• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

পুড়ে ছাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৩ গাড়ি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

আরটিভি নিউজ

  ২৪ জুলাই ২০২৪, ২০:৫০
ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৩টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ২৮টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে মোট মোট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মহাখালী কাঁচা বাজারের পাশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরনো ভবন, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি ভবন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর (আইপিএইচ), জাতীয় পুষ্টি কর্মসূচির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরনো ভবনের সামনে পার্কিংয়ে রাখা ২৩টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙা হয়েছে ভবনের প্রধান ফটক ও ভবনের গ্লাস। ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন অফিসের ২৮টি গাড়ি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহেমদুল কবির জানান, এরকম একটি ঘটনায় আমরা খুবই ব্যথিত। চিকিৎসকদের গাড়িতে হামলা হবে আমরা কল্পনা করতে পারিনি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, প্রথমে এসে তারা এখানে ভাঙচুর করেছে। আমার ব্যক্তিগত গাড়িসহ অনেক লাইন ডিরেক্টরের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আমরা শুনেছি যে, দুটি গ্রুপ এসে গান পাউডার দিয়ে গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমাদের এখানে এমআইএস ডাটা সেন্টারে ভাঙচুর করা হয়েছে, সেখানেও ক্ষতি করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) হামলার ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আগুনের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে নিজেই রোববার (২১ জুলাই) ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পুরনো ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমাণ শত কোটির কাছাকাছি হবে। স্বাস্থ্য খাতের ওপরে এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘এমআইএস’ অর্থাৎ যেখানে সারা দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা কন্ট্রোল করা হয়, সেখানেও আগুন দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি দুর্বৃত্তরা মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে। এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ সব ঘটনায় যারা দোষী, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া উচিত।

জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের সার্ভার থাকার কারণে ২৪ ঘণ্টা কোনও না কোনও কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর কিছু কর্মচারী বন্ধের দিনও দায়িত্বরত ছিলেন। হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা শুরু হলে কয়েকশ আন্দোলনকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গেটের কাছে ছুটে আসে। এখানে আওয়ামী লীগের কর্মী আছে বলে তারা চিৎকার করতে থাকে। গেট বন্ধ থাকলেও সবাই মিলে ধাক্কা দিয়ে গেট ভেঙে প্রবেশ করে একাধারে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গান পাউডার ব্যবহার করে গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ২৩টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষও।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • স্বাস্থ্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা আটক
রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত  
দেশকে ব্যর্থ করার জন্য পরাজিত শক্তি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: রাশেদ খাঁন
ইউনূস-মোদির বৈঠক নিউইয়র্কে করার প্রস্তাব দিলো ঢাকা