদি বেশি ব্লক থাকে, তাহলে বাইপাস করতে হবে। আর যদি কম ব্লক অর্থাৎ এক বা দুইটা ব্লক থাকে তাহলে রিং পরানো যেতে পারে। হার্টের চিকিৎসায় রক্তনালীর ব্লক দূর করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক বা পুনঃপ্রতিস্থাপন করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিরোধ
১. জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
২. সকালে ও বিকেলে নিয়মিত ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটা ও ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে।
৩. অ্যালকোহল ও ধূমপান পরিহার করতে হবে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, জাঙ্ক ফুড, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে।
৫. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, প্রেশার, কোলেস্টরেল থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৬. পরিবারে যদি হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস থাকে, তাদের ২০ বছর বয়সের পর থেকেই নিয়মিত চেক আপ করাতে হবে।
৭. উদ্বেগ, মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে, ঝগড়া কিংবা জোরে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
তথ্যসূত্র : অনলাইন
আরটিভি/এফআই
যে কারণে হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে যায়
অনেক কারণে হার্টের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হতে পারে, যা কার্ডিওমেগালি নামে পরিচিত। ডাইলেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথি (ডিসিএম) হার্টের (হৃৎপিণ্ড) মাংসপেশির রোগ। এর ফলে হৃৎপিণ্ডের দেয়াল পাতলা হয়ে যায় ও এর বাঁ দিকের চেম্বার অস্বাভাবিক রকম বড় আকার ধারণ করে বা ফুলে যায়। ফলে হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। হৃদপিণ্ড এর নিজস্ব গতিতে পাম্প করতে না পারায় রোগীর শরীরে, বিশেষ করে পায়ে পানি আসে ও অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়।
কার্ডিওমেগালি বা হার্ট বড় হয়ে যাওয়া মোটেই কাজের কথা নয়। এতে বহু ধরনের শারীরিক অসুখবিসুখ হতে পারে। সাধারণত অন্য কিছু অসুখের কারণে, যেমন উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্টের আকার বড় হয়ে যায়। তখন আর হার্ট আগের মতো কাজ করতে পারে না।
উপসর্গ: কোনো উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না যে তার হৃৎপিণ্ডে ডিসিএম আছে। চিকিৎসা না হলে আক্রান্ত ব্যক্তি হৃৎপিণ্ড অকার্যকর হওয়া থেকে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারেন। উপসর্গগুলোর মধ্যে শুরুর দিকে অতিমাত্রায় দুর্বলতা, স্বাভাবিক কাজকর্মে শ্বাসকষ্ট, পায়ের পাতায় ও গোড়ালিতে পানি আসে এবং বুকব্যথা ও বুক ধড়ফড় করতে থাকে। পরিবারে কারও এ রোগ হলে বাকি সবার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উত্তম।
কারণ: ডিসিএমের কারণ হিসেবে কিছু সুনির্দিষ্ট সংক্রমণ, প্রেগন্যান্সির শেষের দিকের জটিলতা, ডায়াবেটিস, হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশিতে আয়রন জমা হওয়া (হিমাক্রমাটোসিস), উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, হৃৎপিণ্ডের আ্যরিদমিয়া ও ভালভ ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়াকে দায়ী করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া অতিমাত্রায় মদ্যপান, সিসা, কোবাল্ট, পারদজাতীয় টক্সিনের সংস্পর্শে আসা, ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে এ রোগ হতে পারে।
যাদের ঝুঁকি বেশি
রক্তচাপ যদি ১৪০/৯০ বা এর থেকে বেশি থাকে
