সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত এমপি একাব্বর হোসেন
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন ও তার স্ত্রী ঝর্ণা হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাতে তাদের ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়।
এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন একাব্বর হোসেনের ছেলে ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা তাহরীম হোসেন সীমান্ত।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জ্বর ও শরীরে ব্যথা অনুভূত হলে গত রোববার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন ঝর্ণা হোসেন। সোমবার তার করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এছাড়া বুধবার সকালে করোনার নমুনা দেন এমপি একাব্বর হোসেন। বিকেলে তার রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
এসজে
মন্তব্য করুন
হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর ঢুকতে পারবে না
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসা নিতে আসা সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এবং হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার একটি হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব উম্মে হাবিবার সই করা এক নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আগত আহতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিতে হবে। সব আহত ব্যক্তির চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে হবে।
এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যদি কেউ চিকিৎসায় অসমর্থ হয়- তবে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তির ওষুধের খরচ সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত বিল-ভাউচার স্বাস্থ্য অধিদফতরে দাখিল করা হলে তা যাচাই করে পরিশোধ করা হবে।
পাশাপাশি চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাউকে অধিকতর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে (দেশে যার চিকিৎসা সম্ভব নয় এবং বিদেশে পাঠানো হলে নিরাময় বা উন্নতি হবে এমন আহতদের) বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ মোতাবেক উপযুক্ত রেকর্ডপত্রসহ সংশ্লিষ্ট আহত ব্যক্তির আবেদন জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠাতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, হাসপাতালে আগত সব উপযুক্ত দর্শনার্থীদের জন্য ভিজিটর কার্ড প্রবর্তন করতে হবে। ভিজিটর কার্ডবিহীন কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতরে বা রোগীর কক্ষে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এ ছাড়া কোনো ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বা বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেক চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে রোগী দেখার সময়সূচি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিটি হাসপাতালে সুশৃঙ্খল চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রিসিপশন ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। অভ্যর্থনা কক্ষে আগত রোগীদের রোগের ধরন অনুযায়ী বাছাইপূর্বক নির্ধারিত চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, হাসপাতালে আগত সেবাপ্রার্থীদের টিকিট কেনার বিষয়টি সুশৃঙ্খল করতে হবে। সম্ভাব্য সব হাসপাতালে এ বিষয়ে ডিজিটাল ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত বা সার্টিফায়েড নয় এমন কোনো ব্যক্তি চিকিৎসা দেওয়ার কোনো পর্যায়েই কোনো হাসপাতালে সংযুক্ত থাকতে পারবেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আরটিভি/একে
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।
আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।
এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।
অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।
আরটিভি/আইএম/এস
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ৭ জনের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৮৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৮৬ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৯০ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৯৩ জন। মারা গেছেন ৪৮২ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এস
অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ক্যানসারে আক্রান্ত ইউনুস মিয়ার
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা গ্রামের মো. ইউনুস মিয়া, বয়স ৬৫। পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। গ্রামে একটি ভাতের হোটেলে কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাতেন। বসতভিটা ছাড়া তেমন কোনো জমিও নেই তার। এমন বাস্তবতায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ইউনুস। বাড়ির লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারেন তার লিভার ক্যানসার।
হাসপাতালে ভর্তি ও পরবর্তী চিকিৎসার খরচ না থাকায় বাড়িতেই ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ইউনুস মিয়া। কিন্তু দিনদিন তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে দেখে তাকে ফের চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তার তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ইউনুস মিয়াকে রাজধানীর দারুসসালামের মানবিক চিকিৎসকদের সংগঠন হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এবং হাসপাতালে বিনা টাকায় একটি বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
