করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৪৯ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪৭ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৮২০ জন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই ডায়াবেটিস হলে বুঝবেন যে লক্ষণে
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এখন ডায়াবেটিসের ব্যাপকতা অনেক বেশি। নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এবং কায়িক পরিশ্রমের অভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছেই। ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। কিন্তু একে সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে পারলে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। যাদের দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস আছে, তাদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মধ্যেই থাকতে হয়। কিন্তু পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও ডায়াবেটিস হয়নি ভেবে যারা নিশ্চিন্তে রয়েছেন, চুপিসারে কখন যে ডায়াবিটিস শরীরে থাবা বসাবে তাদের শরীরে, তা ধরতে পারবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস ধরা না পড়লে বা সঠিক চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক হারে চুলও ঝরে পড়তে পারে। এ ছাড়াও শরীরে আরও বেশ কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখলে বোঝা যায়, কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না।
রক্ত পরীক্ষা করার আগেই শরীরে যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন—
ত্বকের দাগছোপ: ঘাড়, গলা, দুই বাহুমূলে কালো ছোপ পড়েছে? নিয়মিত ঘরোয়া টোটকায় ত্বকচর্চা করেও ফল মিলছে না। তবে চোখে দেখে বুঝতে পারছেন এটি ঠিক রোদে পোড়া দাগ নয়। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করা বেশি থাকলে, শরীরের এই বিশেষ বিশেষ জায়গায় কিন্তু কালচে ছোপ পড়ে।
কেটে গেলে সারতে চায় না: সপ্তাহ খানেক আগে সব্জি কাটতে গিয়ে একটু আঙুল কেটে গিয়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তা শুকিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ৭ দিন হয়ে গেল কিছুতেই তা সারতে চাইছে না। এই লক্ষণ কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে হতে পারে।
বার বার প্রস্রাবের বেগ: এমনিতেই শীতকালে ঘাম হয় না বলে ঘন ঘন বাথরুমে ছুটতে হয়। ইদানীং আবার প্রস্রাবের বেগের চোটে মাঝ রাতে দুতিন বার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। পানি বেশি না খাওয়ার পরও যদি এই সমস্যা হয়, বুঝতে হবে ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে।
পিপাসা মিটতে চায় না: শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় সাধারণত খুব বেশি পানি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু পরিশ্রম না করেও যদি এই সময়ে পিপাসায় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, তা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার একটি ইঙ্গিত হতে পারে।
ক্লান্ত লাগা: বার বার প্রস্রাবের ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করা এবং বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে গেলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে প্রস্রাবের পরিমাণও বেড়ে যায়।
যৌনাঙ্গে সংক্রমণ: রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। সেখান থেকে মূত্রাশয়, যৌনাঙ্গে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
বেশি বেশি খিদে পাওয়া: দুপুরে পরিমাণ মতো সব কিছু খাওয়ার পরেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই খিদে পেয়ে যাচ্ছে? রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে কিন্তু সারা ক্ষণ খিদে পায়।
কাদের ঝুঁকি বেশি:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন, তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
আরটিভি/এফআই
প্রতি বছর স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন ১৫ হাজার নারী
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৭ হাজার ৫০০ নারী এই রোগে প্রাণ হারান। সামাজিক বাধা এবং সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ নারী স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে অক্ষম হন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরে (সেগুনবাগিচা অডিটোরিয়ামে) ‘আমরা নারী’, ‘আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ এবং বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ৯টি দপ্তর ও অধিদপ্তরের নারী কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৭ হাজার ৫০০ নারী এই রোগে প্রাণ হারান। সামাজিক বাধা এবং সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ নারী স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে অক্ষম হন। এই বাস্তবতায়, সেমিনারে প্রধান বক্তা, স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটাল, NICRH), নারীদের জন্য স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি নিরূপণ, প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্তকরণ ও নিয়মিত পরীক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, মাসিকের পরে ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৪০ বছরের পর বছরে একবার ম্যামোগ্রাম করানো স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ও বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান তরফদার; উপস্থিত ছিলেন সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, যুগ্ম সচিব; ফেরদৌসী বেগম, যুগ্ম সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলী মীর মনজুরুর রহমান, দপ্তর প্রধান, স্থাপত্য অধিদপ্তর সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে ‘আমরা নারী’ ও ‘আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী এম এম জাহিদুর রহমান (বিপ্লব) বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আমরা নারীর পক্ষ থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে বিপ্লব শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
স্তন ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ
• বগল বা স্তনে গাঁটের উপস্থিতি
• স্তনে ফোলা, ব্যথা বা চামড়ার কুঁচকে যাওয়া
• স্তনের আকার পরিবর্তন বা লালচে ভাব
• স্তনের বোঁটা থেকে রস নির্গত হওয়া
আমরা নারীর উদ্যোগ ও সমাজে প্রভাব