পরিবারের নিকটাত্মীয়ের, যেমন ভাইবোন, যদি কার্ডিওমেগালির ইতিহাস থাকে
করোনারি আর্টারি ডিজিজ
জন্মগতভাবে ক্ষতিগস্ত হার্ট
হার্ট ভাল্বের অসুখ
হার্টঅ্যাটাকের ইতিহাস
মাড়ির প্রদাহ বা জিনজিভাইটিসে আক্রান্ত রোগীর যদি হার্ট ভাল্বের ত্রুটি থাকে।
ডায়রিয়া ও বাতজ্বরজনিত হৃদরোগে আক্রান্ত অল্প বয়সী শিশু-কিশোর।
ডিসিএমে যা হয়: ডিসিএমের কারণে হৃৎপিণ্ডের চেম্বার, বিশেষ করে বাঁ দিকের ভেন্ট্রিকল বড় হয়ে যাওয়ায় ভালভ বন্ধ হওয়ার অ্যালাইনমেন্ট বদলে যায়। ফলে রক্তপ্রবাহের কিছু অংশ ব্যাক ফ্লো করে ও হৃৎপিণ্ডকে আরও বড় হতে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ড বড় হতে হতে একসময় পাম্প করতে ব্যর্থ হয়ে এটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়ায় এটি তার পাম্প করার ছন্দ হারিয়ে ফেলে এবং এর ফলে অনিয়মিত হার্টবিট তথা অ্যারিদমিয়া দেখা দেয়।
চিকিৎসা
পুরোপুরি সুস্থতা ফিরে পাওয়া কঠিন। কিছু ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এ ওষুধগুলোর মধ্যে আছে ডাই-ইউরেটিক, এনজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ইনহেবিটর, এনজিওটেনসিন রিসিপ্টর ব্লকার, বিটা ব্লকার, ডিজক্সিন, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট, অ্যান্টি অ্যারিথমিক ইত্যাদি।
সার্জিক্যাল পদ্ধতিতেও কিছু চিকিৎসা করতে হয়। হৃত্স্পন্দন কম থাকলে বা হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা কমে গেলে কখনো কখনো পেসমেকার বসাতে হয়। আইসিডি নামের ছোট একটি ডিভাইসও বসানো লাগতে পারে। হার্ট ভাল্বের সার্জারিও অনেক সময় লাগে। করোনারি রক্তনালির অসুখ হলে বাইপাস সার্জারির প্রয়োজন হয় অনেক সময়।
কিছু নিয়মকানুন মানলে কার্ডিওমেগালিসহ হার্টের অসুখ থেকে ভালো থাকা যায়।
ধূমপান না করা
অতিরিক্ত ওজন কমানো
পাতে অতিরিক্ত লবণ না খাওয়া
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
নিয়মিত ব্যায়াম করা
অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন পরিহার করা
অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানো
মাড়ির অসুখের যথাসময়ে চিকিৎসা
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণ
নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে না করা
বাতজ্বর থাকলে তার চিকিৎসা।
সূত্র : অনলাইন
আরটিভি/এফআই
এক বছরে ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০১২১৪
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২০২৪ সালে ৫৭৫ জনের মৃত্যু এবং ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ লাখ ৪০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গেল বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে ১৬ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ৫৫ জন হাসপাতালে, ফেব্রুয়ারিতে ৫ জনের মৃত্যু এবং ৩৩৯ জন হাসপাতালে, মার্চে ৬ জনের মৃত্যু এবং ৩১১ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে ২ জনের মৃত্যু এবং ৫০৪ জন হাসপাতালে, মে মাসে ১২ জনের মৃত্যু এবং ৬৪৪ জন হাসপাতালে, জুনে ৮ জনের মৃত্যু এবং ৭৯৮ জন হাসপাতালে, জুলাইয়ে ১৪ জনের মৃত্যু এবং ২ হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে, আগস্টে ৩০ জনের মৃত্যু এবং ৬ হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে, সেপ্টেম্বরে ৮৭ জনের মৃত্যু এবং ১৮ হাজার ৯৭ জন হাসপাতালে, অক্টোবরে ১৩৫ জনের মৃত্যু এবং ৩০ হাজার ৮৭৯ জন হাসপাতালে, নভেম্বরে ১৭৩ জনের মৃত্যু এবং ২৯ হাজার ৬৫২ জন হাসপাতালে, ডিসেম্বরে ৮৭ জনের মৃত্যু এবং ৯ হাজার ৭৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