ইউনুস মিয়া বর্তমানে হাসপাতালটিতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসারবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাহফুজুল আহমেদ রিয়াদের অধিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ চিকিৎসায় ৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হতে পারে। এ অবস্থায় অসহায় এই মানুষটির পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবার।
ইউনুস মিয়ার স্ত্রী ফেরদাউস বেগম কান্নাকণ্ঠে জানান, আমার ছোট ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। আমার স্বামীর কিছু হলে কোথায় যাব, কীভাবে চলব। ঠিকমতো সংসারই চলে না। চিকিৎসার খরচ কীভাবে দেবো।
হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. শেখ মইনুল খোকন বলেন, আমাদের সংগঠন থেকে গরিব ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করি। ইউনুস মিয়াকে বিনা টাকায় একটি বেড দেওয়া হয়েছে।
খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটিও কিছু ডাক্তারের স্বেচ্ছ্বাশ্রম ও মানুষের দানে চলে। যেহেতু চিকিৎসকের খরচ ছাড়াও ক্যানসার চিকিৎসার আরও অনেক কিছু ব্যয়বহুল। তাই আমার প্রত্যাশা ইউনুস মিয়ার চিকিৎসা খরচ কিছুটা লাঘব করতে বিত্তবানরা হাত বাড়িয়ে দিবেন। তাহলে অসহায় এই রোগীর সেবা দেওয়া আমাদের জন্য আরও সহজ হবে।
সহায়তা করতে যোগাযোগ করুন-
রাজধানীর দারুসসালামের মানবিক চিকিৎসকদের সংগঠন হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এবং হাসপাতাল। ফোন নম্বার- 01774773648
উল্লেখ্য, হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন পরিচালিত হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এন্ড হসপিটালে গরিব ও অসহায় রোগীদের স্বল্প খরচে বা ক্ষেত্রভেদে বিনা খরচে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের মানবিক কিছু চিকিৎসক এখানে এসে স্বল্প খরচে বা বিনামূলে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। বিনা খরচে চিকিৎসা দেওয়ায় ইতোমধ্যে গরিবের হাসপাতাল নামেও পরিচিতি অর্জন করেছে।
এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৪৭ জনের মৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। মৃত্যুর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (২৩ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ৪৭ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৯৬৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৩ নভেম্বর ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু এবং ৮৮৬ জন হাসপাতালে, ২৪ নভেম্বর ১১ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৭৯ জন হাসপাতালে, ২৫ নভেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৯৩৪ জন হাসপাতালে, ২৬ নভেম্বর ১০ জনের মৃত্যু এবং ৯৯০ জন হাসপাতালে, ২৭ নভেম্বর চারজনের মৃত্যু এবং ৮৮৮ জন হাসপাতালে, ২৮ নভেম্বর সাতজনের মৃত্যু এবং ৮৩৭ জন হাসপাতালে, ২৯ নভেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৩৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ হাজার ৭৯৩ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৭ হাজার ২৮১ জন। মারা গেছেন ৪৮৫ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এআর
নভেম্বরে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ১৭৩ জনের
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। মৃত্যুর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি মাসে (নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৫২ জন।
চলতি বছরের মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে এক হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ৩৩৯ জন, মার্চে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৩১১ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে দুই জনের মৃত্যু এবং ৫০৪ জন হাসপাতালে, মে মাসে ১২ জনের মৃত্যু এবং ৬৪৪ জন হাসপাতালে, জুনে আটজনের মৃত্যু এবং ৭৯৮ জন হাসপাতালে, জুলাইতে ১২ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে, আগস্টে ২৭ জনের মৃত্যু এবং ছয় হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে, সেপ্টেম্বরে ৮০ জনের মৃত্যু এবং ১৮ হাজার ৯৭ জন হাসপাতালে, অক্টোবরে ১৩৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৯১ হাজার ৪৬৯ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৭৯ জন। মারা গেছেন ৪৮৮ জন। নিহতদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০৮ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৮৯ জন মারা গেছেন। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এস
ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিপসমের প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত
চলতি মৌসুমে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। ডেংগু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালিয়েছে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী এলাকায় কমিউনিটি পর্যায়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক এই প্রপ্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ জিয়াউল ইসলামের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩০০ চিকিৎসক ও নার্সের অংশগ্রহণে এই প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়।
নিপসমের প্রচারাভিযানের মধ্যে ছিল র্যালি, লিফলেট বিতরণ এবং এলাকাবাসীকে মাইকিং করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন করে তোলা।