‘আমরা নারী’ একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংস্থা, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক উন্নয়নে নিবেদিতভাবে কাজ করছে। ‘আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সেমিনার পরিচালনা করছে। অক্টোবর মাসে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারীরা প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে সচেতন হতে সক্ষম হবে, যা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সচেতন প্রজন্ম গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এম এম জাহিদুর রহমান (বিপ্লব) বলেন, মিডিয়ার সক্রিয় ভূমিকা আমাদের সচেতনতা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। ইত্তেফাক, বাংলাদেশ পোস্ট, একাত্তর টিভি ও ঢাকা মেইল মিডিয়া পার্টনার হিসেবে এই উদ্যোগে আমাদের পাশে আছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগে আপনারা সংবাদমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি।
আরটিভি/একে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বড় রদবদল, তিন জনকে ওএসডি
বিভিন্ন অভিযোগের কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আটটি পদে রদবদল করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন পরিচালকে নিয়োগ এবং তিন জনকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পার-২ শাখার উপসচিব শোভন রাংসা সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক হিসেবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. ফরহাদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হলো। এই বিভাগের বর্তমান পরিচালক ও সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের লাইন ডিরেক্টর ডা. শেখ দাউদ আরমানকে ওএসডি করা হলো।
এছাড়া জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (শৃঙ্খলা) ডা. মিছবাহ উদ্দীন আহমেদ। একই সঙ্গে বর্তমান পরিচালক শাহ গোলাম নবীকে ওএসডি করা হয়েছে। আর ন্যাশনাল এইডস অ্যান্ড এসটিডি কন্ট্রোলের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হয়েছেন উপপরিচালক (পার-২) ডা. মো. খায়রুজ্জামান।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের পার-২ শাখার উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন যথাক্রমে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন-২) ডা. কামরুল হাসান ও লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদ হোসেন। এছাড়া ওএসডি হওয়া আরও এক কর্মকর্তা হলেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. মো. হালিমুর রশিদ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বদলি ও পদায়নকৃত কর্মকর্তারা আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরদিন বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
আরটিভি/এসএপি
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৪০০ ছুঁই ছুঁই
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৯৯ জন মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া একজন চট্টগ্রাম বিভাগের ও একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা।
এ সময়ে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২০৭ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) ৫৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৫৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০ জন, রাজশাহীতে ৬৬ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৭৭ হাজার ৬০১ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ৩৯৯ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৬০ শতাংশ পুরুষ।
আরটিভি/এফএ
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯৯৪ জন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গুতে মৃত আটজনের মধ্যে পাঁচজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাসিন্দা এবং দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বাসিন্দা। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চট্টগ্রাম বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (২৩৮ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি এই সময়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৩৬ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৪৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/এসএপি-টি
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৮৩
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২১ জন। এ ছাড়াও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৮৩ জন। এতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৬৮ জনে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৪ হাজার ৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি আছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন। বাকি ২ হাজার ৩৫৫ জন ভর্তি আছেন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।
হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮০, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৪৪, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫, বরিশাল বিভাগে ৮৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১,৭০৫ জন।
আরটিভি/একে
ডেঙ্গুতে একদিনে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২১৪
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২১৪ জন রোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৩৬ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৬৮ জন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৩ জন ছাড়াও রাজশাহী বিভাগে ডেঙ্গুতে একজন মারা গেছেন।
অন্যদিকে গত একদিনে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী (৪৩০ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাশাপাশি এই সময়ে ডিএনসিসিতে ১৯৫ জন এবং ডিএসসিসিতে ১৪১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে ১১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯১ জন, বরিশাল বিভাগে ৮২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৯ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ১১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৪৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৬৮ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায়। ডিএসসিসিতে মশাবাহিত রোগটিতে চলতি বছর মোট ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশাল বিভাগে ৪৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন ছাড়াও রংপুর বিভাগে ২ জন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গুতে একজন মারা গেছেন।
আরটিভি/একে/এস