গত এ বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ২৩৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। এরপর ঢাকা উত্তর সিটিতে মারা গেছেন ১০৪ জন।
এ ছাড়া এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ২৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হন। ১৭ হাজার ৮৭৯ ডেঙ্গু রোগী ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এআর
অযোগ্য ব্যক্তিদের কারণেই বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন থেকে বঞ্চিত ডেন্টাল টেকনোলোজিস্টরা: নুর
বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)’র অভিজাততন্ত্র প্রবণতার কারণে ডেন্টাল টেকনোলোজিস্টরা আজ আজ বৈষম্যের শিকার। ফলে দেশের মানুষ দন্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, অযোগ্য ব্যক্তিদের কারণেই ২৫ হাজার ডিপ্লোমাধারী আজ দিশেহারা। তাই তাদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন দেয়াসহ সব দাবি মেনে নিতে সরকারকে অনুরোধ জানান নুর।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আইডিবি ভবনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে বাংলাদেশ ডেন্টাল হেলথ সোসাইটি (বিডিএইচএস)’র উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নুর ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে। আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন, সংস্কার ছাড়া এদেশে কোনও নির্বাচন হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নুর।
তিনি বলেন, দিল্লির দাসত্ব থেকে তরুণ প্রজন্মরাই আমাদের উদ্ধার করেছে। তাই আর যেন কেউ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত হয়েছে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করারও আহবান জানান নুর।
বিডিএইচএসের মহাসচিব মোহাম্মদ খালেদ মোছান্নাহ বলেন, ডেন্টাল টেকনোলোজিস্টরা আজ অবহেলিত, বঞ্চিত এবং শ্রেণী বৈষম্যের শিকার। ৪ বছরের ডিপ্লোমা ও বিএসসি করেও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ২৫ হাজার ডিপ্লোমাধারী বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন থেকে বঞ্চিত। তাই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কম খরচে দন্ত চিকিৎসা পৌঁছে দিতে দ্রুত রেজিস্ট্রেশনের দাবি জানান তিনি।
বিডিএইচএসের সভাপতি মোঃ হারুন রশিদ আওরঙ্গ বলেন, ডেন্টাল টেকনোলোজিস্টরা সংখ্যালঘুর মতো ব্যবহার হচ্ছে। আমরা এখনও বৈষম্যের শিকার। আমাদের রেজিস্ট্রেশন দিতে হাইকোর্ট থেকে রায় দেয়ার পরও এই রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে বিএমডিসি। দ্রুত আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে ২৫ হাজার ডেন্টাল টেকনোলোজিস্টদের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হোক। তানা হলে ন্যায্যা অধিকারের জন্য রাজপথে জীবন দিতেও প্রস্তুত বলে জানান হারুন অর রশিদ।
বিডিএইচএসের সভাপতি মোঃ হারুন রশিদ আওরঙ্গের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোহাম্মদ খালেদ মোছান্নাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আইডিবির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তবর্তীকালীন সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ ডেন্টাল পরিষদের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন মোল্লা, বাংলাদেশ ডেন্টাল পরিষদের মহাসচিব লায়ন মুহাম্মদ কামাল হোসেন প্রমুখ।
আরটিভি/কেএইচ
হাঁস নাকি মুরগির ডিম, কোনটি বেশি পুষ্টিকর?
