করোনায় আক্রান্ত সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এখন রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শহীদুল হক নিজেই গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, করোনা শনাক্তের পর তিনি ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি ভালো আছেন, কোনও জটিলতা নেই।
শহীদুল হক ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই তিনি সিনিয়র সচিব হন। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তিনি চুক্তিতে আরও এক বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের পর নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) সিনিয়র ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এসএস
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্তে রেকর্ড
ক্রমশ ভয়ানক রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত রোগটিতে একদিকে যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনি আশঙ্কাজনক হারে ঝরছে প্রাণও।সবশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। এছাড়া এ সময়ে বছরের নতুন রেকর্ড হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২২৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর এক হাজার ২২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে।
সব মিলিয়ে চলতি বছরে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৫৯০ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬।
রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ২২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়ই ৪৫১ জন। ঢাকা বিভাগে ২৮১ জন, বরিশালে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬৯ জন, খুলনায় ১১১ জন, ময়মনসিংহে ১৯ জন, রাজশাহীতে ৪৭ জন ও রংপুরে ৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৯০ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। একই সময়ে মারা যাওয়া ১৮৬ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ।
২০২৩ সালে দেশে রেকর্ড ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন ২ লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। ওই বছর এক হাজার ৭০৫ জন মারা যান মশাবাহিত এই রোগে, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১০৫ জনের।
এছাড়া ২০২২ সালে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৮১ জন।
আরটিভি/এসএইচএম/এএইচ
চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী
চলতি বছর চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন।
বাংলাদেশ সময় সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট তাদের নাম ঘোষণা করে।
মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট ট্রান্সক্রিপশন জিন নিয়ন্ত্রণ-এ অবদান রাখায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতি অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। এ বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে নোবেল পুরস্কারের উদ্বোধন করা হলো।
আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা হবে। এরমেধ্য আগামী ৮ অক্টোবর পদার্থবিদ্যা, ৯ অক্টোবর রসায়ন, ১০ অক্টোবর সাহিত্য, ১১ অক্টোবর সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার শান্তিতে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
১৯০১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল দেওয়া হচ্ছে। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে।
ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পাঁচ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।
আরটিভি/আরএ
স্বতন্ত্র মেডিকেল টেকনোলজি-ফার্মেসি পরিদপ্তর গঠনের দাবি
স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দক্ষতা উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি পরিদপ্তর’ গঠন করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মাসিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি অ্যান্ড ফার্মেসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চিকিৎসা সংক্রান্ত ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি, মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সগুলো নিয়োগ, গ্রেড, উচ্চশিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপ্লোমা কোর্সের সাথে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার। অথচ স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে ডাক্তার-নার্সদের পাশাপাশি ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় করার জন্য মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নির্দেশ করবে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে তা চিকিৎসককে পাঠায় এবং এটি অনুযায়ী চিকিৎসক ওষুধ লেখেন। এই ওষুধ সঠিকভাবে বণ্টন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, ওষুধের অপব্যবহার ঠেকানোর কাজটি করেন ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্টরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই জনগুরুত্বপূর্ণ ২টি পেশার নিয়োগ নিয়মিত দেওয়া হয় না বিধায় সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো মানুষ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালের স্ট্যান্ডার্ড সেটআপে পূর্বের ন্যায় আবারো ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী ডাক্তার-নার্স নিয়োগের প্রস্তাবনা করা হলেও একজন ডাক্তার নিয়োগ দিলে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিতে হয় এই গাইডলাইনটি মন্ত্রণালয় মনে হয় ভুলে গেছে। ফার্মাসিস্টদের বেলায়ও ঠিক এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। ওষুধের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর চাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে সরকার হাসপাতাল ফার্মেসির পাশাপাশি এনসিডি কর্নার, আই কর্নারসহ বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম চালু করছে যেখানে ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি আইএইচটি থেকে হাজার হাজার ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্টরা বেকার হয়ে বসে আছে, কিন্তু এত সংকটের পরও ফার্মাসিস্ট পদ না বাড়িয়ে পুরোনো সেট-আপে রাখা হচ্ছে, যা পেশার ওপর চরম জুলুম। সে কারণে প্রতি ১০ শয্যার বিপরীতে ১ জন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ নীতি বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য।
এর আগে, বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, কেন্দ্রীয় সংসদ’ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা তাদের ৬ দফা দাবির কথা জানান।
৬ দফা দাবি গুলো হলো-
১. মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দক্ষতা উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি পরিদপ্তর’ গঠন করতে হবে।
২. দেশের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিকে (আইএইচটি) মেডিকেল টেকনোলজি কলেজে রূপান্তর করে, ঢাকার আইএইচটিকে কেন্দ্র করে একটি স্বতন্ত্র মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দক্ষ বিষয়ভিত্তিক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের প্রভাষক হতে অধ্যাপক পর্যন্ত বিভিন্ন পদে পদায়ন করতে হবে।
৩. মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদাসহ) বাস্তবায়ন করে ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে।
৪. গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জন্য নবম গ্রেডের পদ সৃষ্টি করে স্ট্যান্ডার্ড সেট আপ ও নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. মেডিকেল টেকনোলজি কাউন্সিল গঠন করে, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের জন্য প্রাইভেট সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৬. বিএসসি ও এমএসসি কোর্সে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ভাতা এবং স্কলারশিপ প্রদানসহ সব অনুষদের বিএসসি কোর্স চালু করে শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আরটিভি/এমএ
ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩৩১ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৮০ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১ হাজার ৮১০ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৫২ জন। মারা গেছেন ২১০ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশা নিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ-টি
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৬৬০
ক্রমশ ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। আগেরদিনই চলতি বছরের রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়ও আরও চারজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। সেইসঙ্গে আরও ৬৬০ নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে।
সব মিলিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৪ জনে। সেইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৪৭০ জনে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৩২৮ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৯৭ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন। মারা গেছেন ২১৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুইজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার। বাকি একজন ময়মনসিংহ বিভাগের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ ও খুলনা বিভাগে ৭১ জন রয়েছেন।
প্রতি বছরই বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। তবে ২০২৩ সালের ডেঙ্গুর রুদ্ররূপ দেখে দেশ। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। বিপরীতে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
স্বাস্থ্যের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পেডিয়াট্রিক সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাকে নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হলো। এ ছাড়া সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিনকে পরবর্তী উপযুক্ত পদে পদায়নের জন্য পার-১ শাখায় ন্যস্ত করা হয়েছে।
জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
আরটিভি/একে/এসএ
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৮ জনের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১০০ জন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪০২ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ হাজার ৫০ জন। এরমধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ হাজার ২৮ জন। মারা গেছেন ২৩৪ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশা নিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এসএ