ডিম পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস। মুরগি ও হাঁসের ডিম দুটিই জনপ্রিয় এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তবে কোন ডিম আপনার জন্য ভালো, তা নির্ভর করে আপনার পুষ্টির চাহিদা, স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য ডিম খাদ্য তালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে প্রশ্ন থাকে, হাঁসের ডিম নাকি মুরগির ডিম—কোনটি বেশি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন।
মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ
মুরগির ডিম বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১২, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে পাওয়া যায় প্রায় ১৭৩ ক্যালরি, ১৩.৩ গ্রাম প্রোটিন, এবং ১৩.৩ গ্রাম চর্বি, যার বেশিরভাগই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
উপকারিতা: মুরগির ডিম সহজপাচ্য এবং অধিকাংশ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী। এতে থাকা কোলিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। এ ছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ
হাঁসের ডিম তুলনামূলক বড় এবং এতে পুষ্টি উপাদানের মাত্রা বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে প্রায় ১৮১ ক্যালরি, ১৩.৫ গ্রাম প্রোটিন, এবং ১৩.৭ গ্রাম চর্বি থাকে যা মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি। এছাড়া হাঁসের ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন এ, ডি, বি১২, আয়রন, জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এটি শক্তি সরবরাহে কার্যকর এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
উপকারিতা: হাঁসের ডিমের পুষ্টি বেশি, যা শারীরিক পরিশ্রম বা অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়ক। উচ্চ শক্তি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-এর কারণে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া, প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে ৩.১ গ্রাম। অন্যদিকে, হাঁসের ডিমে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ মুরগির ডিমের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণেও হাঁসের ডিম মুরগির ডিমকে ছাড়িয়ে যায়। তবে মুরগির ডিমেও রয়েছে থ্রিয়োনিন, আইসোলিউসিন, ট্রিপটোফ্যান, লিউসিন, মিথায়োনিন, লাইসিন, কিস্টিন, টাইরোসিন, ভ্যালিন, সেরিন, গ্লাইসিন, প্রোলিন, অ্যাসপারটিক অ্যাসিড, হিস্টিডিন, অ্যালানিন এবং আর্জিনিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড।
স্বাদ ও ব্যবহার
স্বাদে হাঁসের ডিম কিছুটা কড়া এবং রান্নায় একটু ভিন্ন স্বাদ আনে। পেস্ট্রি, কেক, এবং রিচ ফ্লেভারের খাবারে হাঁসের ডিম ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, মুরগির ডিম হালকা স্বাদের হওয়ায় প্রতিদিনের সাধারণ খাবারে উপযোগী।
কোনটি বেছে নেবেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, পুষ্টিগুণের বিবেচনায় হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি উপকারী। কারণ এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমাণে বিদ্যমান। তবে হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে কোলেস্টেরল থাকে প্রায় ৮৮৪ মিলিগ্রাম, যেখানে মুরগির ডিমে কোলেস্টেরল মাত্র ৪২৫ মিলিগ্রাম। এই কারণে, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাঁসের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
এছাড়া, হাঁসের ডিম উচ্চ ক্যালরি এবং ফ্যাটযুক্ত, তাই এটি যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন তাদের জন্য ভালো। অন্যদিকে, মুরগির ডিম কম ক্যালরি ও ফ্যাটযুক্ত হওয়ায় এটি সাধারণ ডায়েটের জন্য উপযুক্ত।
ওজন কমানোর জন্য মুরগির ডিম উত্তম। এটি কম ক্যালরি ও চর্বি সরবরাহ করে। যারা উচ্চ প্রোটিন ডায়েট অনুসরণ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে হাঁসের ডিমের কেবল সাদা অংশ খাওয়া অধিকতর স্বাস্থ্যকর।
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য দুই ধরনের ডিমই উপকারী, তবে হাঁসের ডিম পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হাঁসের ডিমে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই সংবেদনশীল ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা উচিত।
হাঁসের ডিম ও মুরগির ডিম উভয়ই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর। আপনার খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি চাহিদা এবং স্বাদ অনুযায়ী যে কোনো একটি বেছে নিতে পারেন। তবে, ডিম ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি খাদ্যজনিত সংক্রমণ রোধে সহায়ক।
আরটিভি/জেএম
চিকিৎসক-নার্সসহ বিএসএমএমইউর ১৫ জন বরখাস্ত
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ ও নার্সসহ ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লক এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া দুই চিকিৎসক হলেন- কাডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ।
বরখাস্ত হওয়া বাকি হলেন- পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায় ও মো. সাইফুল ইসলাম। এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল), সুইপার সন্দীপ, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জ্বল মোল্লা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, ওপিডি-১ এর এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টার কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মুন্না আহমেদ, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিএসএমএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সম্মুখে সংগঠিত হত্যার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই চিকিৎসকসহ ১৫ জনকে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ধারা ২ এর (ছ), (জ), (ঝ) ও (৮) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো।
অফিস আদেশে বলা হয়, সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) কালীন সময়ে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৪ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। বিধি মোতাবেক তাদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।
এ আদেশ ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরটিভি/একে